পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-০৭
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার আর্শিবাদে সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৭ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’রে অভাগা দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু মন দিয়া পড়িবেন। যাউ¹া, পর আলোচনা হইলো…
মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, দখলপত্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পাহাড়ের দাদু-দিদিরাতো কহিতেছেন তাইনেরা নাকি প্রতিপক্ষ বধ্ করিতে কোমড় বাঁধিয়া প্রতিযোগীতায় নামিয়াছে। তয় এই প্রতিযোগীতায় নামিয়া পাহাড়ে অকালে জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগ হইতেছে। এইসব লইয়া আমাগো পাহাড়ের অসহায়রাতো সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান নখের কোনায় লইয়া দিন রাইত পার করিতেছে। মা’গো এইসব লইয়া তিন পর্বতেতো পাপের বোঝা বস্তায় বস্তায় হইয়া গিয়াছে, পাহাড়ের পেড়াকপাইল্লাগোর শান্তির জন্য এইসব বস্তার মুখ খুলিয়া সিরিয়াল করিয়া কাম শুরু করনের দরকার। দূর্বৃত্তগোর অত্যাচারে অসহায় দাদু-দিদিরা আমস্বত্ত হইয়া যাইতেছে। উপায়ন্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনার দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে, মা’জননীগো দয়া করিয়া ব্যবস্থা লইতে আগাইবেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, একটু সময় দেন।
আমাগো দত্ত দাদু কহিলেন, মাদার ডিস্ট্রিকে আমামীলীগের সুবিধাবাদীরাই নাকি দলের তেরটা বাজাইয়াই যাইতেছে। দলের নব্য বহুতে নেতাগোর তেলবাজী, চাঁপাবাজী আর নেতাগোর কানে কানে ফিস ফিস করিয়া নব্য নেতারা নিজের আঁখের গোছাইতে ব্যস্ত। তাইনেতো আরো কহিলেন, দলের প্রকৃত ত্যাগীরা মূল্যায়ন বঞ্চিত। এইসব কারনে জেলা আমামীলীগের নের্তৃত্ব গোঁমট বাঁধিয়াছে। যারা ক্ষমতা পাইয়াছে তারা উন্নয়নের নামে যে যা পারিতেছে নিজের আখেঁর গুছাইয়াছে। তয় মা’রে পাহাড়ে আপনার উন্নয়ন কর্মকান্ডের তালিকা ধরিয়া আগাইলেই আকাম কাজের হ¹লই আমাগো কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলের মতন পস্ট দেখিবেন।
উপজেলা নির্বাচন লইয়া বাঘাইছড়ির নয় মাইলে আট ও আমামীলীগের সুরেশ দাদুসহ ৯ হত্যাকান্ডের আসামীরাতো ধরাছোঁয়ারই বাইরে। এইসব লইয়া পাহাড়ের দাদু-দিদিরাতো কহিতেছেন আসামীরা কি আসমানে পাড়ি জমাইয়াছে কিনা। পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত এলাকার বহুত দাদু-দিদিরাতো অভিযোগে স্থির, সীমানার ঘেরাবেড়ায় নাকি বড় বড় ছিদ্র। দূর্বৃত্তরা নাকি আকাম করিয়া ঐসব ছিদ্র ক্রস করিতেছে। যদি তাই হয় স্বরাষ্ট্র দাদুরে পাহাড়ে রাডার বসাইতে পরামর্শ করিয়াছেন। তয় পাহাড় পর্বত লইয়া আমাগো স্বরাষ্ট্র দাদু কোন গতিতে রহিয়াছেন পর্বতের মানুষতো দেখিতে চায়। মা’গো পর্বতবাসীর ভবিষৎ কি, সময় থাকিতেই লাইনে গমন করনের দরকার বলিয়া আমামীলীগের নেতারাও কহিতেছে, বিষটি ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’রে সমতলের মতন গত এক সপ্তাহ ধরিয়া পাহাড়েও নারী ধর্ষন ঘটনা ঘটিয়া যাইতেছে। মাদার ডিস্ট্রিকের লংগদু পাহাড়ে এক ভন্ড কবিরাজের দ্বারা গৃহবধু, শহরের প্রাণ কেন্দ্র রিজার্ভ বাজারে ট্যাবলেট পার্টির খপ্পরে পড়িয়া ইউপি সদস্যা, কাউখালীর পাহাড়ে চকলেট পার্টির খপ্পরে পড়িয়া শিশু, খাগড়াছড়ির রাগড় পাহাড়ে কেক পার্টির খপ্পওে পড়িয়া মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষন ঘটনা লইয়া মানুষ চিন্তায় পড়িয়াছে। আবার মাদার ডিস্ট্রিকে ছাত্রলীগের নেতা তার ভাইকে লইয়া নিজের স্ত্রীকে পুড়িয়া মারার চক্রান্ততো আমামীলীগের নেতাগোর চোখ কপালে। যদি ঘটিয়া যাইতো তাহা হইলেতো আমাগো নুসরাতের মতনই হইতো। মা’গো দেশের সমতলের মতন ধর্ষন ঘটনা পাহাড়েও বাড়িয়া গিয়াছে। এইসব ঘটনায় জড়িত জানোয়ারদের দ্রুত বিচারে কোন ছাড় না দিতে ক্ষগ্রিস্তরা আপনার দরবারে নিবেদন করিতেছে। দ্রুত বিচার করিয়া ধর্ষক দুই-চারটারে ঝুলাইয়া দেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সুবিধাবাদী, লুটেরা শ্রেণী, সাম্প্রদায়িকতাবাদ, শ্রেণী বিভক্তের রাজনীতির কারনে পাহাড়ের মানুষতো সত্যি রক্তচোষা জোঁকের দলেই বন্ধী। তয় নাটের গুরুর দল নরম-চরম ভক্তের অধিকারী হইয়া হাবাবাতাসের আফিসের মতন তীর বসাইয়া এই কাম চালাইয়া যাইতেছে। আমাগো পাহাড়ের অভাগা মানুষ গুলাইনরে যে যার ভাগে পাইতেছে ললিপপের মতন খালি চুষিয়াই যাইতেছে। পাহাড় উন্নয়নের ফর্দে কোটি কোটি টাকার শুভংকরের ফাঁকি। জেলা পরিষদ সৃষ্টির পর নাকি কেতুর নেতৃত্বাধীন মনোনীত পরিষদ দূনীতিতে মার্কামারা পরিচয় স্টাব্লিষ্ট করিয়াছে। সুমন দাদু কহিলেন রাঙ্গামাটি পৌরসভার নির্বাচিত পরিষদও নাকি তলে তলে বহুত দূর্নীতি চলিতেছে। শহরের ফুটপাতের উন্নয়নে যে টাইলস বসাইয়া যাইতেছে তার উপর নাকি গরু ছাগল হাঁটিলেও ভাঙ্গিয়া যাইবে। সত্যি হইলো গিয়া মাদার ডিস্ট্রিকে গত পনের বছর ধরিয়া যে নের্তৃত্ব তৈরী করিয়াছে সবগুলাইন তালিমালিতে নাকি ফাস্ট ক্লাশ। আমামীলীগের নেতা গোছের বহুতেতো একই কথা কহিতেছেন। তাইনেরা কহিতেছেন আমি যাহাই বলিব তাহাই চলিবে এই দিন শেষ করিতে হইবে, জেলা আমামীলীগের নের্তৃত্ব ছাঁকিয়া তৈরী করিতে হইবে। মা’জননীগো মাদার ডিস্ট্রিকের নের্তৃত্ব লইয়া একটু মন দেন, নিজেই তদারক করিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব ঠিক করেন দেখিবেন গোল্ডেন প্লাস না হইলেও গ্রহনযোগ্য প্লাসতো হইবে। বিষটি ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’রে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তবর্তী পরিষদের মেয়াদও শেষের পথে। মেয়াদ শেষান্তে জেলা পরিষদে মনোনীতের তালিকায় থাকিতে এখন হইতে চাপা ঠেলাঠেলিও চলিতেছে। তয় তিন পাহাড় কোনার যা হাবাবাতাস পাইতেছি পরিষদেও চেয়ার পাইতে কারে কে পটকাইবে, লটকাইবে, ঝাটকাইবে এইসব লইয়া জেলার পদস্থ নেতাদের পিছনে এখন লাইন চলিতেছে। মাদার ডিস্ট্রিকেও একই অবস্থা, গেল পরিষদে জনবিচ্ছিন্ন মতর্খা বহুতেরে প্রতিনিধি বানানো হইয়াছে অথচ ত্যাগীগোর স্থান ফক্কা। তিন জেলা পরিষদে অন্তর্বতী পরিষদ নের্তৃত্ব মনোনয়নে এইবার অন্তত নিজেই ভালো করিয়া খোঁজ খবর লইবেন।
শুনিলাম সচিব দীপক দাদুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারমন এর দ্বায়িত্ব দেয়া হইয়াছে। হেইখানে এক কর্তাতো দুই তিন পদও লইয়া বসিয়াছে। বিদায়ী ভাইস চেয়ারমন ঘোষ দাদু’র জন উন্নয়ন এর হ¹ল কর্মকান্ড তদারক করিতে বোর্ডেও বহুতেতো পরামর্শ করিতেছেন। উন্নয়নে আপনার দেয়া হাজার কোটি টাকার হিসাব লইবেন। নব দাদুরে অবসরে দেন। তয় বোর্ডে চেয়ারমন পদে মাদার ডিস্ট্রিক্ট হইতে জেলা আমামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর বিজ্ঞ সহ-সভাপতি হইতে বাছাই করিয়া জনবান্ধব নেতাকে নিয়োগ দেন। বাহাদুর দাদুরে এইসব ঠিক করিতে ওয়ার্ডার করেন। আমাগো আমীন দাদু কহিলেন পাহাড়ে নেতাগোর হাম বড়, হাম বড় ভাবসাব লইয়া পাহাড় পর্বতে আমামীলীগের তলা ফুটো হইতেছে। ঠিকমতন জনসেবা হইলে দেখিবেন মাদার ডিস্ট্রিকে দলের জোয়ার হইবে। বোর্ডের হ¹ল উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে নিজের মতন করিয়া পরিদর্শক দেন, যাঁচাই করেন।
পাহাড় পর্বতে মাদক ব্যবসায় জড়িত হোমড়াছোমড়া বহুতে নাকি গা ঢাকা দিয়াছে। অথচ আমাগো পুলিশ দাদুদের ফর্দে নাকি চুনোপুঁটি। এই দাদুদের কেউ কেউ পুরাতন হইলেও মাদক ব্যবসায়ীরা কতোয়ালীর আশ-পাশ থাকিলেও তাইনেরা ধরিতে পারেনা, আজব ব্যপার স্যাপার। শুনিলাম থানার পাশে বেলাইল্লার পরিবার মাদক ব্যবসায় বহুবছর ধরিয়া জড়িত। তার এক পোলা জুইল্ল্র্যাতো তলে তলে মহা অপরাধে জড়িত। এই ব্যবসায় বড় বড় পেট ওয়ালারা পুলিশ দাদুদের প্রভাবিত করিতেছে বলিয়া আমামীলীগের ছোট বড় বহুত নেতার অভিযোগ। বড় বড় পেট ওয়ালারা কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে পাবলিকতো কুইশান করিতেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের নানান কিচিমের উদ্যোগে ইয়াবার ব্যবসা চলিতেছে। এই মাদক পাচারে পেট ভাড়াও হইতেছে, মা’গো এইতো মহা তাইজ্জব কান্ড। মা’রে দেশ ব্যাপী ‘চল যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে’ শ্লোগান বাস্তবায়ন করিতে জড়িতদের আটক করিয়া দ্রুত লম্বা শাস্তি নিশ্চিত করিতে পুলিশ প্রধানরে ওয়ার্ডার করেন। জেলায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আছে কিন্তু জনবল নাই। নিয়ন্ত্রণ নাম পরিবর্তন করিয়া “মাদক নির্মূল অধিদপ্তর” করেন। হেই খানে বাঘা বাঘা কর্তা বসাইয়া দেন। এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবের পরামর্শ খানা ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’জননীগো করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ছহি ছালামতে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় আপনি দেশের উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের মানুষতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে। গোটা দেশে মানুষ সৃষ্ট আচমকা অত্যাচার, নির্যাতন ধর্ষন অব্যাহত রহিয়াছে। এবার আশুলিয়ায় স্বামীকে বাঁধিয়া স্ত্রীকে গনধর্ষণ করা হইয়াছে। টাঙ্গাইলে ভন্ড পীরের কাছে নববধূ ধর্ষন হইয়াছে। গত এক সপ্তাহে পাহাড়েও তিন নারী শিশু ধর্ষন হইয়াছে। নুসরাতকে যারা হত্যা করিয়াছে তাঁগোর কোন ক্ষমা নয়। যা বার্তা দেখিতেছি দেশে ঐসব জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। এই আকামেতো আমামীলীগের নাম ধারী নেতা জানোয়ারও রহিয়াছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিজ্ঞ দাদু-দিদিরা কহিতেছেন দেশব্যাপী আমামীলীগের ভিতরে হেই জানোয়াররা বাসা বাঁধিয়াছে। আমাগো শুভ দাদু কহিলেন এবারে র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে চট্টগ্রামে মারা গিয়াছে কোচিং সেন্টারের ছাত্রী ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী মাস্টার সাইফুল। মা’গো অপরাধীর জাতগোত্র দল ভাগ থাকেনা। যত ধর্ষন ঘটনা হইয়াছে ধর্ষকরা যাহাতে পলাইতে না পারে কারেন্ট জাল বসাইয়াতে পুলিশ প্রধানরে ওয়ার্ডার করেন। মা’গো এই বিশ্রি ঘটনায় কোন ছাড় নয়, দয়া নয়, রাজনৈতিক দৃষ্টিও নয় কঠোর শাসনের দৃষ্টিতে দেখিতে প্রশাসন, আইনসৃংখলা বাহিনী আর আমামীলীগের নেতাগোরে কড়া ওয়ার্ডার করেন।
মা’গো চট্টগ্রাম নগরীর আনাচে কানাচেও আকামের বহুত ‘বড় ভাই’ পাকাপোক্ত হইয়াছে। হেইখানের রভ দাদু কহিলেন, বড় ভাইদের দাপটে নগরের অলি-গলির মানুষ ভয়ের মইেধ্য রাইত দিন পার করিতেছে। স্কুল কলেজেও এই বড় ভাইদের দাপট। শতাধিক বড় ভাই এখন স্ব-গোপনে আর আত্মগোপনে। চরম অপরাধী এই বড় ভাইদের ফান্দে পড়িয়া বহুতেতো নাকি মান ইজ্জতও হারাইয়াছে। সরকার দলের সাইন বোর্ড লাগাইয়া টানা আকাম করিয়া গেলেও নেতাগোর হাই হ্যালোতে পার পাইয়া আকাম চালাইয়া যাইতেছে। মা’রে এই বড় ভাইদের যা আকাম পত্রিকায় প্রকাশ হইতেছে তাতে মনে হইতেছে তারা রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থারে তজ্জনী প্রদর্শন করিতেছে।
দেশের মাছের ভান্ডার চট্টগ্রামের হালদারে রক্ষা করেন। যা চিত্র দেখিতেছি মানুষের নানান কিছিমের অত্যাচারে অত্যাচারে মাছ উৎপাদনের এই ভান্ডারতো ধ্বংস হইয়া যাইতে বসিয়াছে। এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ হ্রদ রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদও দখলমুক্ত করিতে দ্রুত উদ্যোগ নেন। হ্রদতো দখল করিতে করিতে ছোট হইয়া যাইতেছে। পাহাড়ের কর্ণফুলীকে দূষণ ও দখলমুক্ত করিতে আইনীভাবে কঠোর হইতে আদেশ করেন। দেশের ছোট বড় নদী, খাল নালাকে দখলমুক্ত করিতে হট লাইনে যাইবেন।
ফখরুল দাদু বাদে আমাগো বিএনপির বাকী এমপিরাতো অবশেষে শপথ লইয়া সংসদে যোগ দিলেন। যা আরো আগেই করনের দরকার আছিল। তাইরোতো গনতন্ত্রের কথা কহেন অথচ শপথ না নিয়া গনতন্ত্রকে উল্টো অসম্মান করিয়াছেন। শপথ না লইয়া ফখরুল দাদুর আসনতো শুন্য হইয়া গেল। কথায় বলে কেউ হারাইয়া বোঝে আর কেউ মারাইয়া বোঝে। আমাগো বিএনপির দশা হইলো এরই অবস্থা।
মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি মানুষের জন্য আর্শিবাদ রইল, ভালো থাকিবেন, নিজের খেয়াল রাখিবেন।
ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ৫ মে- ২০১৯খ্রীঃ