[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের আলীকদমে ভ্রমণে এসে নিখোঁজ শুভ’র ১৩ দিনেও সন্ধান মেলেনিযেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় সেখানেই যেন আলোর নিচে অন্ধকারবান্দরবানের থানচিতে এবার গ্রামে ফিরল বম জনগোষ্ঠীর আরো এক পরিবারবান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সরঞ্জামসহ ৯ জন আটক, জনমনে স্বস্তি‘কারিগরি শিক্ষা নিলে বিশ্বজুড়ে কর্ম মিলে’ কাপ্তাই এ সেমিনার অনুষ্ঠিতচিকিৎসক সংকটে বান্দরবানের থানচি হাসপাতালে সেবা বঞ্চিত মানুষখাগড়াছড়িতে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিতলংগদু সেনা জোনের উদ্যোগে সহিংসতা প্রতিরোধে কর্মশালাথানচিতে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাসিত লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনারখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় কালোজাম কেজি ১শত ৪০ টাকা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বেপরোয়াভাবে পরিচালিত ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নজর দিন

৯৪

তিন পার্বত্য জেলায় গড়ে উঠা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার গুলোর ডেন পোয়াবারো। তাদের ইচ্ছেমতই করে রোগীর সেবা করছেন। রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা নীরিক্ষায় কাজ করছেন মনগড়াভাবে। যার কারনে প্রতিনিয়তই অভিযোগ আসছে এসব ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে। কোন কোন সেন্টারে টেকনিশিয়ানরাই ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীকে সর্বদিকেই হয়রানি করে চলেছে। ঠিক এভাবেই অভিযোগ করা হয়েছে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলো সরকারের নিয়মনীতি না মেনে প্যাথলজিক্যাল ও ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টারের রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি যে টেকনিশিয়ান সে-ই আবার ডাক্তার হয়ে ফি নিয়ে রোগী দেখছে বলেও অভিযোগ। রোগী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুরোর যে অবস্থা তাত মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে হেলাফেলা করা হচ্ছে।

জান গেছে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের দেয়া লাইসেন্স, রেজি নং, প্রতিষ্ঠানের নাম, ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট, পরিবেশ ছাড়পত্র, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চুক্তি, পরীক্ষা নিরীক্ষার বিবরণী পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ বিবিধ নিয়মনীতি না মেনে অবৈধ ভাবে বছরের পর বছর ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। কোথাও কোথাও নিজেই ডাক্তার, টেকনিশিয়ান আবার ফার্মাসিষ্টও পরিচয় দেয়া হচ্ছে। এদিকে ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টারের কিছু অসাধু টেকনিশিয়ান পার্বত্য এলাকার নিরহ আসহায় লোকদের ঠকিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ও করছে। কোন, কোন প্যাথলজির মালিক এস,এস,সি বা এইচ,এস,সি পাশ করেনি অথচ নিজেই ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞ টেকনিশিয়ান হয়ে রীতিমতো ফি নিয়ে রোগীও দেখছেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের দেয়া অনুযায়ী ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টারের এ,বি,সি ক্যাটাগরি থাকতে হবে বলা হলেও এর মধ্যে সি ক্যাটাগরিতে রুটিন প্যাথলজি, বায়োকেমিস্টি, হেমাটোলজি পরীক্ষা, এক্স-রে ও আলটাসনোগ্রাগ সহ বিবিধ নিয়ম মেনে পরিচালনা করার নিয়মনীতি থাকলেও তা কোনটাই মানা হচ্ছেনা। এছাড়া প্রাপ্ত লাইসেন্সগুলোর মেয়াদও নেই বলে জানা গেছে।

এছাড়া কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজেই ডাক্তার, টেকনিশিয়া ও ফার্মেসী ব্যবসা করে সাধারণ লোকদের দিনের পর দিন প্রতারিত করে চলছে। কোন কোন প্যাথলজিক্যাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের লাইসেন্স ব্যতিত বছরের পর বছর প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। কাপ্তাই উপজেলায় সম্প্রতি প্রশাসনের কর্তৃক কিছু অবৈধ প্যাথলজি ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে দোকান সিলগ্যালা, জরিমানা আদায় এবং নিজেকে আর কখনও ডাক্তার বলে প্রেসক্রিপশন করবেনা বলে মুচলেখা নেয়া হয়। এত কিছুর পর ও আবারও প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে তাদের বাণিজ্য পরিচালনা করে যচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে যে কোন সময় বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যাবে বলে স্থানীয়রা আশংকা প্রকাশ করেছে। নিয়মনীতি বহির্ভুত এবং ব্যপরোয়াভাবে পরিচালিত এসব ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোর প্রতি কঠোর নজর দেয়া প্রয়োজন।