[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

গাঁজাক্ষেত ধংস করেছে মহালছড়ি সেনাবাহিনী

১৪৩

॥ প্রতিনিধি উপজেলা মহালছড়ি ॥

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি সেনাজোনের টহল দল ৩ শ বিঘা গাঁজা ক্ষেত ধংস করেছে। শনিবার (১৬ অক্টোবর)ভোরে মহালছড়ি উপজেলার দেবতাপুকুর এলাকায় টহল চলাকালীন সময়ে আনুমানিক প্রায় ৩ শ বিঘা গাঁজা ক্ষেত এর সন্ধান পায় মহালছড়ি সেনা জোন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় দূর্গম পাহাড়ে গাঁজার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আওতাধীন মহালছড়ি সেনা জোনের উপঅধিনায়ক মেজর দিদারুল ইসলাম, পিএসসি টহল দলের নেতৃত্বে দেন। পরবর্তীতে পুলিশ স্থানীয় জনসাধারণ এর উপস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন এর মাধ্যমে গাঁজা ক্ষেত পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

সেনাবহিনীর বাহিনীর তথ্য সূত্রে জানা যায়, গহীন অরণ্য ও দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে জনবসতি তুলনামূলক কম এরকম জায়গায় মাদক সন্ত্রাসীরা নিরাপদ এলাকা হিসাবে বেছে নিয়েছে। আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল গুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র ক্রয় ও তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে। যেখানে গাঁজা ক্ষেত করা হয়েছে সেখানে প্রত্যন্ত ও দুর্গম এই এলাকায়

জনসাধারণের চলাচল নেই বললেই চলে। কিন্তু সেনাবাহিনী কর্তৃক নজরদারীর ও শক্ত গোয়েন্দা কার্যক্রমের ফলে গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায় মহালছড়ি জোন। গাঁজা চাষের সাথে যুক্ত ৭ জন এর মধ্যে জমির মালিক দেবতা পুকুর এলাকার ১ জন কদু ত্রিপুরা(৪০) মৃত কলারাম ত্রিপুরার ছেলে। গাঁজা চাষের সাথে জড়িত ৩ জন তারা হলেন (১) মুক্ত কুমার ত্রিপুরা (৩০), পিতা: বিষ্ণু কুমার ত্রিপুরা, (২) সুদত্ত কুমার ত্রিপুরা (৩০), (৩) মঞ্জয় ত্রিপুর (৩৫), পিতা: চিনোত্ত দত্ত ত্রিপুরা। এরা সকালেই দেবতা পুকুর পারার বাসিন্দা।

গাঁজা চাষের শ্রমিকরা হলেন ৩ জন তাদের নাম (১) মায়া কুমার ত্রিপুরা (২২), পিতা: মৃত মতি কুমার ত্রিপুরা,গ্রামঃ দেবতা পুকুর পাড়া, (২) হেরন ত্রিপুরা (৪৫) এবং (৩) শান্তি ত্রিপুরা (২৫) এদের মধ্যে মায়া কুমার ত্রিপুরা (২২) কে নিরাপত্তা বাহিনী আটক করে। মহালছড়ি থানার এস আই শেখ ইফতেখার মাহামুদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন লোক চক্ষুর আড়ালে গ্রামের লোক জন গাঁজার চাষ করেছে।

মহালছড়ি জোনের অধিনায়ক বলেন, এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মহালছড়ি জোন সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে থেকে জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে। মহালছড়ি সেনা জোনের এ ধরণের কার্যক্রম সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন প্রকার মাদকের চাষ বন্ধ এবং মাদক নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, মহালছড়ি জোনের মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য মহালছড়ি জোনে এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। ভবিষ্যতেও মহালছড়ি জোনের এধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। করোনা মহামারীর মাঝেও মহালছড়ি জোন বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রকার কার্যক্রম গ্রহণের ফলে সাধারণ মানুষের জোনের প্রতি তথাপি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি সাধিত হচ্ছে।