[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লামায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট এর জরিমানাচলতি ডিসেম্বরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ই-লার্নিং স্কুল চালু করা হবে- পার্বত্য উপদেষ্টাতথ্য অফিসের আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিতকাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক টাইফয়েড টিকাদানে উঠান বৈঠকরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠেঅনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

অনাখাঙ্খিত মৃত্যু আমরা চাই না, পর্যটকদের সচেতন করা জরুরী

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে এক দৃঢ় আকষনীয় স্থান যা দেশের অন্যান্য স্থানের চাইতে বেশী সুন্দর এবং আকর্ষনীয় বলেই পর্যটকদের মনেও স্থিত। প্রাকৃতিক এসব সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিবছরই শতি গ্রীষ্ম বা কোন কোন সময় বর্ষাতেও ছুটে আসছেন পার্বত্য অঞ্চলের রাঙ্গামাটি-বান্দরবান এবং খাগড়াছড়িতেও। প্রতিটি জেলার উপজেলাগুলোতেও তাঁদের পদচারণা যেন পাহাড়বাসীকেও উৎফুল্ল যোগায় সব সময়ই। পর্যটকদের আথিয়েতা দিতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে যোগাযোগখাতের সংশ্লিষ্টরাও কমতি দেখান না। কেননা তাঁদের সাথে যেমন ভাতৃপ্রতীম সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে তেমনি তাঁদের আগমনে এবং সম্পৃক্ততার কারনে পার্বত্য অঞ্চলের সৌন্দর্য্যমন্ডিত স্থানগুলোর মানুষ অর্থনৈতকভাবে লাভবান হচ্ছেন তেমনি তিন জেলার প্রত্যেকটি খাতেই পর্যটকরা অর্থনৈতিক বড় অবদানও রেখে চলেছেন। তাই দেশী-বিদেশী যাই বলুন না কেন তাঁদের সুরক্ষা যেমন জরুরী তেমনি তাঁদেরকে কাঁছে টেনে আনাওতো সকলের দায়িত্ব কেননা আমরাতো তাঁদের উপভোগযোগ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে স্থানগুলো দেখভাল করছি কিংবা অধিকারী হয়েছি।

সম্প্রতি বেশ ক’জন পর্যটক আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে বেড়াতে এসে অনাকাক্সিক্ষতভাবে কিংবা অসাবধানতা বশত পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণ করেছেন। বিশেষ করে সম্প্রতি বান্দরবানে এসেছেন ঢাকার একটি ট্যুরিস্ট গাইডের অধীন প্রায় অর্ধশতাধিক পর্যটক বেড়াতে। কিন্তু তারা পাহাড় কিংবা হ্রদ এলাকায় বেড়ানো বা সাতার কাটা কোনটার দিকে তেমন অভিজ্ঞও নয়। কিন্তু তাদের গাইড করা হয়নি সঠিক। স্থান নির্ধারণেও রয়েছে পূর্ব অযাচিত ব্যবস্থা যার কারনে মাঝপথে ঘটে গেলো চরম অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু যা আমাদেরকেও চরমভাবে ব্যতিত করেছে। সেইখানে দুই পুরুষের পাশাপাশি স্মৃতি আক্তার নামের চব্বিশ বছরের এক যুবতিরও মৃত্যু হয়েছে। স্মৃতির বাবা একটি মামলাও দায়ের করেছেন সংশ্লিষ্ট থানায়। এসব মৃত্যুতো কোনভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। যাদের মৃত্যু হয়েছে আজ তাদের পরিবারগুলোর পরিস্থিতি কি সেটা প্রত্যেকেরই ভাবা দরবকার নয় কি? ঠিক রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়িতেও স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ও শিশু এবং পর্যটকেরও মৃত্যু হয়েছে। সেখানে কাউকে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভাসিয়ে নিয়েছে আবার কেউ অর্থের তাগিদে পানির সাথে ভেসে আসা গাছের গুড়ি ধরতে গিয়ে স্রোতে পরে মৃত্যু হয়েছে।

পার্বত্য অঞ্চলে এখন পর্যটকদের নিরাপত্তায় সরকার ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রমও রেখে যার স্থানীয় প্রধান পুলিশ সুপার পদমর্যাদার, রয়েছে যথেষ্ট লোকবল, তাপরও কেন আমাদের ট্যুরিস্টদের এভাবে মৃত্যু বরণ করতে হবে ভাববার বিষয়। তাঁদের নিরাপত্তায় যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের কি মনে প্রশ্ন যাগছে না যে প্রত্যেকের সন্তান বা স্বজন রয়েছে। আমরা কি ধরে নিতে পারি পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। যদি তাই হয় তাহলে রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় করে সেভাবে কি ফল আসছে। তবে এটাও ঠিক যে যেসব পর্যটক পার্বত্য অঞ্চলের কিছু বিষয় বা ব্যবস্থা রয়েছে যেগুলোকে তারা যেন কোনভাবে অমান্য না করেন। কেননা তাঁদের অমান্যতার কারনেও নিরাপত্তায় নিয়োজিত সকলকে প্রশাসনিক দায়বদ্ধার পাশাপাশি বিবেকের কাঠগড়াতেও দাঁড়করানো হচ্ছে। আমাদের যারা দায়িত্ব পালন করছেন আইনসৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি বিশেষ করে পুলিশের দায়িত্ব রয়েছে পাশাপাশি গাইডদের মনে রাখা দরকার তাদের দ্বারা পরিচালিত দেশের কোন পর্যটককে যেন স্মৃতিদের মত করে মৃত্যু বরণ করতে না হয়। তাই অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু যেমন চাই না, তেমন পর্যটকদের সচেতন করাও জরুরী।