পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-৩৩
দাদু কহিলো আঙ্গুর নাকি মজিয়া কিসমিস হয়,মহাবাহিনীরে লইয়া বসেন, শুদ্ধ অভিযান চালান
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও অবাধ্য জীবানু করোনার অত্যাচার, তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, হতভাগা, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপুনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৩৩ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপুনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় নিয়া ভালামন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুক্ষ্ম চিন্তায় পাহাড় শাসনের ব্যবস্থাপত্র বানাইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো….
পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপুনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো দূর্বিফাঁকে পড়িয়া মইধ্যে মইধ্যে চোখে ঝাপসাও দেখি। মা’রে পার্বত্য চট্টগ্রামেও সন্ত্রাসীরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া বন্দুকের নলায় খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পর্বতের বহু ওস্তাদ দলাদলী বলাবলি লইয়া পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হয়। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেই আছে, বৈদ্য ওজাতেও ফলাফল নাকি শুন্য। এই অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান হেই আছে হেই নাই। দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে-চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপুনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে হ¹ল কাজের মইধ্যেও একটু টাইম দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন।
মা’জননী পৌরসভার নির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক না হইলেও মাস ডিক্লার হুনিয়া পাহাড়ে বহু লুটেরা পার্সন চেয়ারে বসিতে মালিশপত্র লইয়া দর্শন বাড়াইয়া দিয়াছে। আমাগো মাদার ডিস্ট্রিক্ট রাঙ্গামাটিতে আমামীলীগের নিমাতারা শয়তানের দল গুটি চালাইয়া ভালাগোর টুঁটি চাপিয়া ধরিতে ব্যঙের মতন লম্পঝম্প করিতেছে। পৌরসভারে চুষিতে চুষিতে রক্ত সাদা করিয়াছে। ব্রাদার ডিস্ট্রিক্ট খাগড়াছড়িতেও ল্যাদার ব্যাগভর্তি নোট মজুতে ওঁৎ পাতিয়া রহিয়াছে। সিস্টার ডিস্টিক্ট বান্দরবানে নেতাগোর হাবভাব গায়ে কোন পতঙ্গ বহে নাইতো অবস্থা। হেই পাহাড়ের ভাগ্য দাদু কহিলো আঙ্গুর নাকি মজিয়া কিসমিস হয়। তয় তিন পাহাড়ের বহুতেরে ডিসমিস করনেরও দরকার বলিয়া দাদুর ফরমায়েশ। মা’গো পাহাড়ে আমামীলীগের ভক্ত বাড়াইতে ভালা করিয়া তত্যতালাস লইয়া প্রার্থীর ফর্দ করিতে সেতু দাদুরে আদেশ করিবেন।
মা’রে জেলা আমামীলীগের পৌর কমিটির এক নেতা কহিলো চেয়ারে বসাইলেই বেয়ারা হইয়া পড়িতেছে। সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারমন নাসরিন দিদিরে নির্যাতন-মানহানীর অভিযোগ থানায় গড়াইতেছে। মাদার ডিস্ট্রিক্টের জেলা পরিষদের অন্তর্বতি পরিষদতো মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করিয়া উল্টো পথের উন্নয়ন করিতেছে।এইসবের হিসাব লইতে আমাগো সাংবাদিক দাদু-দিদিগোরে মাঠ পর্যায়ের চিত্র তুলিয়া ধরিতে নিবেদন করিতেছে। শুধু পৌরসভা নয় গোটা তিন পর্বতের লুটেরা দুর্নীতিবাজদের আইনের কাটগড়ায় দাঁড় করনের দরকার। নির্বাচনের আগেই ক্ষমতারোহী দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করিতে দুদক দাদু-দিদিগোরে আদেশ করেন। নিজের ঘরের ইঁদুর বেড়া কাটিতে কাটিতে মাটি হইতে আসমানও দেখা যাইতেছে। মা’গো নিজের ঘর ঠিক না করিয়া অন্যের ঘরের দরজা বন্ধ করনের দরকার কি, এই অধম, পোড়াকপাইল্লার কথাডা একবার ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’রে আপুনার দেয়া উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ভবন হইবে কখন। অন্যের ঘরের হ্যম্পর করিয়া আর কতোদিন ক্যাম্পস চলিবে। পাহাড় পর্বত ঠিক রাখিয়া এইসব শিক্ষা পুতিষ্ঠানের ভবন তৈরীর কি অবস্থা পাহাড়বাসীরে জানাইতে আমাগো শিক্ষামন্ত্রীরে ওয়ার্ডার করিবেন। পাহাড়ের রাজনীতির পরিবর্তন দরকার তয় জনসংহতি সমিতিরে পাশে লইয়া উন্নয়নের রোড ম্যাপ তৈরী করেন। মানবতা বিরোধী কাজে জড়িত দুই চাইরটা টান দেন। লাট্টালাট্টির উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করনের দরকার। খাল বিল নালা নর্দমায় উন্নয়নের ফিরিস্তি দেখাইলেও পরে কুঠি কুঠি টাকার বহুত সম্পদ ভাঙ্গিতে হইবে। ১৭ সালের দূর্যোগে মাটি ঘরের উপর পড়িয়াছিল এখন ঘরই ঘরের উপর পড়িবে। টেকসই পরিকল্পনা না করিয়া যত্রতত্র স্থাপনা যে কোন সময় পাহাড় হৃদয় বিধারক স্থান হইয়া পড়িবে। পাহাড়ে স্থাপনা নির্মাণে নির্দিষ্ট তলা নির্ধারন করিয়া দেন। বিপদ এড়াইতে এইসব মহা মহাস্থাপনার বিষয়খানা আমাগো পরিকল্পনামন্ত্রীর কি পরিকল্পনা তার জবাব আদায় করিবেন।
মা’জননীগো মেজর অব সিনহা হত্যা ঘটনায় ওসি প্রদীপ-লিয়াকত গং’দের বিচার দ্রুত করেন। টেকনাফ থানার সিসি ক্যামেরার ১১ দিনের ফুটেজ গায়েব ঘটনার রহস্য কি। শষ্যের ভিতর ভুত ধরিতে দক্ষ ওজা চালান দেন। কক্সবাজরকে যারা মাদকের খনি,অবৈধ টাকার খনি, মধু বাজার বানাইয়াছে হেই আকামের গুনি ব্যক্তিদের চেহারা চুরুত দেশের কুটি কুটি দাদু-দিদিগোর সামনে তুলিয়া ধরেন। কক্সবাজারে হুট করিয়া অশুভশক্তির দল পয়দা হয়নাই। যারা হায় হ্যালো করিয়া অপরাধী বাঁচাইয়াছে, বাড়াইয়াছে, সাহস যোগাইয়াছে তাঁগোর মুখোশ বাহির করেন। হেইখানের অশুভ প্রেতাত্মারা পাহাড় পর্বতে গা ঢাকা দিয়াছে বলিয়া বহুতের কানাঘুষা হুনিতেছি। প্রদীপ-লিয়াকত গং’দের মত আরো নানান কিছিমের নেতা গং রহিয়াছে এইসবদের উৎখাত করিয়া আমৃত্যু জং ধরাইয়া দিতে ষ্ট্রীম রোলার চালাইবেন। এখন বহুতে আইন আদালতে ক্ষমা চাহিয়া আকাম পার করিতে চাহিতেছে। মানবতার বিন্দু মাত্র ছোঁয়া নাই এমুন নেতা কর্মুকর্তারা খেমতা পাইয়া অসহায়দেরও পিঁপড়ার মতন ডলিয়া মারিতেছে। ছাড় দিলেই পার পাইয়া বসিবে। তয় ক্ষমা প্রার্থীদের চাকুরি, নেতৃত্ব হইতে অবসর দিয়া, ব্যাংক ব্যালেন্স সরকারি কোষাগারে জব্দ করিয়া, কাগুজে কলমে মুছলেখা লইতে আইমন্ত্রী দাদুরে আদেশ করিবেন।
মা’জননীগো ছাত্রলীগের কাইজকামেতো সমাজে মুখদেখানো কষ্টসাধ্য হইয়া পড়িতেছে। ফরিদপুরের দুই নেতার দুই হাজার কুটি টাকা পাচার কান্ডে বহুতেরে ফকির বানাইয়াছে। এইকান্ডে আরো কারা কারা জড়িত নাম গেরামও চিহ্নিত হইতেছে। বেপরোয়া ছাত্র নেতারা পদপদবী পাইয়া মহা মহা আকাম করিতে করিতে গোটা পার্টিরে ডুবাইয়া ছাড়িতেছে। এমুন কোন কান্ড ঘটাইতেছেনা যে দেশে কুটি কুটি মানুষ ছিঃছিঃ করিতেছেনা। বঙ্গলীগের প্রেসিডেন্ট শওকত দাদুর প্রতারণা তদন্তের আদেশ করেন। পাহাড় পর্বতে থাকিয়া ছাত্রলীগের আকামের কান্ডের লাগাম টানিয়া ধরিতে, গোটাদেশের ছাত্রলীগের বাহিনীরে চালইন দিয়া ছাঁকিয়া লইতে ফরমায়েশ করিয়াছিলাম। তয় এখন যা মনে হইতেছে বেপরোয়া ছাত্রলীগের পিছনের নাটের গুরুদেরও ধরিতে কারেন্ট জাল বসানোর দরকার। আমাগো সেতু দাদু কহিলেন দেশে কখন কি ঘটিবে বলা যাইবেনা কথার পিছনে বহুত প্রশ্নের জন্ম দিতাছে। মা’রে এই মহাবাহিনীরে লইয়া বসেন, শুদ্ধ অভিযান চালান। অন্যের উপর ভরসা না করিয়া প্রত্যেক জেলার এমপি, নেতা নেত্রীদের লইয়া দ্রুত দল ঠিক করেন। হাল ছাড়িয়া দিলে দায় নিজের থাকিয়া ভার অন্যের কাঁদে চলিয়া যাইবে। এই অধম, বেকুবের ফরমায়েশ খানা একবার ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’রে ২০০৪ সালের একুইশ আগস্ট ঘটনার বিচারের শেষ কি দেশের দাদু-দিদিরা দেখিতে চাহে। হেই দিনের ঘটনা দেখিয়া, ডাঙার মাছের মতন ধরফর করিয়া নেতাকর্মীর মৃত্যুর দৃশ্য, ক্ষত বিক্ষত অঙ্গ, বৃষ্টির মতন রক্তের ঢল এখনো ঘুমের ঘোরেও দেশের দাদু-দিদিরা আংতকিয়া উঠিতেছে। মানবতাবিরোধী এই হীন কর্মযজ্ঞের বিচারের শেষ দেখিতে অধীর আগ্রহে রহিয়াছে ভুক্তভুগি বহুতে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত আসামীদের দেশে ফিরাইয়া আননের খবর কি, বিশ্ব দরবারে দেশ কখন কলঙ্কমুক্ত হইবে, দেশে বুদ্ধিজীবি, মুক্তিযোদ্ধা, সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিকরা প্রশ্ন তুলিতেছে। মা’রে জাতিকে কলঙ্কমুক্তের বিচারে পলাতক আসামীদের দেশে ফিরাইয়া বেঈমানদের বিচার রায় দ্রুত কার্যকর করিতে কালবিলম্ব নহে।
মা’রে দেশেতো নারী ধর্ষণ ঘটনা বাড়িয়াই যাইতেছে। এমুন কোন স্থান বাদ যাইতেছে না এই মহা অপরাধ ঘটনা ঘটিতেছেনা। আকামের ঘটনায় থানায় থানায় অভিযোগ পড়িলেও হায় হ্যালোতে ক্ষতিগ্রস্ত বিচার পাইতেও বিলম্ব হইতেছে। মিরপুরে চটপটি খাইতে যাইয়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশু, গাজীপুরে চাকুরি দেয়ার কথা বলিয়া পোষাক শ্রমিককে গণধর্ষণ ঘটনাসহ আরো কত্তো লোমহর্ষক পত্রিকার পাতা উল্টাইলেই দেখা যাইতেছে। নারী ধর্ষণ ঘটনায় দেশের এই চিত্র মুছিয়া দিতে কঠোর হইবেন। যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বার বার অঘটন কেন। আর কতো মায়ের বুক খালি হইবে। শিশুদের উপর নানান অত্যাচারের হেতু কি। কেন্দ্রের পরিচালক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিচারের আওতায় আনীতে ব্যবস্থা লইবেন।
মা’গো চাঁটগার অবস্থাতো তলে তলে শয়তানের দল বাসা বান্ধিয়াছে। চকরিয়া থানার ওসি সহ দুই পুলিশের বিরুদ্ধেও মামলা হইয়াছে। ক্রস ফায়ার দিয়া প্রবাসী জাফরকে হত্যার দায়ে তাইনের মুক্তিযোদ্ধা মামা আহমদ নবী এই মামলা দায়ের করিয়াছেন। সিনহা হত্যা ঘটনা লইয়া পুলিশের অপকর্মের ঘটনার দ্বার উম্মোচিত হইতে শুরু হইয়াছে। ঘুঠা দিলেই পুলিশের বহু অপকর্মের হিস্যা বাহির হইয়া পড়িবে। কোটি কোটি টাকার ইয়াবা চালান ঘটনার আটক ব্যক্তিদের বাহির হওনের হ¹ল ফটক বন্ধ করিয়া দেন। গরুচোরের তিরস্কার দিয়া মা-মাইয়ারে নির্যাতন ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করিবেন। কিশোর গ্যাংক চক্রের পুশিং দাতা কারা বাহির করিতে ওয়ার্ডার দেন। চাঁটগা নগরীতো পানিতে তলাইয়া যাওনের সময় ঘনাইতেছে। অবৈধ দখলে খাল, নালা নর্দমা উদ্ধারের অভিযানে ভাটা কেন নগরের দাদু-দিদিরা কুইশান করিতেছে। কর্ণফুলি বাঁচাইতে কটোর সিদ্ধান্ত লইবেন।
মা’গো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালা-মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি হ¹ল উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে তারমইধ্যে যোগ হইয়াছে বিশ্বশক্তিধর করোনা। হুট করিয়া হৃদমাজারে ধরে আর মারিয়াই ছাড়ে। এমনিতে কুটি কুটি দাদু-দিদিরা মানব সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে পিষ্ট। মা’রে মানবতাবিরোধীগোর এইসব কাইজ কাম বধ্ করিতে আপুনার নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।
মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, কথা হইলো আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালা থাকিবেন। আইজ এই পর্যন্ত।
ইতি,
আপনারই কুঠি কুঠি দাদু-দিদির পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনা এস.এস.বি.এম, তারিখ- ৩০ আগষ্ট, ২০২০ খ্রীঃ
ই-পিসিআর