[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে বিল্ডিং কোড মানছে না, নাগরিকরা সেবাবঞ্চিত, জন্ম নিবন্ধনে নাজেহাল অবস্থাবান্দরবানের লামায় এবার চার নারীকে মারধর, হাসপাতালে ভর্তিখাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে দুটি ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করেছে প্রশাসনবাঘাইছড়ির সাজেকে ক্ষতিগ্রস্ত লুসাই ও ত্রিপুরা পরিবারের পাশে বিজিবিথানচিত শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়াতে হবে ১৫মার্চখাগড়াছড়ির গুইমারা বাজারে সপ্তাহে দুই দিন বসে কলার বৃহৎ হাটবান্দরবানের লামায় স্বামীর সহায়তায় স্ত্রীকে গণধর্ষণরাঙ্গামাটিতে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ১৫ মার্চরাঙ্গামাটির লংগদুতে সেনা জোনের ইফতার সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদানবান্দরবানের লামায় জরিমানা সহ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল প্রশাসন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়ির গুইমারা বাজারে সপ্তাহে দুই দিন বসে কলার বৃহৎ হাট

॥ মাইন উদ্দিন বাবলু, গুইমারা ॥
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার বাজারে সপ্তাহে দুই দিন বিশেষ কলার হাট বসে, যা স্থানীয় কলাচাষী ও ব্যবসায়ীদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সিএনবি থেকে শুরু করে কাশেম মার্কেটের পাশের রাস্তা জুড়ে এই হাটটি প্রতিদিনের মতো জমে ওঠে। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ও শনিবার চাষীরা তাদের উৎপাদিত কলা নিয়ে আসেন, যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হয়।

গুইমারা বাজারের কলার হাটটি খাগড়াছড়ির সবচেয়ে বড় কলা হাট হিসেবে পরিচিত। এখানে গুইমারা, মাটিরাঙ্গা, পানছড়ি, রামগড়সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার কলাচাষীরা তাদের উৎপাদিত কলা নিয়ে আসেন। প্রতি সপ্তাহে এই হাটে চাষীরা প্রায় বিশ হাজার কলার ছড়া নিয়ে আসেন, যা আনুমানিক ৫০ লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয়। হাটের আগের দিন থেকেই চাষীরা কলা নিয়ে এসে পসরা সাজিয়ে রাখেন।

এ বছর কলার দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ী মোঃ রহিম জানান, প্রতি কাঁদি কলার দাম এখন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। গুইমারা উৎপাদিত কলা বিশেষত উন্নতমানের হওয়ায় এর চাহিদা দেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে, আর এই কারণে কলার দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।

গুইমারা উপজেলার সিএনবি এলাকার কলাচাষী আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বছর এক একর জমিতে কলাচাষ করেছি এবং প্রায় ২ থেকে আড়াই লক্ষ্য টাকা লাভ আশা করছি। হাট ইজারাদার সালমান হোসেন জানান, দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা এখানে কলা কিনতে আসেন এবং হাটের খাজনা তুলনামূলক কম নেওয়া হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওঙ্কার বিশ্বাস জানান, গুইমারা উপজেলায় বর্তমানে ৩৯০ জন বাণিজ্যিক কলাচাষী আছেন। এখানকার উৎপাদন হেক্টর প্রতি ২৫-৩০ টন এবং এবছর মোট প্রায় ১১,০০০ টন কলা উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে ৬০% বাংলা কলা, বাকি অংশ চাম্পা কলা, সাগর কলা, সূর্যমুখী কলা ও কাঁচকলা রয়েছে। তিনি আরও জানান, “পাহাড়ি আবহাওয়া কলাচাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী, ফলে এই অঞ্চলে কলাচাষের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুইমারা বাজারে কলার হাট এখন শুধু স্থানীয় কৃষকদের জন্য নয়, বরং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।