আমামীলীগের নেতা বহুতের ওজনও ভোজনের তালে,না দৌড়াইলে ষড়যন্ত্র চেয়ারের খুঁটিতে করাত চালাইবে
পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-৭২
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড়-চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার-সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় সোনার বাংলার দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপুনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক দাদু-দিদি লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপুরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, ষড়যন্ত্রের জেল খাটিয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, হতভাগা, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপুনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৭২ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপুনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় লইয়া ভালামন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুক্ষ্ম চিন্তায় পাহাড় শাসনের সুক্ষ্ম ব্যবস্থাপত্রও বানাইবেন।
শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, স্বপ্নদ্রষ্টা, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ্ব নেতা মা’জননীগো এই অভাগা পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হগ্গল কোনার বার্তা লইয়া আপুনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো দূর্বিফাঁকে পড়িয়া মইধ্যে মইধ্যে চোখে ঝাপসা দেখিয়া পক্ষও অপক্ষে গড়াইতেছে। নানান কিসিমের সাইন বোর্ড, আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্য, অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া দৌঁড়াইতেছে। বহুতে বন্দুকের নলায় ফটর ফটর করিয়া দাদু-দিদিগোরে খালি পরপারে দিতে ওস্তাদ। পর্বতের বহু ওস্তাতগোর দলাদলী বলাবলি লইয়া জীবন সাঙ্গে যোগই হইতেছে। ক’দিন বিরতি থাকিয়া আবার ঢুঁস-ঢুঁস করিয়া ফুটায়। লাগাতার অত্যাচারে অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেই আছে, বৈদ্য ওজাতেও ফলাফল শুন্য। অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে, চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে-চাপড়াইতে জানপরান হেই আছে হেই নাই। উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপুনি মমতাময়ী, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ্ব নেতা’র দরবারে খালি মিনতি জানাইতেছে। যাউগ্গা এইবার পর আলোচনা-সমালোচনা-পরামর্শ হইলো….
মা’জননীগো, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদার ডিস্ট্রিক্ট রাঙ্গামাটির প্রার্থী লইয়া সমাপনে মেঘই কাটাইলেন। রানৈতিক শুদ্ধাচার আর শিষ্টাচার না থাকনের কারনে তলে তলে গুরুমারা শিষ্য বহুত। এই কাম চালাচালিতে আমামীলীগের নেতা বহুতের ওজনও ভোজনের তালে। বদলের পাল তুলিয়া হাল ধরিতে আগাইলেও বহুতে কহিলো এই কামের পিছনে যারা তালি মারিয়াছে তারা ভালা করিয়া এক উপুজিলাও সামাল দেওনের ক্ষেমতা নাই। তালুকদার দাদুর পাল্টা সক্ষমতার লিডার তৈরীও ভাবনের বিষয়। তালুকদার দাদু হইলো আমামীলীগের পুতিক পাহাড়ের গর্ব তাইনেরে মুন্ত্রীর আসনেও দেখিতে মাদার ডিস্ট্রিক্টের বহুতের স্বপ্ন। মা’গো অতীত ঘাটিলে এই পাহাড়ে আগে যারা আছিল তাইনেরা দায়িত্ব দিলে হাঁটি হাঁটি পা করিয়া তালুকদার দাদু সিলবার, আয়রণ, গোলেন্ড আর রাবার বুলেট টপকাইয়া দলের উত্তান ঘটাইয়াছিল ইতিহাসতো হেইডাই কহে। তাইনেরে মুন্ত্রীর সম্মানের বিষয় আসয়ে আপুনার দরবারে আরজি, ভাবিয়া দেখিবেন। আমাগো খাগড়াছুড়ির এমপি কুজেন দাদুরে পুতিমুন্ত্রী দিয়া পাহাড়বাসী খুশী। বহু বছর পরে হেই পাহাড়ের দাদু-দিদিরা একজন মুন্ত্রী পাইয়াছে।
মা’গো, বান্দরবান পাহাড়ের ঘটনা বহুল পুরিস্থিতিতো পরিবার, সমাজ আর রাষ্ট্ররে চরমভাবে আঘাত করিয়াছে। সন্ত্রাসীগোর কাইজকামতো স্বাধীনতা আর সার্বভৌমকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করিতেছে। সেনা বাহিনীর সদস্য খুন, অস্ত্রের ভয় দেখাইয়া হেইখানের কয়েক উপুজিলা হইতে অসহায় গ্রামবাসীগোরে খেদাইয়া দেওন, জঙ্গী ট্রেনিং কানেংশন, মাদক চোরাকারবারী, বন-পাহাড় ধ্বংসকারীর দলের অত্যাচার নিপীড়ণ চালাইয়াছে লাগাতার। ভাবুক বহুতের বার্তায় যাত্রা পালার পুতুলের মতনই পাহাড় নাচাইতেছে। আমাগো সাবেক মুন্ত্রী বীর দাদুতো ক্ষেমতায় থাকিয়া খালি ফুঁত ফুঁত বাঁশি লাগাইয়া দৌঁড়াইয়াছে। বিজ্ঞ চিন্তুক, রানীতিক, গাঁও-গ্রাম-মহল্লার সচেতন দাদু বহুতের আক্ষেপ বান্দরবান পাহাড়ে মহা মহা ঘটনা ঘটিলেও পাল্টা শক্ত হুঁশিয়ারীও নাই, আমামীলীগেরও ক্ষেপা বহুতের বুক ফাঠেতো মুখ ফাঠেনা অবস্থার কুইশানে নেতারা কি খালি ললিপপ চুষিয়া বেড়াইয়াছে। পার্বইত্য চুক্তির আর্ন্তজাতিক সুনাম অর্জন লইয়া নতুন করিয়া পাহাড়ে শান্তি কুমিটি আমামীলীগের সরকারে চরম দূর্ণাম নয় কি। বহুতের পরামর্শ হইলো জনসংহুতি সুমিতিরে হাতে লইয়া পাহাড় শাসনে আগাইতে, বিষয়খানা ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’জননীগো, পাহাড়ের বহুতরকুমের শয়তানি চলিতেছে। নতুন করিয়া মারমা ন্যাশনাল পার্টি জনসংহুতি সুমিতির লগে যুদ্ধের ঘোষণা ছারিয়াছে। পাহাড়ের পত্রপুত্রিকায় ফলাও করিয়া সংবাদও ছাপাইয়াছে। কেএনএফ’র পর তলে তলে অস্ত্রধারী মারমা পার্টির মারমূখী নেতার সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই যুদ্ধের হুমকী পাহাড়বাসীরে চরম ভাবাইতেছে। সচেতন দাদু-দিদি মহলের কুইশান হইলো চান্দাবাজী ধান্ধাবাজির টাকায় কি অস্ত্রের মজুদ বাড়িতেছে? তাইনেগোর আরো বার্তা হইলো এই অবৈধ অর্থ সীমান্ত লাফাইয়া রুপি-কিয়াট হইতেছে কি-না। মা’রে বিশ্বের যা পুরিস্থিতি তাহাতে পাহাড় পর্বত লইয়া চুলছেড়া ভাবনের কড়া টাইম চলিতেছে। আচমকা ফটর ফটর করিয়া মারিতে থাকিলে অসহায় দাদু-দিদিরা কাঁথা-কম্বল-ডেকসি-পাতিল লইয়া পলাইবার সমুয়ও পাইবে না। চিন্তুক দাদু-দিদিগোর বয়ান কি বলিব এই অধম, অর্থ হারা পোড়াকপাইল্লারও রাইতে চোখ খাড়াইয়া থাকে। তয় মা’রে বিমান বন্দরের রাডারের এক চোখ পাহাড়ের দিকে ঘুরাইয়া দিলে হগ্গলই পস্ট হইবে, ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’গো, দ্বাদশ ইলেকশনে যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগে আপুনার হিসাব এই পোড়াকপাইল্লাও পস্ট আশা করিয়াছিল। আমামীলীগের জংধরা নেতা বহুতেতো চেয়ারও ছাড়িতে নারাজ। এইবার বহুতে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেখিলেই ভয়ে থর থর করিয়া কাঁপিবে। ইউনিয়ন-উপুজিলা-পৌরসভাতেও দলীয় মার্কা বাদ দেন। দলের চোর ডাকাইত লাল কালিতে ক্রস করেন। দলের হোক আর স্বতন্ত্র হোক সৎ আর মেধাগোরে টানিয়া পাশে বসান। এইবারের ইলেকশনে বহুতে বড় শিক্ষা পাইয়াছে। আমামীলীগের নেতা বহুতে নেতৃত্বরে রাজতন্ত্র বানাইয়া ফেলিয়াছে। এত্ত এত্ত বছর ক্ষেমতা গিলিয়া নিজেগোর চেয়ারে নিজের পোলাপাইন বসাইতে নানান কিচিমের ফন্দি আঁটায়। যাউগ্গা দেশের হ্রতদরিদ্র, দরিদ্র, নিম্নবিত্ত, মইধ্যবিত্ত হ¹লের জমাজাটি যা আছিল চরমমূল্যে তাঁগো পকেট খালি। ঋন গ্রস্ত লইয়া জীবন পার করিতেছে। ফিরিকশন লাগাইতে দেশী-বিদেশী মোড়লরাওতো বহুত প্যাঁচ মারিতেছে। বিএনপি নিজেগোর আস্থা ঠিক করিতে না পারিলে তত্বাবধায়করাই যে পারিবে হেইডারওতো গ্যারান্টি কি। পুরিস্থিতি যা তাহাতে পিছনে থাকনের সমুয় নাই আগেভাগে না দৌড়াইলে ষড়যন্ত্র চেয়ারের খুঁটিতে করাত চালাইবে।
মা’গো দেশের খ্যাতি দুই নম্বর রাজধানী চাঁটগার সিটি কর্পোরেশনের দাদুতো খাল নদী নালা উদ্ধারে নরম তরমে চলিতেছে। তার মইধ্যে নানান কিচিমের অঘটনতো লাগিয়া রহিয়াছে। কিশোর-যুব গ্যাংক তাঁগোর আকামের কাজে টানা চালাইয়া যাইতেছে। স্বাস্থ্য সেবার পুরিস্থিতিওতো বহুত উন্নত হইলেও চাঁগার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার কাউন্টারগুলাইনে ধাক্কা মারিতে ওয়ার্ডার দেন। চমেকেও নাকি বহুত যন্ত্রপাতি যোগ হইয়াছে। জটিল কুটিল রোগের চিকিৎসা যদি দেশেই পাইয়া যায় তয় বিদেশ যাওনের দরকার কি। ডেঙ্গুর ডলাডলিতে সিটি কর্পোরেশন গুলাইনের বিরুদ্ধে বলাবলির দিন গুণিতক হাড়ে। মজুদদার আর মহা মহা পেটুকগোর বিষয়ে খাতুনগঞ্জের নিত্যপন্য লইয়া সাঁড়াশি অভিযান চালনের দরকার। রোহিঙ্গা আরসা এইসব বিষফোঁড়া লইয়া দেশের দাদু-দিদিরা আর কত অত্যাচারের শিকার হইবে। ওপারের মর্টার সেলও এই পারের ঘটনায় হামাগুড়ি দিয়া ঘর ছাড়িতেছে।
মা’গো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালা-মন্দে আপুনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায়ও। এমনিতে মানব সৃষ্ট অত্যাচার,নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে পিষ্ট। মা’রে মানবতাবিরোধীগোর এইসব কাইজ কাম বধ্ করিতে আপুনার নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।
মা’জননীগো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দুর্নীতিমুক্ত নেতা-দেশ গড়নের পিছনে শক্ত হইবেন। জাতিরে কলঙ্কমুক্ত করিতে কঠিন উদ্যোগ লইবেন। তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপুনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কামে লাগিবে, কথা হইলো আপুনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জইন্য আর্শিবাদ, দোয়া থাকিল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালা থাকিবেন, হ¹লরে ভালা রাখিবেন। আইজ এই পর্যন্ত…..
ইতি,
আপনারই কুঠি কুঠি দাদু-দিদির পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনা- এস.এস.বি.এম, তারিখ- ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ খ্রীঃ