॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
বাবা চট্টগ্রামে রিক্সা চালায়, মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কাজে যাওয়ার সময় তিন বছরের শিশুটিকে তার মা দাদীর কাছে দেখভালের জন্য রেখে যায়। বাবা-মায়ের অনুপস্থিতি টের পেয়ে ও কন্যা শিশুর হাতে বিস্কুট দিয়ে ভিকটিমের নিজ বসতঘরেই শিশুটিকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী নজরুল ।
অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম প্রকাশ বেচু (২৯) বান্দরবানের লামা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড চেয়ারম্যান পাড়ার জিয়াবুল হকের ছেলে। অভিযুক্ত আসামী ও বাদী পরিবার প্রতিবেশী। বুধবার (০৮ মার্চ) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে পরে ভোর রাতে আসামীকে আটক করে পুলিশ।
নির্যাতনের পরে শিশুটি কান্না করতে করতে তার দাদীর কাছে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানায় এবং তার প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়ার কথা বলে। ভিকটিমের মা ঘটনার বিষয়ে সংবাদ পেয়ে বাড়িতে এসে স্থানীয় লোকজনসহ শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
এদিকে শিশু ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত লামা হাসপাতালে আসে থানা পুলিশ। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে লামা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী জানান, আসামী তার প্রতিবেশী হওয়ায় প্রায় সময় তাদের বাড়িতে আসত এবং শিশুটিকে আদর করত। এই কারণে শিশুটি তাকে বিশ্বাস করে তার কাছে গেলে সে এই ঘটনা ঘটায়। আসামীর বিরুদ্ধে পূর্বেও এমন ঘটনার অভিযোগ আছে।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধণী/০৩) এর ৯(১) ধারায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা নং-০৭, তারিখ- ৯ মার্চ ২০২৩ইং। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই পুলিশের কয়েকটি টিম অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতারে মাঠে নামে। ঘটনার ৮ ঘন্টা না পেরুতে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম প্রকাশ বেচু কে বৃহস্পতিবার রাত ৪টা ২০ মিনিটে লামা সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রহিমানগর (ঠাকুরঝিরি) মসজিদ সংলগ্ন জনৈক জাহিদুল এর বাড়ী হতে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, এইটি চরম নেক্কারজনক ঘটনা। মামলার প্রাথমিক তদন্তকালে বর্ণিত ধৃত আসামী অত্র মামলার ঘটনার সহিত জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যায়। মামলার বিস্তারিত তদন্ত অব্যাহত আছে। আসামী ভাঙ্গা গলায় কথা বলে, তার কথা স্পষ্ট নয়।