কৃষিজাত পন্য উৎপাদনে ভালো স্থান পার্বত্য চট্টগ্রামে পতিত উঁচু নিচু ভুমি
পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের বৃহৎ পাহাড়ি এলাকা। এখানকার ঊঁচু নিচু পাহাড়ের মাটিগুলো কৃষি জাত পন্যের ভালো একটি স্থান। পাহাড়ের নিচু জায়গায় যেমন ফলন হচ্ছে তেমনি উঁচু জায়গাতেও ভালো ফলন হচ্ছে। বর্তমানে ছোট বড় অনেক পাহাড়ে মিশ্র ফলের চাষ করা হচ্ছে। জুমা চাষের সাথে অন্যান্য শষ্য ফলানো হচ্ছে। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় কৃষক পরিবার সহ নতুন নতুন উদ্যোক্তরা তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে কৃষিজাত পন্য উৎপাদন করে জনগনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি নিজেদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বি করছে।
স্থানীয় কৃষক উদ্যোক্তরাও জানিয়েছেন স্বল্প অর্থ নিয়ে নিজ উদ্যোগে পরিত্যাক্ত ছোট বড় পাহাড় টিলায় নানান ফলজ গাছ রোপন করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে অধিকাংশই উদ্যোক্তা তাদের পরিশ্রমের ভালো ফলন পাচ্ছেন। কৃষকরা তাদের জুম চাষের সাথে সাথী ফসলেরও চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন। জুম চাষের সাথে ভুট্টা, ঢেঁরস, সীম, বড়বটি সহ আরো বেশ কিছু কৃষি পন্য উৎপাদন করে মানুষের চাহিদা মেটাচ্ছেন। জুমে একই সাথে অনেক পন্যের উৎপাদন এক পরিশ্রমে নানান ফসল থাকায় তাদের খরচও পষিয়ে আসছে। কৃষক পরিবার এবং উদ্যোক্তরা জানিয়েছেন নিজ উদ্যোগের সাথে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতা কৃষি খাতের ভালো উন্নতি ঘটাবে। বেকার যুবক-যুবতিরা যেভাবে এগিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তারা একটু সহযোগীতা পেলে বেকারত্ব দুর সহ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষি বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ এমন কি পৌরসভাও তাদের এলাকায় পরিত্যাক্ত জমিতে উদ্যোক্তা এবং কৃষকদের সহযোগীতা করে কৃষি পন্যের উৎপাদন বাড়াতে পারে।
কৃষক এবং উদ্যোক্তা আশা প্রকাশ করছেন সরকারি কৃষি বিভাগ সহ অন্যান্য উদ্যোগ প্রতিষ্ঠান পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল বিশাল উঁচু-নিচু পাহাড় টিলা গুলোয় কৃষক এবং উদ্যোক্তাদের জন্য হাত বাড়িয়ে দিলে এ দিকে ভালো ফলনের সম্বার ঘটবে সেই সাথে কৃষক উদ্যোক্তার অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। বর্তমানে জেলা উপজেলা সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতিরা রয়েছেন তাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করতে পারলে কৃষি বিভাগের পাশাপাশি অন্যান্য উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানও তাদের সাফল্যের পরিধি বেড়ে যাবে। সেই সাথে অর্থনৈতিক অভাব দুর করতে সহজও হবে। তাই সরকারি কৃষি বিভাগ সহ অন্যান্য উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান এবং উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলো এক যোগে কৃষি খাতের উপর বেশি বেশি দৃষ্টি দিলে স্থানীয় মানুষের চাহিদার পাশাপাশি যতটুকু সম্বব অন্যান্য জেলা শহরেও সরবরাহ করতে পারবে। মানুষের দিন দিন চাহিদা বাড়ছে কিন্তু তার সাথে উৎপাদন বাড়ছে না। তাই আমাদের ভিন দেশের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে, বেশী বেশী দামে ক্রয় করতে হচ্ছে। অথচ দেশের বিভিন্ন স্থানে এখনো অনেক অনেক জমি পতিত রয়েছে সেব সব জমিতে সরকারি বেসরকারি এবং উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের সহযোগতিা থাকলে ঘাটতি থাকবে না বরং উবৃত্তই থাকবে।