পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধান উপুদিষ্টা ড.মু. ইনুস দাদু’র নিকট খোলা চিঠি-০২
বাংলাদেশের অহংকার, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মাননীয় প্রধান উপুদিষ্টা ড.মু, ইনুস দাদু,. পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড়-চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার-সালাম লইবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তা লগে দেবদেবীর অশেষ কৃপায় ষড়যন্ত্রের বাংলাদেশের অন্তর্বুর্তি সরকারের প্রধান দায়িত্ব লইয়া বৈষুম্যহীন স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার আশায় দেড় ডজন কুঠির মানুষ অ-মানুষ লগে নানান স্বপ্ন লইয়া দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক দাদু-দিদি লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপুরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, ষড়যন্ত্রের জেল খাটিয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুঁতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, হতভাগা, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপুনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ ০২ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। দাদু’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা দাদু’র খোলা চিঠিখানা সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় লইয়া ভালামন্দ ভাবিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া পাহাড় শাসনের বৈষুম্যহীন ব্যবস্থাপত্রও বানাইয়া আগাইবেন।
পরম শ্রদ্ধেয়, শান্তিতে নবুলজয়ী বিশ^নেতা অধিকারী দাদু’গো যতদিন ক্ষেমতায় অধিষ্ট থাকিবেন এই অভাগাও পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড়-সমতল হ¹ল কোনার চরম-নরম বার্তা লইয়া আপুনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে এক খানা খোলাচিঠি লিখিব, নানান পরতের দাদু’গোর অপছায়ার দূর্বিফাঁকে পড়িয়া মইধ্যে মইধ্যে দুই নয়নেও ঝাপসা দেখিয়া পক্ষও অপক্ষে গড়াইয়াও যাইতেছে। পাহাড়েও নানান কিসিমের সাইন বোর্ড, আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্য, অপকর্মপথ্যের বিস্তারে টানা দৌঁড়াইতে যাইয়া বহুতেরে বন্দুকের নলায় ফটর ফটর করিয়া পরপারে দিতেছে। পর্বতের বহুত কুস্তিগিরের মারপ্যাঁচে বহুতের জীবন সাঙ্গ হইতেই আছে। তয় ক’দিন বিরতি থাকিয়া আবার ঢুঁস-ঢুঁস করিয়া ফুটায়। বিচার আচার না পাইয়া লাগাতার অত্যাচার হইতে বাঁচিতে বহুতে ভাগ্য বদলে বৈদ্য+স্ট্রলোজারগোর দুয়ারেও ধর্ণা মারিতেছে। দেখিতেছি, বলিতেছে, বলাইতেছে এই ঘ্যাঁরাকলে পুড়িয়া অসহায় দাদু-দিদিরাতো পিষ্ট। কপাল ফাটা-চাম ফাটারা বুক চাপড়াইয়া ধরফরাইয়া জানপরান হেই আছে হেই নাই অবুস্থা। তয় বাঁচিয়া থাকিবার তাগিদে করুনাময় সৃষ্টিকর্তার দরবারে আঁকুতিও জানাইতেছে। যাউ¹া, এইবার পর বার্তা লগে পরামর্শ হইলো….
দাদু’গো, এইসব কি চলিতেছে দেশে, বৈষম্যবিরুধীরা ফ্যাসিস্টগোরে নাকি দৌঁড়াইয়াছে যা মনে হইতেছে দেশবাসী নতুন করিয়া প্যাঁচিয়া মরনের খপ্পড়ে পড়িয়াছে। রাজধানীর ফাঠাছেড়াতে গোটা দেশের আনাচে কানাচেও ফাঠিতেছে। কোলেজ-বিশ^ুবিদ্যালয়ের নানান পরদের পোলাপাইনেগোর পড়ালেখাতো ধ্বংসের পথে গড়াইয়াছে। আপুনার পিছনে বিষাক্ত ভেঁউরার পাল পড়িয়াছে বলিয়াই মনে হইতেছে। দাবিতে দাবিতে যেই দাবানলের পুরিস্থিতি বানাইতেছে হেই দাবানলে আপুনারেও পোড়াইয়া মারিতে চক্রান্ত হইতেছে কিনা ডরেডরে এই অধমও দিন কাটাইতেছি। সত্যবয়ানের দাদু বহুতে কহিলো আপুনার নির্বাহী বিভাগের কথায় কান-মন না দিয়া আন্দোলনের নামে যে যার মতনই প্রশাসনের কর্তাগোর উপুর জোর চালাইতেছে, ভয় দেখাইতেছে। লাজ লজ্জ্যায় আমাগো প্রশাসনের বহু কর্তা দাদুরাও দর্শকের ভুমিকায় রহিয়াছে।
দাদু’গো আমাগো এনসিসিপির নেতা দাদুরা ভাবিতেছে তাইনেরাই যা কহিবে হ¹লই সত্য তয় এই বেড়াজালের টেরা দাদুরা রাজনীতির শিষ্টাচার-সভ্যতারেও পাঠায় তুলিয়া পিষিয়া মারিতেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা দাদুগোর কিচ্ছা কাহিনীও বহুত কুইশান দাঁড় করাইয়াছে হালের ফাঠাছেঁড়া সমাজে, ঘুঁটা দিলেই পস্ট হইবে। আপুনার অন্তবুর্তী দরবার হইতে তিন দাদুর অপসারণ লগে আপুনার সরকাররে সমর্থন না দেওনের ভাষণও দিয়াছে বিএনপি। দাদু’রে আপুনি দেশের আইনসৃংখলা, খাদ্যদ্রব্য সহনীয় করণ, ডান-বামের দেশগুলাইনের লগে কূটনৈতিক সম্পুর্ক জোরদার না করিয়া নানান কিচিমের সংস্কার লইয়া লাগামহীন তালগোল পাকাইয়া লেজেগোবরে করনের কি দরকার আছিল এই পোড়া কপাইল্লার মাথায়ও পস্ট হইতেছেনা। আমামীলীগের লুটেরা পলাতক দাদু-দিদিরা জোঁকের মতন চুষিয়া দেশের অর্থনীতি, রাজনীতির স্বাধীনতারে রক্তশুন্য করিতে যাইয়া তাইনেগোর বিচার আচারের প্রেসক্রিপশন কেমন হইয়াছে হেইডাও ভাবনের দরকার। চিত্র যাহা দেখিতেছি রাজধানীর বেওয়ারিশ ক্ষেপা দাদু বহুতের অবুস্থা হইলো দল-গোল পাকাইয়া দেশের আইনসৃংখলারে বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করনই তাঁগো কাজ বলিয়াই মনে হইতেছে। এই অহেতুক আকাম সৃষ্টিকারী ক্ষেপাগোরে না দমাইতে পারিলে দেশের গনতন্ত্রের লগে শান্তির অক্সিজেন আটকাইয়াই ফেলিবে যেই কোন মুহুর্তে।
দাদু’গো আঠারকুঠি দাদু-দিদিগোর ফাঠাছেঁড়া কপালের চিকিৎসা না করিয়া, ঘরের হ¹ল ভাঙ্গাচোড়া দরজা ঠিক না করিয়া দয়াবান দেখাইয়া আমাগো পিছনের দরজা খুলিয়া দেওনের চিন্তার কামডা কি ? মিয়ানমারের অবুস্থা হইলো হেইখানে জান্তা দাদু তাঁগো হ¹ল দরজা বন্ধ করিয়া যেই লম্বা মাইর চালাইয়াছে তাহাতে আমাগো ঘরেই লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গ্যার অত্যাচার বহু বছর হইতে। তারমইধ্যে আপুনি দয়া দেখাইয়া আমাগো পিছনের দরজা খুলিতে দেওনের পিছনের হেতু কি এই কুইশানতো দেশ-দশের চিন্তাবিদগোর কাছেও ঠেকিয়াছে। মানবিক করিডর দেওনের কামতো আপুনার নয়। কক্সুবাজারের সরো দাদুর কুইশান আমাগো ফায়ার সার্ভিসের দাদুরা এমুন কি ঠেকিয়াছে সুদুর আমেরিকার সেনা জোয়ান দাদুগোর হইতে ট্রেনিং লইতেছে। দাদু’গো পস্ট কথার কষ্ট নাই তয় আপুনি কি কারনে কষ্ট পাইতেছেন হেইডাইতো মাথামন্ডুতে আসিতেছেনা। দেশ লইয়া ষড়যন্ত্রের বহুত দেশী-বিদেশী চেলা-চামুন্ডার চালগোল বুঝিয়া আপুনার দেশ চালনের দরকার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র দাদুরাওতো হাসিনার মতন কহিলো পাহাড়পর্বত খ্রিস্টান দেশ বানানোর পাঁয়তারা চিরতরে বন্ধ করিয়া দিবে। এইসব মাথায় না লইয়া আপুনি দেশের জনগনের আদেশ ছাড়া খাল কাটিয়া কিভাবে কুমির ডুকাইতেছেন। আমাগো কুমিনিস্ট পাটির সভাপুতি আলম দাদুতো দেশ লগে বন্দর লইয়া তালিমালি না করিতে পস্ট কহিলেন। এই পোড়াকপাইল্লারও স্মরণ হইতেছে ২০০১-৫এর আন্দোলনে ‘আইজ্জা তুই অহন বাইত যা’ দেয়ালে এই রকুমের চিকাও মারিয়াছিল। দাদু’গো এখনও সমুয় বহুত তয় ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না এইডা যাহাতে না হয়। রাজনৈতিক জাতীয় নেতারাতো কহিতেছে দেশটারে নাকি বিপদে ঠেলিয়া দিতাছেন বিষয় খানা মাথায় রাখিবেন।
দাদু’গো সেনাবাহিনী গণতন্ত্ররে সম্মান দেখাইয়া মাটিতে চোখ রাখিয়া কথা কয় তয় তাইনেগোরে অসম্মান করনের পিছনের কলকাঠি কারা নাড়াইতেছে ভাবন দরকার। আপনুরাও স্মরণ থাকন দরকার তত্বাবধায়ক সরকারের সমুয় ২০০৬-৮ সালেও তাইনেরা হেই সম্মান দেখাইয়াছে। তৎকালীন মঈন উদ্দিন দাদুরা হেইডা যদি না দেখাইতো তাহা হইলে হেই থেকেই বহুত উলটপালট চলিত। আইজ সেনাবাহিনীগোরে প্রশ্নবিদ্ধ করা হইতেছে এইসব লইয়াতো ওয়াকার দাদুতো খুবই খেপিয়াছে। আপুনি তাইনেগোর লগে ছলাপরামর্শ না করিয়া গোপনে সোপনে করিডর আর দেশ, বন্দর-নগর লইয়া পরের হাতে তুলিয়া দেওনের আকাম চালাইতেছেন বলিয়া আপুনার দিকে আঙ্গুল দেখায় ক্যান। যদি এইসব হইয়া থাকে তয় আমাগো নেতা বহুতের কুইশান দেশটারে আফগানিস্থান-ফিলিস্তিন করনের দিকে ঠেলিতেছে নাতো? এই অধমের আওলা-ঝাউলা মাথায় খালি নানান কইশান ঘুরপাক খাইতেছে। আপুনার পুরিবেশ উপদেষ্টা সাফ কহিয়া দিল খালি নির্বাচন করনের জইন্য নাকি দায়িত্ব নেন নাই, এই উত্তাল রাজনৈতিক পুরিবেশে তাইনের এই আচরনে বহুতে খেপিতেছে।
আমাগো পাহাড় পর্বতে নানান ষড়যন্ত্রের বহুত কিচিমের উঁকি ঝুঁকি হইতেছে। তিন পাহাড়ের বহু সীমান্ত এলাকায় আনাগোনা বড়িয়া গিয়াছে। বিএসএফ তো খালি পুশ করিতেছে। রানা দাদু কহিলো সীমান্ত পার করিয়া ভারতের সিগারেট পাচার করিতে যাইয়া পুলিশ দাদুগোর হ্যান্ডকাপে দুই ভাই ডুকিয়াছে। আমাগো মাদার ডিস্ট্রিক্ট’র সীমান্ত ঘেঁষা পাড়া মহল্লায় চিরুনী তল্লাসী চালাইলে পস্ট দেখা যাইবে। ইঞ্জিনিয়ার এমল দাদু কহিলো তাইনের অজানা কারা মাদার ডিস্ট্রিক্টের উপুজিলার সামনে বঙ্গবন্ধুর মূর্যালটি ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছে। আমামীলীগ লগে যারা যারা এই মহা-দাদুরে অসম্মান করিয়াছে ইতিহাস-প্রকৃতিও তাঁগো ছাড় দিবে বলিয়া মনে হইতেছে না। ক্ষেপা টন দাদু কহিলো পাপ লগে পাপাচারীগোর অত্যাচারে বঙ্গবন্ধু, শরমে নয় কি ইতিহাস, বলিয়া ? চিহ্ন বসাইয়াছে।
দাদু’গো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় ভালা-মন্দে আপুনার উপুদিষ্টাগোরে লইয়া দেশ পরিচালনা করিতে আন্তর্বুর্তী হাল ধরিয়াছেন। দেশ গেরামের দাদু-দিদিগোর একটাই ভরসা তাইনেরা আর লুটেরা রাজনৈতিক রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় উঠিতে চাহে না। এমনিতে মানব সৃষ্ট অত্যাচার,নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে পিষ্ট। তয় মানবতাবিরোধীগোর এইসব কাইজ কাম বধ্ করিতে আপুনার ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার দেন। আমাগো আছিয়া মা’রে যেইভাবে রাক্ষুসে গিলিয়াছে হেইভাবে আরো বহুত আছিয়া ‘মা’ রাতের অন্ধকারে ঘোঁগড়াইয়া কাঁদিতে থাকে।
দাদু-গো জাতিরে কলঙ্কমুক্ত করিতে কঠিন উদ্যোগ লইবেন। তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকির লাইন ধরিয়াছে। আপুনার মতন বিজ্ঞ দাদুরে জ্ঞান দেওন আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাইজ-কামে লাগিবে, কথা হইলো হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। আইজ আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপুনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। দাদু-রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৮ কুঠি দাদু-দিদির জইন্য ঈদ মোবারক, হ¹লের সুখ শান্তির জইন্য আর্শিবাদ, দোয়া থাকিল, হ¹লদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালা থাকিবেন, হ¹লরে ভালা রাখিবেন। আইজ এই পর্যন্ত…..
ইতি,
আপনারই কুঠি কুঠি দাদু-দিদির পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনা- এস.এস.বি.এম, তারিখ- ২৫মে, ২০২৫ খ্রীঃ