পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-২৩
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ২৩ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…
মা’জননীগো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালো মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে। দেশে মানুষ সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ঘটনায় মনে হইতেছে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। মাদক ইয়াবার মতন ধর্ষন ঘটনারও বিন্দু টলারেন্স ঘোষণা করেন। দেশ ও জাতির উন্নয়নে দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখিবেন। এইসব বধ্ করিতে আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।
পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো এই পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। দুর্বৃত্তরাতো গেল দই সপ্তাহে দুই পাহাড়ে গুলি করিয়া দুই যুবককে পরপারে পাঠাইয়াছে। খানিক দম লইয়া মনে হইতেছে দুর্বৃত্তরা আবার চেতিয়া গিয়াছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী দূর্বৃত্তগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা আমস্বত্ত। অসহায়রা সৃষ্টিকর্তারে রাইত দিন জবিতে জবিতে জানপরান এই আছে এই নাই অবস্থা। তাইনেরা যেইভাবে পিষ্ট করিতেছে দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে একটু সময় দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন।
মা’জননীগো পাহাড় অশান্ত করিতে বহুতেতো লাঠিসোঁটার পিছনে ইন্ধন যোগাইতেছে। তিন পাহাড়ে আমামীলীগকে ভালো করিয়া সাইজে নিয়া আসেন। লুটেরা, পরগাছা, মূর্খদের সরাইতে সিজার চালান। মাদার ডিস্ট্রিক্টের সম্মেলন সম্পন্ন করিতে সেতু দাদুরে ওয়ার্ডার করেন। লাঠিসোঁটার পছন্দের বহুত নেতা-নেত্রীরা সুযোগ পাইলেই মরার উপর খড়ার ঘা অবস্থা করিতেছে। আমামীলীগ-জনসংহতি সমিতি’র সম্পর্কওতো যোজন যোজন ফাঁরাক। বহুতে এই ফাঁরাক লইয়া তলে তলে আরো তৈল ঢালিতেছে। আমামীলীগ-জনসংহতি সমিতি’র সম্পর্কে যারা পেরেকে টুকিয়াছে তাদেরও চিহ্নত করনের দরকার। তাইনেগার কাইজ কাম লইয়াতো আমাগো সন্তু দাদুও বেজায় গোস্সা। আমামীলীগ-জনসংহতি’র সম্পর্কের টানা ফারাক, রাজনৈতিক সৃষ্ট গর্তগুলাইন ভরাট করিতে আপনার উদ্যোগ পার্বত্য বাসীর জন্য প্রশংসার ভূমিকা রাখিবে। জনসংহতি’র চান্দি গরম বহুতে নালিশ করিতেছে ভূয়া মামলা দিয়া নাকি তাইনেগোর নেতা নেত্রীদের চরম হয়রানি করিয়া যাইতেছে। হ¹ল উন্নয়ন আর সুখের জন্য যত দ্রুত সম্ভব সন্তুু দাদুরে কাঁছে টানিয়া লইবেন। আঞ্চলিক দলের নামে মানবাধিকার লংঘনে জড়িতদের ভালো করিয়া টাইট দেন। লাগাতার হত্যাকান্ড চলিলেও আসামীরা কোথায় স্বরাষ্ট্র দাদুরে কুইশান করিবেন।
আমামীলীগের ইনফরমেশন দাদু কহিলেন তিন পার্বত্য জেলার পরিষদগুলাইনের মেয়াদও নাকি শেষের পথে। পরিষদে কারে কিভাবে সেট করিবেন তাহা লইয়া লেট করনের দরকার কি। তয় অজ্ঞ আর পুলিটিক্সে মূর্খদের জায়গা বন্ধ করিবেন। জেলা পরিষদতো শুধু গম চাইলের আড়তদার নয় যে বেশী দেবে তারেই ঢালিয়া দিবে। উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফর্দগুলাইন যাচাবাই বাচাই করিবেন। তয় শিক্ষিত আর বিচক্ষণ নেতৃত্বে নতুনদের সুযোগ করিয়া দিবেন। তিন পরিষদে তৈল পার্টি, মলম পার্টি, ঝাপ্পা পার্টি, উন্নয়নের কাগজ কলমের পার্টিদের উপড়াইয়া ফেলিবেন। পরিষদ সাজাইতে বাহাদুর দাদুরে ওয়ার্ডার করেন। পাহাড়ের বড় বড় চাঁদাবাজ আর দূনীর্তিবাজদের বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করাইতে উদ্যোগ লইবেন। অধমের এই পরামর্শ খানা চিন্তা করিয়া দ্রুত ব্যবস্থাপত্র তৈরী করিবেন।
মা’রে সোনার বাংলা তৈরীতে পরিষদে ব্যর্থ মন্ত্রী’র বদলের খবর কি। এলাকায় এলাকায় ধর্ষণ, খুন, মাদক, নারী নির্যাতন নিত্য চলিলেও আপনার সাংসদদের উদ্যোগতো দেশে দাদু-দিদিরা চোখে পাওয়ার গ্লাস দিয়াও দেখিতেছে না। বহুতে নাকি পিয়াঁজ চাইলের মতনই বেপরোয়া। তাইনেরাতো খালি বে-ফাঁস কথাবার্তা বলে আর গিলে। রাষ্ট্র পরিচালনার স্বার্থে বিজ্ঞ, সৎ-বিচক্ষণ ব্যক্তিদের চেয়ারে বসান। দেশ শাসনের মিশন বাস্তাবায়ন করিতে মন্ত্রী পরিষদ শক্ত করিয়া তৈরী করনের বিকল্প নাই। মা’রে ছাত্রলীগকে আপনি খাতা-কলম দিলেও তাইনেরা অস্ত্র পায় কই। দলের মহা শক্তি ছাত্রলীগের কাইজ কামওতো দেশের দাদু-দিদিরা উপলব্ধি করিতেছে। তয় কারা অস্ত্র দিয়াছে সেই সব না বলিয়া এখন যাদের হাতে অস্ত্র রহিয়াছে তাদেরও খাতা-কলম ধরাইয়া দেন। সিদ্ধেশ^রীতে সগিরা হত্যায় ত্রিশ বছর পর রহস্য উদঘাটনে সাবাস পিবিআই। নাটোরের ভার্সিটি ছাত্র জাহিদ হত্যার পিছনে কারা পষ্ট করিতে পুলিশ বাহিনীরে আদেশ করিবেন।
মা’রে দেশে নারী-শিশু ধর্ষন ও হত্যার লাগাম টানেন। দেশের এমন কোন জেলা উপজেলা নাই যে নারী-শিশু ধর্ষণ হত্যার শিকার হইতেছেনা। তয় দেশে দাদু-দিদিরা একবার ফুশিয়া উঠিলেই শান্তি আর উন্নয়নের বারোটা বাজিয়া যাইবে। দেশে নাকি গত আট বছরে আট হাজার নারী শিশু ধর্ষণ হইয়াছে তার মইধ্য ধর্ষণের পর ছয়শতজনকে হত্যা করা হইয়াছে। বিচারের বেলায় নাকি ফক্কা। ঢাবি ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় আসামী ধরিতে এত কান্ডকারখানা কেন। আবার সবুজবাগে পুলিশ হইতে ছাড়িয়া নিয়া পুলিশের সোর্সই ধর্ষণ করিয়াছে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে, আজব কান্ড। ধামরাই এ পোশাক শ্রমিককে বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করিয়াছে চালক। কামরাঙ্গীচর, নোয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার হইয়াছে দুই কিশোরী। লাগাতার ধর্ষন ঘটনার বিচার কি দেশের কুঠি কুঠি দাদু-দিদিরা জানিতে চাহে। তয় দ্রুত এর জবাব নিশ্চিত করিবেন। মা’রে এইভাবে চলিতে থাকিলে হেই পচানব্বইর মতন আইজ্যা তুই এখন বাইত যা ঐ অবস্থাই হইবো কিনা এই অধমের মহা চিন্তা ধরিয়াছে। দাদুর চিন্তা খানা মাথায় রাখিবেন।
মা’গো ব্যাংক গুলাইনের ঋণ জালিয়াতির ঘটনাতো শেষই হইতেছেনা। উন্নয়নের হাজার হাজার কোটি টাকা নাকি খেলাপিগোর পকেটে। জনগনের টাকাতো কোটস্যুট ওয়ালা নামী দামি লুটেরাগোর পকেটে গিয়াছে। ব্যাংক ওয়ালারাও দেখি ঝোপ ঝাড় দেখিয়া ফুটো পাত্রে টাকা ঢালিতেছে। তাইনেরা এই হাজার হাজার কোটি টাকা কি বাপ-দাদার ভিটাবাড়ি বিক্রি করিয়া ঋণ ঢালিয়াছে। ব্যাংকগুলাইন জনগনের টাকা লইয়া চোর ডাকাতের সাথে বন্ধুত্ব করিতেছে। স্বনামধারী শিল্পপতিদের ঘার মটকাইয়া দেশের জনগনের টাকা উদ্ধার করিতে ব্যাংক গুলাইনের উপরও বুলড্রোজার চালান। নগর উন্নয়নের গোপন খাতার ড. খুরশীদের হুকুমদাতাদেরও বিচারের কাঠগড়ায় তুলিতে হুকুম দেন। পুলিশের ডিআইজি ও দুদকের বাছির নয় আরো বহুত রাঘব বোয়াল অধরা রহিয়াছে, তাঁগোরেও ধরিতে জাল বসাইতে ওয়ার্ডার করেন। এ অধমের আরজিখানা মাথায় রাখিবেন।
মা’জননীগো ক্যাসিনো কেলেংকারীর জুয়ারী লুটেরাদের ধরিতে এতো স্লোমোষান কেন। এই ক্যালেংকতারীর যারা স্ব-গোপনে আত্মগোপনে রহিয়াছে তাদেরও বাহির করিতে আদেশ করেন। ক্যানিসনো লইয়া আমামীলগের মইধ্যেও চোর, ডাকাই, ভুয়া, ফক্কা, ভবঘুরে বহুত দাদুও নেতা বনিয়া টাকার পাহাড় গড়িয়াছে। আমাগো অর্থ দাদুর একষট্টি প্রতিষ্ঠানের বছরান্তের উবৃত্ত সরকারি কোষাগারে জমা লইয়া মনে হইতেছে গোস্সাগুস্সির বিতর্ক হইবে। নাকি শেষমেষ একষট্টি প্রতিষ্ঠানের বছরান্তের উবৃত্তই নাই হইয়া যায়। বিষয়খানা চিন্তাভাবনা করিয়া আগনের দরকার। দূর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা উপজেলাতেও দ্রুত অভিযান শুরু করনের দরকার।
মা’রে যে কোন উপায়েই কর্ণফুলীকে বাঁচাইতে হইবে। তেইশ খালের বর্জ্য বন্ধ করিতে দ্রুত উদ্যোগ লইবেন। চট্টগ্রাম নগরীতে পনর কোটি টাকার কোকেন লইয়া যুবক হোসেন ধরা খাইয়াছে। গোটা দেশেই মাদক, নারী ধর্ষণ হত্যা টানা চলিতেছে। নগরীর দামি দামি গাড়িতে করিয়াও নাকি মাদক পাচার চলিতেছে। মাদক কারবারিরাই প্রজম্মের চরম ঘাতক হইয়া দাঁড়াইয়াছে। নগরীর কিশোর-যুবক গ্যাংকতো কোন অবস্থাতেই দমিতেছে না। সুযোগ পাইলেই প্রতিপক্ষের উপর চরম হামলা চলিতেছে। ছাত্রলীগের বাপ্পি নাকি প্রকাশ্যেই বন্দুক লইয়া গুলি করিতেছে। তাঁগো পকেটে আধুনিক অস্ত্র মহানগরের দাদু-দিদিরাও চোখ কপালে তুলিয়াছে। আনোয়ারায় অন্তঃসত্তা ছলিমা অপচিকিৎসায় মারা যাওয়ার ঘটনা লইয়াতো তোলপার, ইসলাম দাদু কহিলেন, শেষমেষ দুইলাখ টাকায় নাকি রফাদফা হইয়াছে। নগরীর পাবলিক হসপিটাল, ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ম্যাজিস্ট্রেট নামাইয়া দিয়া ভ্রাম্যমান আদালত চালাইতে কমিশনার দাদুরে ওয়ার্ডার করেন। মা’রে চট্টগ্রাম মহানগরকে রাক্ষস খোক্ষসদের হাত হইতে বাঁচাইতে অভিযান অব্যাহত রাখিতে আদেশ করিবেন। আশি প্রতিষ্ঠানের বিশুদ্ধ পানির অধিকাংশই প্রতারনা। নামে বিশুদ্ধ হইলেও দাদু-দিদিগোর শরীলে বিষ ঢুকাইয়া দিতাছে। এই দূষিত বাণিজ্যে জড়িতদের খবর নগরবাসী জানিতে চাহে।
মা’জননীগো জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী পালনে জাতি অধির আগ্রহে রহিয়াছে। তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালো থাকিবেন।
ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ১৯জানুয়ারী-২০২০খ্রীঃ