পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-২২
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ২২ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…
মা’জননীগো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালো মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে। দেশে মানুষ সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ঘটনায় মনে হইতেছে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। মাদক ইয়াবার মতন ধর্ষন ঘটনারও বিন্দু টলারেন্স ঘোষণা করেন। দেশ ও জাতির উন্নয়নে দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখিবেন। এইসব বধ্ করিতে আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।
পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো এই পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। দুর্বৃত্তরাতো চুক্তির বর্ষপুর্তির পরের দিন হইতে তাইনেরা ঠান্ডা। মনে হইতেছে খানিক দম লইতেছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী দূর্বৃত্তগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা আমস্বত্ত। অসহায়রা সৃষ্টিকর্তারে রাইত দিন জবিতে জবিতে জানপরান এই আছে এই নাই অবস্থা। দূর্বৃত্তরা পাহাড়কে যেইভাবে পিষ্ট করিতেছে দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে একটু সময় দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি চিহ্নিত করেন।
মা’জননীগো তিন পাহাড়ে আমামীলীগকে ভালো করিয়া সাইজে নিয়া আসেন। রাজনীতির মাঠের পরিস্থিতি আর পাহাড়ের প্রত্যেকটি সেক্টরে উন্নয়ন চালাইতে বাঁধা আপত্তিগুলাইন লাইনে আনিতে সুদক্ষ উদ্যোগী হইবেন। লুটেরা, পরগাছা, মূর্খদের সরাইতে সিজার চালান। মাদার ডিস্ট্রিক্টের সম্মেলন সম্পন্ন করিতে সেতু দাদুরে শক্ত করিয়া আগাইতে ওয়ার্ডার করিবেন। পাহাড় অশান্ত করিতে যারা লাঠিসোঁটার পিছনে ইন্ধন যোগাইতেছে তাদেরও চিহ্নিত করেন। তয় পাহাড়ে আমামীলীগের লাঠিসোঁটা পছন্দের বহুত নেতা নেত্রীরা রাজনৈতিক পরিবেশের যেই অবস্থা তৈরি করিয়া রাখিয়াছে তাহাতে আমামীলীগ-জনসংহতি সমিতি’র সম্পর্ক এখন যোজন যোজন ফাঁরাক। পাহাড়ের বড় বড় চাঁদাবাজ দূনীর্তিবাজদের বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করাইলেই দেখিবেন কলের, বলের হোতারাও চিহ্নত হইয়া পড়িবে। আমামীলীগের বিজ্ঞ দাদুরা কহিতেছেন যে যাই বলুক পাহাড় উন্নয়নের অন্যতম সহযোগী হইলো জনসংহতি সমিতি। আমামীলীগ-জনসংহতি সমিতি’র সম্পর্কে যারা পেরেকে টুকিয়াছে তাদেরও চিহ্নত করনের দরকার। আমামীলীগের কাইজ কাম লইয়াতো সন্তু দাদুও নাকি খুবই গোস্সা। আমামীলীগ-জনসংহতি সমিতি’র মইধ্যে দীর্ঘ বছর ধরিয়া সম্পর্কের ফারাক লইয়াতো চিরতা আর বহুত গর্তও সৃষ্টি হইয়াছে। এইসব রাজনৈতিক সৃষ্ট গর্তগুলাইন ভরাট করিতে আপনার উদ্যোগ পার্বত্য বাসীর জন্য প্রশংসার ভূমিকা রাখিবে। জনসংহতির বিজ্ঞ বহুত দাদু-দিদিরাও আশাবাদি আমামীলীগ-জনসংহতি সমিতি’র সম্পর্কের উন্নয়ন। ভূয়া মামলা দিয়া নাকি তাইনেগোর নেতা নেত্রীদের চরম হয়রানি করিয়া যাইতেছে। আঞ্চলিক দলের নামে মানবাধিকার লংঘনে জড়িতদের ভালো করিয়া টাইট দেন। হ¹ল উন্নয়ন আর সুখের জন্য যত দ্রুত সম্ভব সন্তুু দাদুরে কাঁছে টানিয়া লইবেন। ৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন করিতে তিন পাহাড়ের শান্তি প্রতিষ্ঠারও বিকল্প নাই। এই অধমের পরামর্শখানা ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’রে আমামীলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে দেশের কুঠি কুঠি দাদু-দিদিরা বহুত পরিবর্তন আশা করিয়াছিল। কিন্তু জাতি যা দেখিল খুশির তেমন কিছু নাই। তয় এক ঝড়েতো বর্ষার শেষও নাই। উদ্যোগওতো চালাইয়া যাইতেই হইবে। পরিষদে ব্যর্থ মন্ত্রী’র বদলের খবর কি। বহুতে নাকি পিয়াঁজ চাইলের মতনই বেপরোয়া। তাইনেরাতো খালি বে-ফাঁস কথাবার্তা বলে আর গিলে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে উত্তর-দক্ষিণ দুটোতেই বদলের প্রয়োজন আছিল। রাষ্ট্র পরিচালনার স্বার্থে বিজ্ঞ আর সৎ বিচক্ষণ ব্যাক্তিদের চেয়ারে বসান। যে কোন কৌশলে দলের সৎজনদের সামনের সারিতে আনিতে উদ্যোগ লইবেন। দেশ শাসনের মিশন বাস্তাবায়ন করিতে মন্ত্রী পরিষদ শক্ত করিয়া তৈরী করনের বিকল্প নাই। তয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য পরিবর্তন লইয়া যা করনের দ্রুত করিবেন। মা’রে ডাকসুতে এইসব কি হইতেছে, নূরকেতো ক’ দিন পর পরই দেখি টুঁটি চিপিয়া যাইতেছে। এইভাবে চলিতে দিলে মহা কেলেংকারি ঘটিয়া যাইবে। পুলিশওতো বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাদের প্রকাশ্যেই টুঁটি চিপিয়া ধরিয়াছে। গণতন্ত্র উদ্ধারে এবার ডান-বাম-ইসলামী দলের মঞ্চ মনে হইতেছে কাঁদা আরো পোক্ত করিবে।
মা’রে যাদের পরিশ্রমের ফসল সোনালী আঁশের বাংলাদেশ তারাই দাবি আদায়ে এই তীব্র শীতেও রাজপথে কেন। তাঁগো ভাগ্যের উন্নয়নে যুগোপযোগী উদ্যোগ লইবেন। রাজাকার, আলবদরের তালিকা তালগোল পরিস্কার করিবেন। মুক্তি যোদ্ধা রাজাকার, আবার রাজাকারই মুক্তি যোদ্ধা দেশের দাদু-দিরিাতো ছি ছি করিতেছে। ক্ষোভে দুঃখ বেদনায় রাস্তায় নামিয়াছে মুক্তি যোদ্ধা পরিবার। মা’রে অজ্ঞতায় বিজ্ঞতার ক্ষতি আর বিজ্ঞজনেরা অসম্মানীত হয়। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় দীর্ঘ বছর ধরিয়া কি ঘোড়ার ঘাস কাটিয়াছে। স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারের তালিকা লইয়া বিশে^র দরবারে বাংলাদেশকে হাসির খোরাকে পরিনত করিয়াছে। দ্বায়িত্বরত অধমদের বেদম তিরস্কার করিয়া অবসরে দেন।
মা’গো ব্যাংক গুলাইনের ঋণ জালিয়াতির ঘটনাতো শেষই হইতেছেনা। উন্নয়নের পাঁচপান্ন হাজার কোটি টাকা নাকি খেলাপিগোর পকেটে। জনগনের টাকাতো কোটস্যুট ওয়ালা নামী দামি লুটেরাগোর পকেটে গিয়াছে। ব্যাংক ওয়ালারাও দেখি ঝোপ ঝাড় দেখিয়া ফুটো পাত্রে টাকা ঢালিতেছে। তাইনেরা এই হাজার হাজার কোটি টাকা কি বাপ-দাদার ভিটাবাড়ি বিক্রি করিয়া ঋণ ঢালিয়াছে। ব্যাংকগুলাইন জনগনের টাকা লইয়া চোর ডাকাতের সাথে বন্ধুত্ব করিতেছে। স্বনামধারী শিল্পপতিদের ঘার মটকাইয়া দেশের জনগনের টাকা উদ্ধার করিতে ব্যাংক গুলাইনের উপরও বুলড্রোজার চালান। পিঁয়াজ লইয়াতো এইবার পাবলিক গরম হইয়া পড়িবে। পিঁয়াজ কেলেংকারীতে জড়িত দুই চাইরটারে জরিমানাসহ দ্রুত জেলে ভরিয়া দেন। এ অধমের আরজি কানা মাথায় রাখিবেন।
মা’জননীগো মিয়ানমারের গাদ্দারী কমাইতে বিশে^র দেশগুলাইনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো বেশী জোরদার করনের দরকার। আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের আদেশ নির্দেশ মানিয়া আমাগো কর্তাব্যাক্তিরা যাহাতে সামনের দিকে আগাইয়া যায় হেই দিকে খেয়াল রাখিতে হইবে। ভারতেও নাগরিকত্ব বিল লইয়া মানুষ এখন রাস্তাঘাট আর খালে বিলে দৌড়াইতেছে। দাদু-দিদিরাতো ১৪৪ ধারা ভাঙ্গিয়া সরকারকে ভৎসনা করিতেছে। পশ্চিমবঙ্গের মমতা দিদিতো মানবতাকে আগলাইয়া ধরিতে এখন রাস্তায় নামিয়াছে। মিয়ানমার ভারত যা শুরু করিয়াছে তাহাতে সুদক্ষ দৃষ্টি রাখিতে হইবে। আমাগো মন্ত্রী আর কর্তাবাবুরা যাহাতে লাইনগোজ ঠিক রাখিয় কথা কহেন তার খেয়াল রাখিবেন। দেশের বর্ডার এলাকায় নজর বাড়াইতে বিজিবি’কে আদেশ করিবেন। উন্নয়নের মিশন ঠিক রাখিতে পারিলে ভিশন বাস্তাবায়ন হইবে। মা’রে আমাগো অর্জন বুঝিয়া বজর্নের ডাক দিতে হইবে। বগুড়ার ধুনটে স্কুল ছাত্রীকে বাড়ি হইতে তুলিয়া নিয়া, মৌলভী বাজারের দুই গৃহবধুকে ধর্ষণ। সংবাদপত্র খুলিলেই দেশের নারীরা কিভাবে বাঁচিয়া আছে তা পুরিস্কার। দেশে যেইভাবে ধর্ষণ ঘটনা ঘটিয়া যাইতেছে বিশে^র দরবারে দেশের মানতো ডুবিতেছে। দ্রুত বিচারের অভাবে দেশের নারী ধর্ষণ ঘটনা বাড়িতেছে। মিরপুরের ২৮৭ তরুনীর সর্বনাশের হোতা জাকির বেপারী ভুয়া রব্বানীরেও ঝুলাইয়া দেন।
মা’রে কর্ণফুলীকে বাঁচাইতে দ্রুত উদ্যোগ লইবেন। তেইশ খাল দিয়া নাকি দৈনিক বাইশ হাজার টন বর্জ্য পড়িতেছে কর্ণফুলীতে। চাঁটগাঁর দাদু-দিদিরাতো কর্ণফুলী লইয়া মহা চিন্তায় পরিয়াছে। ছাত্রলীগতো প্রকাশ্যেই বন্দুক লইয়া গুলি করিতেছে। তাঁগো পকেটে আধুনিক অস্ত্র মহানগরের দাদু-দিদিরাও চোখ কপালে তুলিয়াছে। অবৈধ দখলও এক দিকে উচ্ছেদ হইলে আবার অন্যদিকে দখল। কর্ণফুলীকে বাঁচাইতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ লইয়া কোন আপস নয়। যারা অবৈধভাবে নদী নালার জায়গা দখল করিয়াছে সকল স্থাপনায় বুলডুজার চালানো যাহাতে বন্ধ না হয়। মা’রে চট্টগ্রাম মহানগরকে রাক্ষস খোক্ষসদের হাত হইতে বাঁচাইতে অভিযান অব্যাহত রাখিতে আদেশ করিবেন। আশি প্রতিষ্ঠানের বিশুদ্ধ পানির অধিকাংশই প্রতারনা করিতেছে নামে বিশুদ্ধ হইলেও দাদু-দিদিগোর শরীলে বিষ ঢুকাইয়া দিতাছে। এই দূষিত বাণিজ্য বন্ধ করিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে কড়া ওয়ার্ডার করেন।
মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালো থাকিবেন।
ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ৫ জানুয়ারী-২০২০খ্রীঃ