[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সরকার বিহার নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছেক্যান্সারে আক্রান্ত ঋতুপর্ণা চাকমার ‘মা’ অর্থের অভাবে চিকিৎসাও হচ্ছে নাপানছিড়িতে ভেজা চোখে রাজকীয় বিদায় জানালেন মসজিদের ইমামকেখাগড়াছড়ির রামগড়ে চোলাইমদ সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতাররাঙ্গামাটির বাঙ্গালহালিয়া খাল ঐতির্হ্যের নীরব সাক্ষী, অথচ দখলে দূষণে বিপর্যস্তকাপ্তাই এর কৃষক দিদার আলমের সন্ধান মেলেনি এক মাসেওসুজন এর নানিয়ারচর উপজেলা কমিটির সভাপতি উত্তম, সম্পাদক বিনয়লংগদু উপজেলা পর্যায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘হলদে পাখি’ মতবিনিময়নাইক্ষ্যংছড়িতে টাস্কফোর্সের অভিযানে ৫ লাখ টাকার সেগুন কাঠ জব্দনাইক্ষ্যংছড়িতে ১০হাজার পিস ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের আলীকদমে বুদ্ধমূর্তি ভাংচুর, পেছনে কারা জানতে চায় জনসাধরণ

॥ সুশান্ত তঞ্চঙ্গ্যা, আলীকদম ॥
বান্দরবানের আলীকদমে মারাইংতং ধম্মা জেদী বৌদ্ধ বিহারের পাহাড়ে কটেজ নির্মাণকে কেন্দ্র করে লামা সাঙ্গু মৌজার হেডম্যান ও বিহার পরিচালনা কমিটির সাথে বিরোধ চলছে বলে জানা গেছে। বুধবার (২১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মারাইংতং জেদি পাহাড়ের নবনির্মিত একটি বুদ্ধ মুর্তি ভাংচুরের শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় পেছনে কারা জানতে চায় জনসাধারণ।

মারাইংতং বৌদ্ধ জাদী পরিচালনা কমিটির সভাপতি উ উইচারা মহাথেরো অভিযোগ করেছেন, লামা উপজেলার সাঙ্গু মৌজার হেডম্যান চংপাত ম্রোর নেতৃত্বে এই ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে, অভিযোগের বিষয়ে সাঙ্গু মৌজার হেডম্যান চংপাত ম্রো তাৎক্ষণিকভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি দাবি করেন, তিনি নিজে একজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং কেন মূর্তি ভাঙবেন তা বোধগম্য নয়। তিনি এই ঘটনাকে একটি ষড়যন্ত্র বলেও উল্লেখ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে মারাইংতং জাদীর জমি নিয়ে জাদী কর্তৃপক্ষ ও চংপাত ম্রো হেডম্যান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় যুব নেতা উইলিয়াম মার্মা বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মনে এতো বড় আঘাত দেওয়ার স্পর্ধা কার? তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। মারাইংতং পাহাড়ে নির্মাণাধীন বুদ্ধমূর্তি ভাঙচুর—আমরা মর্মাহত, ব্যথিত, ক্ষুব্ধ। ধর্মীয় সহনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী সম্প্রীতি যেন নষ্ট না হয়—এই হোক আমাদের সবার আহ্বান।

এ ব্যাপারে ২৮৮নং আলীকদম মৌজার হেডম্যান অংহ্লাচিং মার্মা বলেন, এখন আমরা রাত ১১টা ৫৫ থানার পুলিশকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তিনি বলেন, তারা শুনেছেন বিকেলে বৌদ্ধ মূর্তি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায় দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

আলীকদম থানার এ.এস.আই আবু সাঈদ বলেন, এ বিষয়ে জানতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া হয়েছে কেউ অভিযোগ দায়ের করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।