পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-২৪
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ২৪ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…
মা’জননীগো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালো মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে। দেশে মানুষ সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে মনে হইতেছে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। এইসব বধ্ করিতে আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।
পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। সন্ত্রাসীরাতো গেল সপ্তাহে আবারো দুই যুবককে পরপারে পাঠাইয়াছে। খানিক দম লইয়া মনে হইতেছে সন্ত্রাসীরা আবার চেতিয়া গিয়াছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা জিম্মি। তাইনেরা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান এই আছে এই নাই অবস্থা। সন্ত্রাসীরা যেইভাবে পিষ্ট করিতেছে দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে একটু সময় দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন।
মা’জননীগো পাহাড়ে আর কতো প্রাণ খসিয়া পড়িলে শান্তি ধসিয়া আসিবে। এই সবের ইন্ধনের পিছনে কারা সন্ধান লওনের দরকার। পাহাড়েতো চোরে চুরি করিলেও আসল চোর নাকি অদৃশ্য হইয়া যাইতেছে। সন্ত্রাসীরা ফটর ফটর করিয়া জ্ঞাতি ধ্বংস করিয়া চলিতেছে তয় অপরাধীদের ধরিতে কোন ফর্দ নাই। এই এক আজব পাহাড়ে বসবাস করিতেছে বলিয়াই দাদু-দিদিরা আপুত্তি জানাইতেছে। পাহাড় লইয়া আমাগো স্বরাষ্ট্র দাদুর উদ্যোগ কি জানাইতে ওয়ার্ডার করেন। মাদার ডিস্ট্রিক্টের সম্মেলন সম্পন্ন করিতে সেতু দাদুরে ওয়ার্ডার করেন। ছাত্রলীগ-যুবলীগেতো রগ কাটাকাটি, ফাঠাফাঠি চলিতেছে। তাইনেগোর অবস্থা সকালে অবাঞ্চিত বিকালে স্থগিত। আমামীলীগ-জনসংহতি সমিতি’র যোজন যোজন ফাঁরাক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাইতে উদ্যোগী হইবেন। হ¹ল উন্নয়ন আর সুখের জন্য যত দ্রুত সম্ভব সন্তুু দাদুরে কাঁছে টানিয়া লইবেন। পাহাড়ে মানবাধিকার লংঘনে জড়িতদের ভালো করিয়া টাইট দেন। রাজনৈতিক বিজ্ঞ দাদুরা কহিলেন, জাতির জনকের জন্ম শতবর্ষের আনন্দকে নিরানন্দ করিতে কারা কলকাঠি নাড়াইতেছে পাহাড়বাসী জানিতে চাহে।
মা’রে আমামীলীগের ইনফরমেশন দাদু কহিলেন তিন পার্বত্য জেলার পরিষদগুলাইনের মেয়াদও নাকি শেষের পথে। পরিষদে কারে কিভাবে সেট করিবেন তাহা লইয়া লেট করনের দরকার কি। তয় লুটেরা, অজ্ঞ আর পুলিটিক্সে মূর্খদের জায়গা বন্ধ করিবেন। জেলা পরিষদতো শুধু গম চাইলের আড়তদার নয়, যে বেশী দিবে তারেই ঢালিয়া দিবে। উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফর্দগুলাইন যাঁচাই বাঁচাই করিবেন। তয় শিক্ষিত আর বিচক্ষণ নেতৃত্বে নতুনদের সুযোগ করিয়া দিতে বিশেষ উদ্যোগী হইবেন। তিন পরিষদে তৈল পার্টি, মলম পার্টি, ঝাপ্পা পার্টি, উন্নয়নের নামে কাগজ কলমের পার্টিদের উপড়াইয়া ফেলিবেন। পরিষদ সাজাইতে বাহাদুর দাদুরে ওয়ার্ডার করেন। পাহাড়ের বড় বড় চাঁদাবাজ আর দূনীর্তিবাজদের বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করাইতে উদ্যোগ লন। অধমের এই পরামর্শ খানা চিন্তা করিয়া দ্রুত ব্যবস্থাপত্র তৈরী করিবেন।
মা’রে দেশে নারী ধর্ষণ, খুন, মাদক, নির্যাতন নিত্য চলিলেও আপনার সাংসদদের উদ্যোগতো দেশের দাদু-দিদিরা চোখে পাওয়ার গ্লাস দিয়াও দেখিতেছে না। বহুতে নাকি পিয়াঁজ চাইলের মতনই বেপরোয়া। তাইনেরাতো খালি বে-ফাঁস কথাবার্তা বলে আর গিলে। দেশে নারী-শিশু ধর্ষন ও হত্যার লাগাম টানেন। দেশের এমন কোন জেলা উপজেলা নাই যে নারী-শিশু ধর্ষণ হত্যার শিকার হইতেছেনা। দাদু-দিদিরা একবার ফাঁপিয়া উঠিলেই শান্তি আর উন্নয়নের বারোটা বাজিয়া যাইবে। টিপু দাদু’র ভারত পিঁয়াজ লইয়া না করিতে একবারওকি মুখে আটকাইলো না। অহেতুক অভিমানে নিজেগোর মানতো নীচেই নামিবে। দেশের মানুষ ৮০/১০০ টাকায় পিঁয়াজ কিনিতেছে তাইনে আমদানির না করিতেছে। এইসব অজ্ঞ অ-বিচক্ষণ মন্ত্রীদের অবসরে দেন। তাইনেতো কাটা ঘা না শুকাইতেই দেশের দাদু-দিদিগোর শরীলে লবন মারিতেছে, তাইজ্জব কান্ড।
মা’জননীগো ৩১ আর ১৯ বছর পর হইলোও চট্টগ্রামের লালদিঘী হত্যাকান্ড, সিপিবির পল্টন সমাবেশের হত্যাকান্ডেরও বিচার জাতি দেখিয়াছে। লালদিঘীর ঘটনা পরিকল্পিত মহাহত্যাকান্ড ইতিহাসের এই জঘন্য কর্মকান্ডের পিছনে আরো কারা কারা ইন্ধন দিয়াছিল তাদের মুখোশও তুলিয়া ধরেন। তয় চট্টগ্রামের লালদিঘী ও পল্টনে সিপিবির মহাসমাবেশে হত্যাকান্ডের রায় দ্রুত কার্যকর করিয়া জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করিবেন। মানবতার বিরুদ্ধে যারা জড়িত তাদের বিচারও দ্রুত করিতে আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিবেন। দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন লইয়াতো ফাঠাপাটি বন্ধ হইতেছেনা। বহুতে নাকি বুলেট মারিতেছে আবার লইয়াও দৌঁড়াইতেছে। রাজপথের ভংকর জালে মানব হত্যাকারী আব্দুল, জালাল, নুর ইসলামসহ আরো বহুত মানবতাবিরোধী রহিয়াছে সবগুলাইনের দ্রুত বিচার করেন। দেশের প্রত্যেকটি গ্রাম অঞ্চলের খোঁজ খবর নিবেন।
মা’রে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করা হইলোগিয়া রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। নানান অজুহাতে এইসব আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে হইবে। ঋণ খেলাপীদের হাতে একশ দুইশ নয় প্রায় সত্তর হাজার কোটি টাকা। খেলাপী প্রতিষ্ঠানের হত্যাকর্তারই এই মহা অংকের হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ নিজেদের পকেটে ঢুকাইয়াছে। মা’রে জনগনের টাকা উদ্ধার করিতে এইসব ঋণ খেলাপীদের গোটা পরিবারের কোত্তার কলার ধরিয়া টান দেন, দেখিবেন ফত ফত করিয়া টাকা বাহির হইয়া পড়িবে। এই অধমের পরামর্শখানা মাথায় রাখিবেন।
আমাগো স্বরাষ্ট্র দাদুতো কহিয়াছিলেন দেশে নাকি জঙ্গী নাই। তয় বুয়েট-কুয়েট ছাত্র দুই ভাই কিভাবে পরিবারকে ঠকাইয়াছে, এই মেদাবীদের কারা কূ-ইন্ধন দিয়া রাষ্ট্রের শান্তি আর মানবতার বিরুদ্ধে দাঁড় করাইয়াছে হ¹ল কুশীলবদের বাহির করিতে গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া কাজ চালাইতে ওয়ার্ডার করেন। এইভাবে দেশের মেধাতো ধ্বংস হইতে দেওন যাইবেনা। মা’রে মনে হইতেছে শস্যের ভিতর যে ভুত রহিয়াছে সেতু দাদুর কথাই তাঁর গন্ধ পাইতেছি। আপনারে সরাইতে কারা কারা গুটি চালাইতেছে সুক্ষ্মভাবে অভিযান চালাইবেন। এই গুটি চালকদের পরিচয় খ্যাতি দেশবাসীকে জানাইয়া দেন। সব দিক শক্ত করিবেন দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত সোনার দেশ বানাইতে কোন আপস নয়। মানবতাবিরোধী, অন্যায় অপ-শক্তিদের উপর বুলডোজার চালাইতে ডান-বাম-আর পিছনে তাকানোর দরকারও নাই। এই পোড়া কপাইল্লার আরজি খানা মাথায় রাখিবেন।
মা’রে দেশে নারী ধর্ষণ হত্যা কি বন্ধ হইবেনা। পত্র-পত্রিকার পাতা খুলিলেই মনে হয় আকাশ ভাঙিগয়া মাথায় পড়িতেছে। এমন কোন দিন যাইতেছে না যে নারী ধর্ষণ হইতেছে না। লাগাতার ধর্ষন ঘটনার বিচার কি দেশের কুঠি কুঠি দাদু-দিদিরা জানিতে চাহে। তয় দ্রুত এর জবাব নিশ্চিত করিবেন। মা’রে এইভাবে চলিতে থাকিলে হেই পচানব্বইর মতন আইজ্যা তুই এখন বাইত যা ঐ অবস্থাই হইবো কিনা এই অধমের মহা চিন্তা ধরিয়াছে। জাতির পিতারে হত্যা করিয়া দেশে চোর ডাকাইত বদমাইশরা ক্ষমা পাইয়া মানুষের উপর অত্যাচার চালাইয়াছে। সোনার বাংলা তৈরীতে দেশ গেরামে সৎ নেতৃত দাঁড় করাইয়া দেন। দাদুর চিন্তা খানা মাথায় রাখিবেন।
মা’রে চট্টগ্রামের কিশোর গ্যাংকতো বেপরোয়া। পানের থেকে চুন খসিলেই লংকাকান্ড ঘটাইতেছে। অভিজাত পরিবারের চাইর সন্তান এক যুবককে বেদম নির্যাতন করিয়াছে। কোকেন চালানেতো বড় বড় রাঘববোয়াল জড়িত। ঐতিহ্য ফিরাইতে মার কর্ণফুলীওে বাঁচাইতেই হইবে। হাজার হাজার অবৈধ দখল দখলদার উচ্ছেদ করিতে কড়া আইন চালাইতে ওয়ার্ডার করিবেন। তেইশ খালের বর্জ্য বন্ধ করিতে দ্রুত আদেশ দেন। নগরীর দামি দামি গাড়িতে করিয়াও নাকি মাদক পাচার হইতেছে। বাংলাদেশের ঘার হইতে রোহিঙ্গ্যা বোঝা সরাইতে বিশ^ বিবেকের দরজায় কড়া নাড়াইতে শক্ত কূটকৌশল চালান। নামে বিশুদ্ধ পানি হইলেও দাদু-দিদিগোর শরীলে বিষ ঢুকাইয়া দিতাছে। এই দূষিত বাণিজ্যে জড়িতদের খবর নগরবাসী জানিতে চাহে। মা’রে চট্টগ্রাম মহানগরকে রাক্ষস খোক্ষসদের হাত হইতে বাঁচাইতে অভিযান অব্যাহত রাখিতে আদেশ করিবেন।
মা’জননীগো জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী পালনে জাতি অধির আগ্রহে রহিয়াছে। তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালো থাকিবেন।
ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ২ ফেব্রয়ারী-২০২০খ্রীঃ