জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় মতবিনিময় সভা
পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষার উপায় খুঁজে বের করা যাবে: অংসুইপ্রু চৌধুরী
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে পৃথিবীর কোন মানুষই বাদ পড়বেনা। তাই সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষার উপায় খুঁজে বের করা যাবে।বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে (এনেক্স ভবন) অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় পার্বত্য অঞ্চলের মৌজা বন এবং সংরক্ষিত বনের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত বক্তারা পানির প্রবাহকে ক্ষতি না করে জুম চাষ, বিনামূল্যে চারা বিতরণ ও জুম চাষে নির্ভরশীল ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে জুমচাষে নির্ভরশীলতা হ্রাস, বনায়নে পরিবেশ উপযোগি গাছ নির্বাচন এবং পার্বত্য এলাকার বিশেষ ভোগৌলিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বনায়নের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ রাখেন।
পরে চেয়ারম্যান আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত এবং রক্ষিত বনের মধ্যে অবস্থিত জনবসতিগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নের জন্য এলাকাগুলো ডি-রিজার্ভ করার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে প্রেরণের ব্যবস্থা করবেন বলে সভায় অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি রাঙ্গামাটি জেলার সংরক্ষিত বনের বনশূন্য জায়গা এবং মৌজা এলাকার পতিত খাস জায়গায় বনায়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জুম চাষ পার্বত্য অঞ্চলের মানুষে জীবন-জীবিকার সাথে সংশ্লিষ্ট একটি কৃষি পদ্ধতি। এ চাষ পদ্ধতির আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণে পরিবর্তীতে পরিষদের উদ্যোগে কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, হেডম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস, এম, ফেরদৌস ইসলাম, বন সংরক্ষকের পক্ষে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ.ন.স. আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা, পরিষদ সদস্য নিউচিং মারমা, পরিষদ সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা, পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, পরিষদ সদস্য প্রবর্তক চাকমা, পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, বিলাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, বরকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা, জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, কাউখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অংপ্রু মারমা, চাকমা রাজা প্রতিনিধি সুব্রত চাকমা, চাগালা কমিটি সহ-সভাপতি নিশি মোহন চাকমা, জেলা ভিসিএফ নেটওয়ার্র্ক কমিটির সদস্য রমনী রঞ্জন তালুকদার, ৩নং আইমাছড়া বরকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমর কুমার চাকমা, ৩নং ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা, ১নং বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান, ভিসিএফ নেটওয়ার্ক এর সাধারণ সম্পাদক অমল তঞ্চঙ্গ্যা, ৩৭৭নং রূপকারী মৌজার হেডম্যান বিশ^জিৎ চাকমা, ৪নং ভূষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রশিদ মামুন, লংগদু উপজেলার গুলসাখালীর ইউনিয়নের কাকপর্য্যা মৌজার হেডম্যান বিয়াক থাং, রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সদস্য রিতা চাকমা, এনজিও আশিকা কো-অর্ডিনেটর শান্তি বিকাশ চাকমা, হেডম্যান হীমল দেওয়ান, হেডম্যান এসোসিয়শনের প্রতিনিধি শান্তি বিকাশ চাকমা, সিএইচটি ভিসিএফ নেটওয়ার্কের সভাপতি থোয়াই অং মারমা, ভিসিএফ কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য কার্বারী শান্তনা খীসা, এইচআইডি-সিএইচটি ইউএনডিপি জেলা ম্যানেজার ঐশ্বর্য চাকমা, এইচআইডি-সিএইচটি ইউএনডিপির বিহিত বিধান খীসা এবং হেডম্যান দীপল দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী। পরে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশানের মাধ্যমে উপস্থাপনা করেন পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং প্রকল্পের ফোকাল পার্সন অরুনেন্দু ত্রিপুরা।