[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

সন্তান ফেলে চলে যায় “এ কেমন মা”

মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করল ছেলে !

৭৭

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

পরকীয়া আসক্ত হয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী আরেক তিন সন্তানের পিতার সাথে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের টুইন্না পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই প্রবাসীর স্ত্রী তার স্বামীর পাঠানো নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও কাপড়-চোপড় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে তার ১৪ বছরের শিশু সন্তান মামলার বাদী শাহাব উদ্দিন।

লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মোঃ মামুন মিয়া বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মায়ের বিরুদ্ধে শিশু সন্তানের করা মামলাটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করতে লামা থানাকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।

আদালতে দায়ের করা মামলার সূত্রে জানা যায়, সরই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের টুইন্না পাড়ার বাসিন্দা বজল আহম্মদ জীবিকার তাড়নায় দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ সৌদি আরবে রয়েছে। তার নামে সরই বাজারে ২টি দোকানের প্লট রয়েছে। একটি দোকান ভাড়া নেয় সরই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান পাড়ার আব্দুল মাবুদ এর ছেলে কামরুল ইসলাম (৩৬)। বজল আহম্মদের স্ত্রী রাজু বেগম (৩২) স্বামী দেশে না থাকায় দোকানের ভাড়া আদায় করত। নিয়মিত দোকানে যাতায়াত করতে গিয়ে দোকানের ভাড়াটিয়া কামরুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে দুইজনের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। বজল আহম্মদ ও রাজু বেগমের সংসারে ২টি ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। অপরদিকে কামরুল ইসলাম বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক।

গত ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রবাসীর স্ত্রী রাজু বেগম ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে বলে বাড়িতে বড় ছেলে শাহাব উদ্দিন (১৪) ও মেয়ে সানজিদা আক্তার সাইমা (১১) কে ফেলে ছোট সন্তান সায়েদকে সাথে নিয়ে প্রেমিক কামরুল ইসলামের সাথে পালিয়ে যায়। লোকলজ্জার ভয়ে নিরবে শিশু সন্তান ও স্বজনরা রাজু বেগমকে খুঁজতে থাকে। ঘটনার পর থকে প্রেমিক কামরুল ইসলামকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না ও দোকান বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভেঙ্গে দেবে বলায় ও খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ায় আদালতে মামলা করতে বিলম্ব হয় বলে জানায় শাহাব উদ্দিন।

শাহাব উদ্দিন আরো বলে, আমার পিতার ঋণ পরিশোধের জন্য বিদেশ থেকে পাঠানো নগদ ৬ লক্ষ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় সাথে নিয়ে আমার মা পালিয়েছে। বিষয়টি আমার জেঠা রফিকুল ইসলামকে জানাইলে তিনি আমার মায়ের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে আমি ও আমার বোন আমার জেঠা রফিকুল ইসলাম ও চাচা আব্দুল আজিজের হেফাজতে আছি। আমার পিতা বিদেশে অনেক টেনশনে আছে।

প্রবাসী বজল আহম্মদের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, ছোট ভাই ৬ বছর প্রবাসে থেকে অর্জিত সকল টাকা ও সম্পদ নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে রাজু বেগম। বড় ২টি সন্তানের কান্না থামাতে পারছিনা। সাথে নিয়ে যাওয়া ছোট সন্তানটি কি অবস্থায় আছে জানিনা। সন্তান ফেলে চলে যায় “এ কেমন মা” !