[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-২৫

৩৪

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ২৫ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় নিয়া ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…

মা’জননীগো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালো মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে। দেশে মানুষ সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে মনে হইতেছে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। এইসব বধ্ করিতে আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।

পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও সন্ত্রাসীরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। সন্ত্রাসীরাতো গেল সপ্তাহেও দুই যুবককে পরপারে পাঠাইয়াছে। খানিক দম লইয়া মনে হইতেছে সন্ত্রাসীরা আবার চেতিয়া গিয়াছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা জিম্মি। তাইনেরা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান এই আছে হেই নাই অবস্থা। সন্ত্রাসীরা যেইভাবে পিষ্ট করিতেছে দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে একটু সময় দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন।

মা’জননীগো পাহাড়েওতো ছাত্রলীগের চিত্র-পতিচিত্র হইলো নেতৃত্বে ঝাঁটা আর লাঠিসোঁটা লইয়া পাল্টাপাল্টি দৌঁড়াইতেছে। দলের মহাশক্তিধর ছাত্ররা নাকি জামাত-শিবিরের সহিত চরম বন্ধুত্ব করিয়া দলের উপর বদনামের কাঁদা লেপন করিতেছে। সম্মেলন না হওনের কারনে বহুতের আস্ফালন নাকি বাড়িয়া গিয়াছে। কোন্দলে গিয়া মাদার ডিস্ট্রিক্টের একজনের পায়ের রগ কাটিয়াছে। দলের চান্দি গরম নেতারা কহিতেছেন এইসব বন্দ না করিলে দন্ধ চরমে পৌঁছাইবে। ছাত্ররাও এখন পড়ালেখা বাদ দিয়া ভাগ আর ভোগবিলাশের রাজনীতি করিতেছে। বহুতেতো মাদক লইয়াও দৌড়াইতেছে। চান্দি গরম ছাত্র দাদুরা কহিলেন, লেখা নাই পড়া নাই, স্কুলে নাই, কলেজে নাই, বিশ^বিদ্যালয়েও নাই এরুকম পোলাপাইনও নাকি ছাত্র নেতা হইয়া গিয়াছে। দয়া করিয়া আমাগো তালুকদার আর কুজেন দাদুরে এই সবের হেতু কি কুইশান করেন। তিন জেলায় ছাত্রলীগের সম্মেলন করিতে ওয়ার্ডার দেন।

মাদার ডিস্ট্রিক্টের পর্বত এলাকা নানিয়ারচরে জায়গা-জমি লইয়া লাট্টালাট্টি বাঁধাইয়াছে। বহুতে এই লাট্টালাট্টির বাট্টা গুনাইতে ফোঁসফাস করিতেছে। পাহাড়ের সামাজিক শান্ত পরিস্থিতির মইধ্যে অশান্তির হাতছানি মনে হইতেছে। এইসব লইয়া বহুতেতো নাকি ঘুঁঠা দিয়া পাহাড় গরম করিতে ঘি ঢালিতে ওস্তাদ। পাহাড়ে যাঁরা তৈল-ঘি লইয়া দৌঁড়ায় তাহাদের চিহ্নিত করনের দরকার। ডিস্ট্রিক্টের পর্বত এলাকা নানিয়ারচরে পূর্বেও বহুত ছোটখাট ঘটনায় ঘি ঢালিয়া চরম-গরম করা হইয়াছিল। পাহাড়ের দাদু-দিরিা বহুত অন লাইনকে আগুন লাইন বলিয়া ভৎসনা করিতেছে। যাহাতে এইসবের পূনারাবৃত্তি না ঘটে তার জইন্য কড়া ব্যবস্থা লইতে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিগোরে কড়া আদেশ করিবেন।

মা’গো আমাগো পর্বত খাগড়াছড়ির উপজেলার মহালছড়ির মাহিন্দ্র চালক ফারুক হত্যায় নাকি তাঁর প্রতিবেশী জড়িত। পূর্ব পরিকল্পনা করিয়া ফারককে ভাড়ায় নিয়া গিয়া পিছন থেকে ওড়না পেছাইয়া হত্যা করিয়াছে। এইভাবে ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক বেশ ক’জন যুবককে শত্রুতা আর প্রতিহিংসা পরায়ন হইয়া হত্যা করিলেও প্রকৃত ঘটনা জানার আগেই লাঠিসোঁটা লইয়া অন্যের উপর হামলা হইয়াছিল। নিজেরা ঘটনা ঘটাইয়া অন্যের ঘারে দায় চাপাইয়া বহুত তামাসাও পাহাড়ের মানুষ দেখিয়াছে। এইসব হইলো পাহাড়ে সামাজিক অবস্থান আর প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীতি ব্যবস্থার ফসল। পাহাড়েতো চোরে চুরি করিলেও আসল চোর নাকি অদৃশ্য হইয়া যাইতেছে। সন্ত্রাসীরা ফটর ফটর করিয়া জ্ঞাতি ধ্বংস করিয়া চলিতেছে কিন্তু অপরাধী আর মারের গুষ্টি ধরিতে কোন ফর্দ নাই বলিয়া দাদু-দিদিরা আপুত্তি জানাইতেছে। বহুত মারের গুষ্টি রিউমার ছড়াইয়া অসহায় মানুষের কপাল পুড়াইয়াছে। তয় মা’গো মারের গুষ্টি সৃষ্টির বিরুদ্ধে হজাগ থাকিতে ওয়ার্ডার করিবেন।

মা’রে আমামীলীগের ইনফরমেশন দাদুরা কহিলেন তিন পার্বত্য জেলার পরিষদগুলাইনের মেয়াদও নাকি শেষের পথে। পরিষদে কারে কিভাবে সেট করিবেন তাহা লইয়া লেট করনের দরকার কি। গত পরিষদেও ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী বড়ুয়া হইতে প্রতিনিধিত্ব দেয়া হয় নাই। তয় লুটেরা, অজ্ঞ আর পুলিটিক্সে মূর্খদের জায়গা বন্ধ করিবেন। জেলা পরিষদতো শুধু গম চাইলের আড়তদার নয়, যে বেশী দিবে তারেই ঢালিয়া দিবে। উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফর্দগুলাইন যাঁচাই বাঁচাই করিবেন। তয় শিক্ষিত আর বিচক্ষণ নেতৃত্বে নতুনদের সুযোগ করিয়া দিতে বিশেষ উদ্যোগী হইবেন। তিন পরিষদে তৈল পার্টি, মলম পার্টি, ঝাপ্পা পার্টি, উন্নয়নের নামে কাগজ কলমের পার্টিদের উপড়াইয়া ফেলিবেন। পরিষদ সাজাইতে বাহাদুর দাদুরে ওয়ার্ডার করেন। উন্নয়ন বোর্ড লইয়াও ভাবনের দরকার। হ¹ল উন্নয়ন আর সুখের জন্য সন্তুু দাদুরেও কাঁছে টানিয়া লইবেন। পাহাড়ের বড় বড় চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ আর দূনীর্তিবাজদের বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করাইতে আদেশ দেন। অধমের এই পরামর্শ খানা চিন্তা করিয়া দ্রুত ব্যবস্থাপত্র তৈরী করিবেন।

মা’রে দেশে নারী ধর্ষণ, খুন, মাদক কি সামাজিক ব্যধি হইয়া দাঁড়াইয়াছে। শিশু, কিশোরী, যুবতী, বিধবা, প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ যেন পাল্লা দিয়াই চলিতেছে। এইসব বধ্ করিতে কড়া ব্যবস্থা লন। ওদিকে দেশের সীমান্ত এলাকায় গেল দেড় মাসে নাকি এগার জনকে হত্যা করিয়াছে বিএসএফ। তয় সীমান্ত এলাকা যদি সুরক্ষাই থাকে আমাগো দেশের মানুষ কিভাবে মরে তার খবর লওনের দরকার। এইসবের ঘটনায় মোদী দাদুরে কড়া বার্তা পাঠাইয়া দেন, যাউ¹া হেইসব কথা। অবশেষে ধরাধরি লাট্টালাট্টি করিয়া দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেতো আসন আমামীলগের ঘরেই আসিয়াছে। কথা হইলো যদি থাকে নসিবে যে কোন উপায়েই আসিবে। মানুষ চায় শান্তি আর উন্নয়ন। তয় রাজধানীর দাদু-দিদিরা কহিলেন ভোট উৎসব নাকি হয় নাই। কেউ পটিয়াছে কেউ পটাইয়াছে এই অবস্থা। বিজ্ঞ দাদুরা প্রশ্ন ছুড়িতেছেন ভোটার উপস্থিতি কমিতেছে কেন।

আবারো একুইশ ইয়াবা কারবারী আত্মসমর্পন করিয়া দেশে এই কারবারীর সংখ্যা যে বহুত আবারো পুরিস্কার হইয়াছে। তয় গোটা দেশ গেরামের যেই অবস্থা তাহাতে অধরাধীদের ধরিতে কারেন্ট জাল বসাইতে হইবে। একদিকে আত্মসমর্পন করিলেও অন্যদিকে বাড়িয়া বসে। এদের স্বাভাবিক জীবনের যাত্রা যাহাতে স্বাভাবিক থাকে চিটিংবাজী করিতে না পারে সেই মতন খেয়াল রাখিতে আইনসৃংখলা বাহিনীকে কঠোর হইতে হইবে। সব দিক শক্ত করিবেন দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত সোনার দেশ বানাইতে কোন আপস নয়। সিলেটে ছাত্রলীগের ডেডজোন টিলাগড়ের ঘটনাতো লোমহর্ষক। হেইখানে নাকি গেল সতের বছরে আট খুন। মা’গো মানবতাবিরোধী, অন্যায় অপ-শক্তিদের উপর বুলডোজার চালাইতে ডান-বাম-আর পিছনে তাকানোর দরকারও নাই। এই পোড়া কপাইল্লার আরজি খানা মাথায় রাখিবেন।

মা’রে ইয়াবা ধ্বংসের পিছনে দৌড়াইতে দৌড়াইতে দেশে তলে বলে ভিন্ন ভিন্ন নামের মাদকও জায়গা করিয়া নিয়াছে। দেশী বিদেশী চক্রের আনা নয় হাজার কোটি টাকার কোকেন চট্টগ্রামের মাটিতে পুঁতাইয়াছেন আমাগো স্বরাষ্ট্র দাদু। কোকেনের পিছনের জড়িত বিদেশীদের ধরিয়া আনিতে দ্রুত ব্যবস্থা লওনের দরকার। চুয়াডাঙ্গার আমিরুল-মিনি দম্পতির মাদক কারবারও চোক কপালে উঠার মতন। পাহাড় পর্বতেওতো পপি ক্ষেত ধ্বংস করিয়াছে আমাগো সেনা বাহিনীর সদস্যরা। মাদক কারবারীরা দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করিতে প্রতিযোগীতায় নামিয়াছে বলিয়া মনে হইতেছে। চন্দাবাজ ধান্ধাবাজেরও শেষ নাই, রাজশাহীতে পুলিশ সাজিয়া রীতিমন চেকপোস্ট বসাইয়া ছিনাতাই কালে চাইর যুবক শ্রীঘরে। দেশের যুব সমাজ আর মেধা ধ্বংসকারীতে এইসব জড়িতদের এমুনভাবে ছেঁছিতে হইবে যাহাতে বাপ-দাদার জনমেও আর এই জঘন্য কামে না জড়াইয়া বসে।

চট্টগ্রামের কিশোর গ্যাংকতো বেপরোয়া। চান্দাবাজি-আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রন করিতে শিবির-যুবলীগ নাকি সখ্য। এই সখ্যের পিছনেতো বড় লাইন রহিয়াছে। আকাম করিয়া বিদেশ ঘুরিয়া অবারো নাকি স্বদেশে ফিরিয়াছে। ধরাপড়া বাবলার তথ্যে পুলিশের ঘুমতো নাকি হারাম হইয়া পড়িয়াছে। দুই হাজার সালে চট্টগ্রামের বহাদ্দাহাটের আস্ট মার্ডারের হোতারাই দেশে থাকিয়া কিভাবে অধরা থাকিলো। নগর জুড়িয়া সড়কে অবৈধ চান্দাবাজি বাড়িয়াছে। নগরীতে পানের হইতে চুন খসিলেই লংকাকান্ড ঘটাইতেছে। কোকেন চালানেতো বড় বড় রাঘববোয়ালও জড়িত। নগরীর দামি দামি গাড়িতে করিয়াও নাকি মাদক পাচার হইতেছে। বাংলাদেশের ঘার হইতে রোহিঙ্গ্যা বোঝা সরাইতে বিশ^ বিবেকের দরজায় কড়া নাড়াইতে শক্ত কূটকৌশল চালান। মা’রে চট্টগ্রাম মহানগরকে রাক্ষস খোক্ষসদের হাত হইতে বাঁচাইতে অভিযান অব্যাহত রাখিতে আদেশ করিবেন।

মা’জননীগো জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী পালনে জাতি অধির আগ্রহে রহিয়াছে। তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালো থাকিবেন।

ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ১৬ ফেব্রয়ারী-২০২০খ্রীঃ