[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লামায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট এর জরিমানাচলতি ডিসেম্বরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ই-লার্নিং স্কুল চালু করা হবে- পার্বত্য উপদেষ্টাতথ্য অফিসের আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিতকাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক টাইফয়েড টিকাদানে উঠান বৈঠকরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠেঅনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বন্যাকবলিতদের সচেতনতায় স্থানীয় প্রশাসনের জরুরী উদ্যোগ নেয়া দরকার

বিগত কিছু দিন ধরেই টানা বুষ্টির কারনে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো এখন প্লাবিত হয়েছে। অতিরিক্ত পানির ঢলে নতুন নতুন এলাকাতেও পানি পুবেশ করে যোগাযোগ সহ নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার নিম্নাঞ্চলের মানুষ এখন চরম বিপদে দিন অতিক্রম করছে। তারা তাদের গবাদিগশু সহ অন্যত্র আশ্রয় নিলেও তাদেও চিন্তা রয়েগেছে ফসলী জমির দিকে। বর্তমানে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের নিম্নাঞ্চলগুলোতে যেভাবে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে তাহাতে বন্যাকবলি পানিতে আটকে থাকা মানুষগুলো বাঁচাতে স্থানীয় প্রশাসনকে জরুরী উদ্যোগ নিতে হবে।

এমনিতে প্রতিবছর এসময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে ও পাহাড়ি এলাকার পানির ঢলে বন্যার সৃষ্টি হয়। তবে এ বছর অন্যান্য বচলরের চাইতে কাপ্তাই হ্রদেও পানি বিপদসীমা উপরেই প্রবাহিত হচ্ছে। কাপ্তাহ হ্রদের পানি ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় বাঁধের ১৬টি গেট দিয়ে প্রায় ৩ফুট উচ্চতায় পানি ছাড়া হচ্ছে। পানি দ্রুত কর্ণফুলী নদীতে ছেড়ে দেওয়ার কারনে চট্টগ্রামর রাঙ্গুনীয়া এলাকার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল এলাকাও এখন প্লাবিত হচ্ছে। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এর নিরাপত্তার কারনে কাপ্তাই হ্রদে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখার কোন সুযোগ নেই কেননা এর জন্য বাঁদেও চরম ক্ষতি হতে পারে বলে। বর্তমানে ক্প্তাই হ্রদেও পানি একেবারে টুইটুম্বও অবস্থা। শহরের হ্রদ এলাকার বহু বাসাবাড়ি নিম্নাংশে এখন পানি প্রবেশ করেছে। কোথাও কোথাও এলাকার মানুষ বিপদ এড়াতে বাসাবাড়ি ছেড়ে আত্মীয়স্বজনে কাছে আবার কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিতে যাচ্ছে। রাঙ্গামাটি জেলার কয়েক হাজার মানুষ এভাবেই নিরাপদে সরে যাচ্ছে।

এদিকে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন তাদেরকে শুকনো খাবার বিতরণ করছে বলে জানা গেছে। তাছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকার সেনা-বিজিবি’র জোন এর পক্ষ থেকেও কোথাও কোথাও মানবিক সহযোগীতার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলে জানা যাচ্ছে। অমরাও চাই এ বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াক সমাজের সাবলম্বীরা। তাই সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃবৃন্দরাও বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের কল্যানে ভালো উদ্যোগ গ্রহন করুক। কলেই জোটবদ্ধ হয়ে এদের পাশে দাঁড়ালে বর্তমান এ বিপদেও পরিস্থিতি মেকালেবা করতে সাহস যোগাবে। সেই সাথে আমাদের স্থানীয় প্রশাসনগুলো জনসচেতনতায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর নিয়মিত খোঁজ রারুক এবং বিপদগ্রস্ত মানুষের বিপদ এড়াতে ও তাদের সাহস যোগাতে যতটুকু সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহন করুক।