যৌন হয়রানি, ধর্ষণ ও বুদ্ধমূর্তি ভাংচুরের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে তিন সংগঠনের বিক্ষোভ
॥ খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ॥
রামগড়ে থানাচন্দ্র পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ বেলায়েত হোসেন কর্তৃক ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, সাজেকে এক দোকানদার কর্তৃক ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণ ও খাগড়াছড়ির বেতছড়িতে বুদ্ধমূর্তি ভাংচুরের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা। রবিবার (১৫ মে) বিকালে খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করেন।
‘‘সারাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন ও সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ কর”শ্লোগানে মিছিল পরবর্তী অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্ত চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম’র খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা।
বক্তারা বলেন, পাহাড়ের প্রতিটি জায়গায় নারীরা নিরাপদ নয়। গত ১০ মে রাঙামাটি সাজেক পর্যটন এলাকায় এক ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণ ও ১২ মে খাগড়াছড়ি রামগড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ৫ম শ্রেণীর ত্রিপুরা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় তাই প্রমাণ করে। দেশে বিচারহীনতা সংস্কৃতির কারণে ধর্ষণের ঘটনায় সঠিক বিচার ও অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি না দেয়ায় বার বার এমন ঘটনা ঘটছে। সমতলের চেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়নের মাত্রা বেশি জারি রাখার ফলে অপরাধীরা উৎসাহিত হয়ে এসব অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত নিপীড়নের অংশ হিসেবে নারী নির্যাতন ছাড়াও চলছে অন্যায় দমন-পীড়ন। এর সুযোগ নিয়ে বাঙালিরা কর্তৃক সাম্প্রদায়িক হামলা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বুদ্ধমূর্তি ভাংচুররের ঘটনা সংঘটিত করা হচ্ছে। পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা দিনেও খাগড়াছড়ি সদরের বেতছড়িতে বুদ্ধমূর্তি ভাংচুর করা হয়েছে।
অবিলম্বে সাজেক ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণ ও রামগড়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি এবং বেতছড়িতে বুদ্ধমূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।