দূর্নীতিবাজগোরে মনোনয়ন না করিতে ভক্তগোর নিবেদন,দশ-বিশটারে হাজতে ভরাইয়া দেন

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও অবাধ্য জীবানু করোনার অত্যাচার, তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, হতভাগা, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপুনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৩৪ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপুনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় নিয়া ভালামন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুক্ষ্ম চিন্তায় পাহাড় শাসনের ব্যবস্থাপত্র বানাইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো….

পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপুনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো দূর্বিফাঁকে পড়িয়া মইধ্যে মইধ্যে চোখে ঝাপসাও দেখি। মা’রে পার্বত্য চট্টগ্রামেও সন্ত্রাসীরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া বন্দুকের নলায় খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পর্বতের বহু ওস্তাদ দলাদলী বলাবলি লইয়া পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হয়। ক’দিন বিরতি থাকিয়া আবার ঢুঁস করিয়া ফুটায়। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেই আছে, বৈদ্য ওজাতেও ফলাফল নাকি শুন্য। এই অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান হেই আছে হেই নাই। দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে-চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপুনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে হ¹ল কাজের মইধ্যেও একটু টাইম দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন।

মা’রে পৌরসভা নির্বাচন লইয়াতো পাহাড়ে তালগোল চলিতেছে। আমাগো মাদার ডিস্ট্রিক্টের চৌধুরী দাদুতো তলে তলে দূর্নামের ফর্দ বাড়াইয়াছ। উন্নয়ন কি হইয়াছে দেখিতে নগর দাদু-দিদিরা এখুন বাত্তি লইয়া নামিয়াছে। আমামীলীগের নির্বাচনী কোর কমিটি যেই দিকেই মোড় নেক চৌধুরীতো খারা। জেলা দলে কোন্দলেতো বহুত বড় বড় গর্ত তৈরী হইয়াছে। কারে কে পটাইবে, খোঁচাইবে, লটকাইবে এইসব লইয়া হাম্কো তোম্কোতে চলিতেছে। ফেইস বুকে রটনাকারীরা হাছা-মিছা রটাইলেও কথায় বলে কিছুতো নাকি বটেও। মা’রে পাহাড়েও নাকি এক মেজর (অব)কে খেদাইতে রীতিমতন মোটরবাইক বাহিনী ছাড়িয়া ছিল দুই লিডার। ঐ মেজর দাদু নাকি বাহিনীর সাহার্য্য লইয়া নিজের সম্মান রক্ষা করিয়াছে। ফেইস বুক দাদুর এই রটনা মনে হইতেছে কিছু বটেও। তয় মেজর (অব)কে খেদানোর এই বাহিনীর ওয়ার্ডার দাতাগোর তথ্য তালাস লইতে গুরিন্দা বহিনীরে আদেশ করিবেন।

মা’রে হুনিলাম জেলা পুরিষদ লইয়াও দৌড়াদৌড়ী চলিতেছে। কে কত্তো মিটারে দৌড়াইতে পারে তারও পুতিযোগীতা চলিতেছে। মাদার ডিস্ট্রিক্টের অন্তর্বুত্তি চলিত পরিষদ জেলা পরিষদরে নাকি লুট করিতে করিতে ভষ্ম বানাইয়াছে। উন্নয়ন লইয়া বহুত অবনতির কিচ্ছা কাহিনীর জন্ম দিয়াছে। তয় এই পাহাড় উন্নয়নের ধরন কি হইবে আমাগো মন্ত্রী পুরিষদের পত্রের ফরমায়েশ দেখিলাম এক, চেয়ারমন,মেম্বররা করিতেছে আরেক। জনগনের উন্নয়নের অর্থ অনর্থে পরিনত করিয়াছে। পুরিবেশ নদী-নালা, খাল-বিল জাহান্নামে চলিয়া যাইলেও উন্নয়ন করিতে যাইয়া এখন ম্যাজিস্ট্রট, নদী কমিশনের নাখোস চিঠি ধরাইয়া দিয়াছে। জেলা পরিষদরে চেয়ারমন মেম্বররা ললিপপ বানাইয়া ছাড়িয়াছে।

মা’জননী পৌরসভার নির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক না হইলেও মাস ডিক্লার হুনিয়া পাহাড়ে বহু লুটেরা পার্সন চেয়ারে বসিতে মালিশপত্র লইয়া দর্শন বাড়াইয়া দিয়াছে। আমাগো মাদার ডিস্ট্রিক্ট রাঙ্গামাটিতে আমামীলীগের নিমাতারা শয়তানের দল গুটি চালাইয়া ভালাগোর টুঁটি চাপিয়া ধরিতে ব্যঙের মতন লম্পঝম্প করিতেছে। পৌরসভারে ব্যক্তিসভাতে পরিণত হইয়া চুষিতে চুষিতে রক্তও সাদা করিয়াছে। ব্রাদার ডিস্ট্রিক্ট খাগড়াছড়িতেও ল্যদার ব্যাগভর্তি নোট মজুতে ওঁৎ পাতিয়া রহিয়াছে। সিস্টার ডিস্টিক্ট বান্দরবানে নেতাগোর হাবভাব গায়ে কোন পতঙ্গ বহে নাইতো অবস্থা। তয় তিন পাহাড়ের বহুতেরে ডিসমিস করনেরও দরকার বলিয়া দাদুর ফরমায়েশ। মা’গো পাহাড়ে আমামীলীগের ভক্ত বাড়াইতে লুটেরা দূর্নীতিবাজগোরে মনোনয়ন না করিতে ভক্তগোর নিবেদন জানাইতেছে। দল বাঁচাইতে হইলে নিবির পর্যবেক্ষণে রাখিয়া ভালা করিয়া তত্যতালাস লইয়া তিন পৌরসভার প্রার্থীর ফর্দ করিতে আমাগো তালুকদার দাদু আর সেতু দাদুরে কড়া আদেশ করিবেন।

মা’রে জেলা আমামীলীগের বহুতে কহিলো চেয়ারে বসাইলেই বেয়ারা হইয়া পড়িতেছে। নির্বাচনের আগেই ক্ষমতারোহী দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করিতে দুদক দাদু-দিদিগোরে আদেশ করেন। নিজের ঘরের ইঁদুর বেড়া কাটিতে কাটিতে মাটি হইতে ফটকে আসমানও দেখা যাইতেছে। পাহাড়েও এনু, রূপন, পাপিয়া, সম্রাটদের মতন বহুত গং রহিয়াছে। লেজ ধরিয়া টান দিলেই স্তরে স্তরে লুটেরাদের চেহারা পুরিস্কার হইয়া যাইবে। গত দুই সপ্তাহর মইধ্যে ঘটিয়া গেল যুবলীগ সভাপতি ও কাপ্তাই উপজেলা ভাইস চেয়ারমন নাছির দাদু গাছ চুরি মামলায় পদ হারাইয়াছে, লংগদু আমামীলীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারমন বারেক দাদু অসহায়রে পিটাইতে যাইয়া আদালত পরোয়ানা জারি করিয়াছে। সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারমন নাসরিনরে দল হইতে খেদাইয়া দিয়াছে। এইসব বদ্ এর দলই আমামীলীগের মান কমাইতে কমাইতে এখন নিজেগোর সম্মান লইয়াও টানাটানি। মা’গো নিজের ঘরের দূর্নীতিবাজগোরে মেরামত না করিয়া অন্যের ঘরের দরজা বন্ধ করিলেতো সুনীতি আসিবেনা। তয় আমামীলীগের দুর্নীতিবাজ দুই চাইরডারে হাজতে ভরাইয়া দেন। এই অধম, পোড়াকপাইল্লা পাহাড়ি দাদু’র কথাডা একবার ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’জননীগো মেজর অব সিনহা হত্যা ঘটনায় ওসি প্রদীপ-লিয়াকত গং’দের বিরুদ্ধেতো মামলার ফাইল বাড়িতেছে। চট্টগ্রাম বিভাগে পুলিশ কর্তাগোর বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকাতো লম্বা হইতেই আছে। অসহায় দাদু-দিদিগো হইতে ফায়দা লুটার নানান কায়দায় অত্যাচার চালাইয়াছে। হতভাগা পোড়াকপাইল্লারা এখুন সাহস পাইয়া মুখও খুলিতেছে আদালতে নোটও দিতাছে। চুনোপুঁটি কিছূ দূনীতিবাজ অসৎ কর্মকর্তারা দেশে পুলিশ ডিপার্টমেন্টরে যেইভাবে ডুবাইতে বসিয়াছে সিনহা প্রাণ দিয়াই মনে হইতেছে তাঁগো হ¹ল আকাম ধরা খাইতেছে। রাজধানীর পল্লবী থানার পুলিশের তিন কর্মকর্তার যাবজ্জীবন অসহায়রা নাকি স্বস্তিতে। চাঁটগার সন্দীপে অন্তস্বত্তা নারীকে পুলিশ কর্তার লাথির ঘটনায় এসআই কাউছারকে লাইনে ক্লোজড করা হইয়াছে। মা’রে পুলিশ বাহিনীর ললাট হইতে দূর্নাম মুছিতে কঠোর পদক্ষেপ লইবেন। এই ধরায় অসৎদের সর্বহারা করিয়াই ছাড়িবেন। তয় দেশের দাদু-দিদিরা পুলিশ প্রধানের উপর বেজায় খুশি। পুলিশে অসৎদের পিছনের যোগানদাতাগোর মুখো-মুখোশ বাহির করিতে আমাগো পুলিশের প্রধান দাদুরে আদেশ করিবেন, তাইনেরেও সজাগ থাকিতে কহিবেন।

মা’গো ইউএনও ওয়াহিদা মা’য়ের উপর হামলার ঘটনার পিছনে মনে হইতেছে বহুত সুতোয় গাঁথা। আমাগো সেতু দাদুর অতীত হইয়া যাওয়া কিছু কথার যোগসুত্রের ইঙ্গিত মনে হইতেছে। গোটাদেশেতো বহুত শয়তান গাপ্টি মারিয়া রহিয়াছে। তলে তলে তাইনেরা নিজেগোর পাল্লা ভারি করিয়াছে। ঝোপ বুঝিয়া কোপ মারিতে প্রস্তুত। ঘোড়াঘাটেতো নাকি আমামীলীগের এক নেপথ্যের নায়ক ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমাগো সময় সাংবাদিক দাদুর অনুসন্ধানে ঐ নেতার কূ-কর্মের সন্ধানও বাহির হইতেছে। দাদুর তল্লাসীতে একে একে লুটেরাদের পর্দা ফ্লাস হইতেছে। মা’রে দিনাজপুর, ঘোড়াঘাট একটু ছাঁকিয়া লইলে বহুতে আটকিয়া যাইবে। আমাগো র‌্যাব দাদুরা কষিয়া তদন্ত চালাইলেই নেপথ্য নায়ক চিহ্নিত হইয়া পড়িবে।

মা’গো রাজধানীর ধামরাইয়ে দিনে দুপুরে সাংবাদিক হত্যা দেশে সুশীল সমাজের উপর অসনি সংকেত। সাংবাদিকরা খাইয়া না খাইয়া রাষ্ট্রের, সমাজের প্রহরা দিবেন আর দুই চাইর কলম লিখিলেই হত্যার শিকার হইবেন। দেশে বহুত সাংবাদক নির্যাতন হত্যার শিকার হইয়াছে তয় একটি ঘটনারও সঠিক বিচার হয় নাই। ঘটনা ঘটাইয়া উল্টো পার পাইয়া বসে। বিএনপি সরকারের আমুলেও এরকুম বহুত ঘটিয়াছে তয় তাইনেরাও পার পায় নাই। দেশের লোমহর্ষক বহু ঘটনার বিচার আপুনি করিতে পারিলে সাংবাদিক হত্যার বিচার কেন হইবে না। আমাগো সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় কঠোর আইন করেন। রাজবাড়ী ও খুলনায় ধর্ষন ঘটনার সাত আসামির মৃত্যুদন্ডে হতভানীরা দোয়া করিতেছে, বাকিদের বিচারও দ্রুত করিতে আদেশ করিবেন।

মা’গো চাঁটগার অবস্থাতো তলে তলে শয়তানের দল বাসা বান্ধিয়াছে। চকরিয়া থানার ওসি সহ দুই পুলিশের বিরুদ্ধেও মামলা হইয়াছে। এইবার নামের মিল থাকায় পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে টেক্সটাইল ভোকেশনালের ছাত্র জয়নালের জীবন নাশের ঘটনা ফাঁস হইয়াছে। ভুজপুরের ওসির বিরুদ্ধেও ক্রস ফায়ারের অভিযোগে মামলা হইয়াছে। ইয়া বড় বড় ইয়াবার চালানতো ধরা খাইতেছে। সড়ক ফুটপাত দখল করিয়া চাঁন্দাবাজি আর বাণিজ্য চলমানই রহিয়াছে। বালু মহাল লইয়া ভাবনের দরাকার। ঘোষনার পরও গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায় লইয়া বাকবিতন্ডার শেষ নাই। চাঁটগা নগরীতো পানিতে তলাইয়া যাওনের সময় ঘনাইতেছে। অবৈধ দখলে খাল, নালা নর্দমা উদ্ধারের অভিযানে ভাটা কেন নগরের দাদু-দিদিরা কুইশান করিতেছে। কর্ণফুলি বাঁচাইতে কটোর সিদ্ধান্ত লইবেন। পিঁয়াজের নাই যত ঝাঁজ তার বেশী ঝাঁজ ব্যবসায়গোর, টাকা পুড়ছে দাদু-দিগিরো। আমাগো নতুন সিএমপি কমিশনারতো কহিলেন চাঁটগা যেন নেগেটিভ সংবাদের শহর না হয়। তয় না তাকাইয়া কঠোর হওনের আদেশ করিবেন।

মা’গো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালা-মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি হ¹ল উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে তারমইধ্যে যোগ হইয়াছে বিশ্বশক্তিধর করোনা। হুট করিয়া হৃদমাজারে ধরে আর মারিয়াই ছাড়ে। এমনিতে কুটি কুটি দাদু-দিদিরা মানব সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে পিষ্ট। মা’রে মানবতাবিরোধীগোর এইসব কাইজ কাম বধ্ করিতে আপুনার নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।

মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, কথা হইলো আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালা থাকিবেন। আইজ এই পর্যন্ত।

ইতি,
আপনারই কুঠি কুঠি দাদু-দিদির পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনা এস.এস.বি.এম, তারিখ- ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ খ্রীঃ

ই-পিসি/আর