পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-০৮
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার আর্শিবাদে সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৮ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয় করিয়া অভাগা এই দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু মন দিয়া পড়িবেন, ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন।যাউগ্গ , এইবার পর আলোচনা হইলো…
মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, দখলপত্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পাহাড়ের দাদু-দিদিরাতো কহিতেছেন তাইনেরা নাকি প্রতিপক্ষ বধ্ করিতে কোমড় বাঁধিয়া নামিয়াছে। তয় প্রতিযোগীতায় নামিয়া পাহাড়ে অকালে জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগ হইতেছে। দূর্বৃত্তগোর অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা আমস্বত্ত হইয়া যাইতেছে। এইসব লইয়া আমাগো পাহাড়ের অসহায়রাতো সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান নখের কোনায় লইয়া দিন রাইত পার করিতেছে। মা’গো তিন পর্বতেতো পাপের বোঝা বস্তায় বস্তায়, পাহাড়ের পেড়াকপাইল্লাগোর শান্তির জন্য এইসব বস্তার মুখ খুলিয়া সিরিয়াল করিয়া কাম শুরু করনের দরকার বলিয়া পাহাড়ের অজ্ঞ বিজ্ঞরা খালি আপনার দরবারে মিনতি জানাইতেছে। উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনার দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে, মা’জননীগো দয়া করিয়া ব্যবস্থা লইতে আগাইবেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া একটু ভাবেন, সময় দেন।
মা’ জননীগো তিন পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন হইয়াছে বলিয়া মন্ত্রী এমপিরা যেইভাবে মাইক ফাটাইতেছে তাহাতেতো পাবলিক মুচকি হাসিতেছে। তলে তলে দলের বঞ্চিত নেতা কর্মীরা তুষের আগুনে জ¦লিতেছে। ঠকবাজ নেতাগোর খপ্পরে পড়িয়া উন্নয়নের অর্থ নামে বেনামে ঐ ঠকবাজগোর পকেটেই মজুদ হইতেছে। জেলা আমামীলীগের চান্দি গরম বহুত নেতা কর্মী কহিলেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারমন টু হ¹ল সদস্য টু কর্মকর্তারা লুটিপুটিয়া, চাঁটিয়া খাইতেছে। দলে শ্রম দিয়া, ভোট দিয়াও যারা ঠকিয়াছে পরিষদ বিদায় হইলে তাইনেগো কপালে নাকি দুঃখ আছে। এস দাদু ঠাট্টা করিয়া কহিলেন তাইনেরা যেইভাবে নিজেগোর ভান্ড মজুদ করিয়াছে তাতে পরপারে গিয়াও নাকি উপোস থাকিতে হইবেনা, এইতো দেখি তাইজ্জব কথাবার্তা। তয় নেতাগোছের বহুতেতো ক্ষোভ করিয়া কহিলেন তাইনেরা পরিষদ ত্যাগ করিলেই বাট্টা গুনিয়া লইতে প্রস্তুত হইতেছে।
মা’রে তিন জেলা পরিষদ হইলো গিয়া একটি জেলার উন্নয়নের প্রাণ, কিন্তু তারাই যদি উন্নয়নের প্রাণ কারিয়া লয় পাহাড়ের দাদু দিদিগোরতো আমও যাইতেছে ছালাও যাইতেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সুবিধাবাদী, লুটেরা শ্রেণী, সাম্প্রদায়িকতাবাদ, শ্রেণী বিভক্তের রাজনীতির কারনে পাহাড়ের মানুষতো সত্যি রক্তচোষা জোঁকের দলেই বন্ধী। তয় নাটের গুরুর দল নরম-চরম ভক্তের অধিকারী হইয়া হাবাবাতাসের আফিসের মতন তীর বসাইয়া এই কাম চালাইয়া যাইতেছে। আমাগো পাহাড়ের অভাগা মানুষ গুলাইনরে যে যার ভাগে পাইতেছে ললিপপের মতন খালি চুষিয়াই যাইতেছে। পাহাড় উন্নয়নের ফর্দে কোটি কোটি টাকার শুভংকরের ফাঁকি। যুব নেতা ঝিনু দাদুও কহিলেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদে উন্নয়নের নামে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হইতেও টাকা মারিতেছে। এ পরিষদের কাজ লইয়া যা হাবা-বাতাস গন্ধ-সন্ধ পাইতেছি তাতে গত চাইর বছরে কুটি কুটি টাকা লোপাট হইয়াছে। দয়া করিয়া পরিষদগুলাইন লইয়া একটু ভাবিবেন, জনগনের উন্নয়ন না হইলে পরিষদে দলের নেতা মনোনয়ন দিয়া লাভ কি ?
মা’গো শুনিলাম দীপক দাদুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারমন করিয়াছেন। তয় বোর্ডের উপরওয়ালারাতো নাকি তাইনেরে চান্স দিতাছেনা। বোর্ডের এক ছোট্ট দাদু কহিলেন, বর্তমান উচ্চ কর্তারা প্রধানমন্ত্রীর আদেশও অমান্য করিতেছে। এই দাদু আরো কহিলেন সরকারি আদেশ অমান্য করিয়া হেইখানে এক কর্তাতো দুই তিন চার পদও লইয়া বসিয়াছে। বিদায়ী ভাইস চেয়ারমন ঘোষ দাদু’র জন উন্নয়ন এর হ¹ল কর্মকান্ড তদারক করিতে বোর্ডের বহুতেতো পরামর্শ করিতেছেন। তাইনেরাও উন্নয়নে আপনার দেয়া হাজার কোটি টাকার হিসাব লইতে আরজি করিতেছেন। নব দাদুরে অবসরে দিয়া মাদার ডিস্ট্রিক্ট হইতে আমামীলীগের জনবান্ধব নেতাকে নিয়োগ দেন। বোর্ডের হ¹ল উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে নিজের মতন করিয়া পরিদর্শক দেন, যাঁচাই করেন। আমাগো আমীন দাদু কহিলেন পাহাড়ে নেতাগোর হাম বড়, হাম বড় ভাবসাব লইয়া পাহাড় পর্বতে আমামীলীগে আস্থার তলা ফুটো হইতেছে। ঠিকমতন জনসেবা আর আস্থা থাকিলে দেখিবেন মাদার ডিস্ট্রিকে দলের জোয়ার হইবে। বোর্ড লইয়া যেই তালিমালি চলিতেছে এইসব ঠিক করিতে বাহাদুর দাদুরে ওয়ার্ডার করেন, এত তালিমালির কারন কি কুইশান করেন।
পাহাড় পর্বতে মাদক ব্যবসায় জড়িত হোমড়াছোমড়া বহুতে নাকি গা ঢাকা দিয়াছে। পুলিশ দাদুদের কেউ কেউ পুরাতন অথচ মাদক ব্যবসায়ীরা কতোয়ালীর আশ-পাশ থাকিলেও তাইনেরা ধরিতে পারেনা, আজব ব্যপার স্যাপার। শুনিলাম রাঙ্গামাটির থানার পাশে বেলাইল্লার পরিবার মাদক ব্যবসায় বহুবছর ধরিয়া করিতেছে। তার এক পোলা জুইল্ল্র্যাতো তলে তলে মহা অপরাধে জড়িত। এই ব্যবসায় বড় বড় পেট ওয়ালারা পুলিশ দাদুদের প্রভাবিত করিতেছে বলিয়া আমামীলীগের ছোট বড় বহুত নেতার ফিসফাস। মাদক ব্যবসায়ীদের নানান কিচিমের ফন্দিতে ইয়াবার ব্যবসা চলিতেছে। মাদক পাচারে পেট ভাড়াও হইতেছে, মা’গো এইতো মহা তাইজ্জব কান্ড। দেশ ব্যাপী ‘চল যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে’ শ্লোগান বাস্তবায়ন করিতে আইনসৃংখলাবাহিনীর প্রধান প্রধান দাদুদের ওয়ার্ডার করেন। এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবের পরামর্শ খানা ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’জননীগো করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ছহি ছালামতে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। ওবায়দুল দাদুতো উপরওয়ালার দয়ায় ছহিছালামতে দেশে ফিরিয়াছেন। তাইনের জন্য কুটি কুটি দাদু দিদিরা সৃষ্টিকর্তার দরবারে দুই হাত তুলিয়া প্রার্থনা করিয়াছে। তাইনের আরোগ্যলাভে আমি পোড়াকপাইল্ল্যা, অধম, বেকুবও পরম করুনাময়ের চরণে আবেদন করিয়াছি। তাইনে নব উদ্যোমে কাজ করিতে প্রত্যয় জানাইয়াছে। যাউ¹া দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন অনুকুল প্রতিকুল ধরিতে তাইনের উপস্থিতি জরুরী। এই দাদুরে সুস্থ করিয়া দেশে ফেরত দেওনের জইন্য পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তার নিকট আমৃত্যু কৃতজ্ঞ থাকিব।
তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের মানুষতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে। গোটা দেশে মানুষ সৃষ্ট আচমকা অত্যাচার, নির্যাতন আর নারী- নির্যাতন ধর্ষন ঘটনা ঘটিয়াই যাইতেছে। আমাগো পাহাড় পর্বতেও একই অবস্থাই। খাগড়াছড়ির পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মইধ্যে এইপর্যন্ত ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বেশ কিছু নারী শিশু ধর্ষনের শিকার হইয়াছে। পত্রপত্রিকায় যা বার্তা দেখিতেছি দেশে ঐসব জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। রবিন দাদু কহিলেন, এইবার ঢাকা স্টেট কলেজের অধ্যাপক হক দাদুর বিরুদ্ধে অর্ধশত ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠিয়াছে। নারী-শিশু ধর্ষন প্রতিদিনই চলিতেছে। এইসব ঘটনা তদন্ত করিতে কড়া আদেশ দেন। নুসরাতসহ নারী ধর্ষন ও হত্যার বিচার দ্রুত করেন। মা’গো ধর্ষন ও হত্যা ঘটনায় যারা জড়িত তাঁগোর কোন ক্ষমা নয়।
মা’জননীগো আপনিতো কহিয়াছিলেন, যারা খাদ্যে ভেজাল করে এইডাও দূর্নীতি। মহামাইন্য হাইকোর্ট এর বিচারপতিরাতো খাদ্যে ভেজালকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওয়ার্ডার করিয়াছেন। ৫২ প্রতিষ্ঠানের পণ্যের তালিকা প্রকাশ করিয়া বাজার হইতে পণ্য সরাইয়া লইতে আদেশ করিয়াছেন। হাইকোর্টতো দুধ-দই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকাও চাহিয়াছেন। খাদ্যপণ্যে এত ভেজাল চলিলেও দেশের নিরাপদ খাদ্য আধিদপ্তর এর কর্তারা কি মাসে মাসে বেতন লইয়া খালি লেফ-রাইট করিয়াছে। ভেজালের বিরুদ্ধে হাইকোর্টতো যুদ্ধ চাহিলেন। জাতি ধ্বংসে খাদ্যে ভেজাল জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নেন। ভেজাল প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করিতে ম্যাজিস্ট্রেটসহ বাজারে যৌথ বাহিনী ছাড়িয়া দেন। জাতি বাঁচাইতে হাইকোর্টের আদেশ গুনাক্ষরে পালন করিতে আপনার মন্ত্রী, সচিবসহ দলের নেতানেত্রীগোরে কড়া ওয়ার্ডার করেন।
রনি দাদু যা কহিলে মনে হইতেছে বিমানের কার্গোতেও আকাসে বাতাসে উড়িয়া উড়িয়া হরিলুট চালাইতেছে। তদন্তের নাকি নজির বিহীন দুনীতি ধরা পড়িয়াছে। এক দুই নয় গত নয় বছওে চারশত বার কোটি টাকা লুট করিয়াছে। প্রমাণ না রাখিতে নাকি তিন ট্রাক নথিও পোড়াইয়া ফেলিয়াছে, তাইজ্জব কান্ড। এই লংকা কান্ডের দূর্নীতিতে উজির নাজিরদের বাহির করিতে বিমান মন্ত্রীকে কড়া আদেশ দেন।
মা’গো কৃষক আব্দুল দাদুর অভিনব প্রতিবাদ যুক্তি সংঘত। ধানের মূল্যের চাইতে শ্রমিকের পারিশ্রমিক বেশী, ক্ষোভে তাইনে ধানক্ষেতে আগুন দিয়াছেন। দেশে খাদ্য যোগান দিতে গিয়া আব্দুল দাদুরা পানতা খাইয়া, রোদে পুড়িয়া, বৃষ্টিতে ভিজিয়া, জোঁক দ্বারা রক্ত হারাইয়া, বজ্রপাতে মরিয়া যদি লোকসানই গুনিতে হয় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশতো ঘটিবেই। কলেজ পড়ুয়া পুত্রধনরাই বিনাশ্রমে আব্দুল দাদুর ধান কাটিয়া দিয়া এক দিকে দেশব্যাপী প্রশংসার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হইয়াছে আবার একটি নীরব প্রতিবাদও হইয়াছে। রংপুরেও কৃষকরা ধান চাষ না করিতে শপথ করিয়াছেন। সরকারি উদ্যোগে ধান কাটিয়া দিয়া দেশের কৃষকদের ক্ষতি হইতে বাঁচানোর উদ্যোগ লইবেন। মা’রে দেশে খালি দালান আর দালানের প্রতিযোগীতায় পড়িয়া যেটুকু ধান্যজমি আছে তাও শেষ হইতে বসিয়াছে। কৃষক বাঁচিলে খাদ্য বাঁচিবে, ধানীয় জমির উপর আবাসন প্রকল্প, নগরায়ন বন্ধ করিয়া দিতে হইবে। বড় বড় দালানের ছাদে যদি ফুল, ফল, মুল চাষ হয় তাহা হাইলে ধানও চাষ হইবে। দালানের ছাদে ধান চাষ করিতে বিজ্ঞান সম্মত দ্রুত উপায় বের করেন। এই পোড়াকপাইল্ল্যা, অধম বেকুবের পরামর্শখানা চিন্তা করিবেন, গবেষনা করিবেন, ফলিলে দেশের ধান-চালে আলাদ্বীনের চেরাগও জ¦লিতে পারে।
মা’গো চট্টগ্রাম নগরীর আনাচে কানাচেও আকামের বহুত ‘বড় ভাই’ পাকাপোক্ত। স্কুল কলেজেও এই বড় ভাইদের দাপট। চরম অপরাধী এই বড় ভাইদের ফান্দে পড়িয়া বহুতেতো নাকি মান ইজ্জতও হারাইয়াছে। বড় ভাইরা টানা আকাম করিয়া গেলেও নেতাগোর হাই হ্যালোতে পার পাইয়া যাইতেছে। বাকলীয়ায় বুবলী হত্যা জড়িত সন্ত্রাসীতো বন্দুক যুদ্ধে নিহত হইয়াছে। এলাকার বহুতে কহিলেন তলে তলে বহুত অপরাধীর বসবাস রহিয়াছে। মাদকের ছোবলে ধন, মান, প্রাণ যাইতেছে। শুভ দাদু কহিলেন, রাজনৈতিক আর প্রভাবশালীর দাপটে ১৭ পাহাড়ের একটিও দখলমুক্ত হইলো না। উল্টো পুলিশের মাথা ফাটাইয়াছে দখলকারীরা। মা’রে এই বড় ভাই আর প্রভাবশালীদের যা আকাম প্রকাশ হইতেছে তাতে মনে হইতেছে তারা রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থারে তজ্জনী প্রদর্শন করিতেছে।
মা’রে খিলগাঁও এ সন্তানের জন্য দুধ চোর বাবা আর মানবতার জন্য পুলিশের কমিশনার সোহাগ বাবাকে আর্শিবাদ। এখানে এক বাবা সন্তান রক্ষায়, অপর বাবা পুলিশ কমিশনার ও স্বপ্ন শপের মালিক মানবতা আর ভালবাসা রক্ষায় নিজেদের মানবতাও সমর্পন করিয়াছেন। চোর বাবা যে দোকেন চুরি করিয়াছেন সেই দোকানেই স্বপ্ন সুপার শপে তাঁর চাকুরী হইয়াছে। মহৎ বাবাদের জন্য এই পোড়াকপাইল্ল্যা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর অশ্রুজ¦লে আর্শিবাদ রইলো মানবতার জীবন যুদ্ধে যেন তাঁনেগোর সবসময়ই জয় হয়। মা’গো সন্তানের জন্য দুধ চোর বাবার খোঁজ লইয়া ছোট্ট কিছু করিতে উদ্যোগ লইবেন।
মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি মানুষের জন্য আর্শিবাদ রইল, ভালো থাকিবেন, নিজের খেয়াল রাখিবেন।
ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ১৯মে- ২০১৯খ্রীঃ