[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
ছাত্রদলের উদ্যোগে ক্রীড়ামোদীদের জন্য ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণনারীবান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবেশান্তি সম্প্রতি ও উন্নয়নে রামগড় ৪৩ বিজিবি’র মানবিক সহায়তা প্রদানবাঘাইছড়ির সাজেক সড়কে ৮ঘন্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিকখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের নিরাপত্তা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিতদীঘিনালায় পার্টনার ফিন্ড স্কুল কংগ্রেস’র কৃষক সমাবেশনিহত ছাত্র উক্যাচিং মারমার পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমানখাগড়াছড়ির রামগড়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও সনদ প্রদানবান্দরবানের লামার মিরিঞ্জা কটেজে গলায় ফাঁস দিয়ে পর্যটকের মৃত্যুঋতুপর্ণা’র মায়ের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রানলয়ের অর্থিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের আয়োজনে চুক্তির ২৩ বছর পূর্তি পালন

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য চুক্তি বিশেষ অবদান রাখছে

৭০

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ২ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং আলোচনাসভার আয়োজন করে।
আলোচনাসভার আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন, বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন অতিথিরা।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পরিষদের সদস্যবৃন্দ, হস্তান্তরিত বিভাগ ও পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা।

স্বাগত বক্তব্যে সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ বলেন, এ এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিন পার্বত্য জেলার অতীত এবং বর্তমান অবস্থার পার্থক্য তুলে ধরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে যা শান্তিচুক্তির আগে তেমন ভাল ছিলনা। চুক্তির পর শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সরকার ও জনসংহতি সমিতি দু’পক্ষের মধ্যে যে উদ্দেশ্যে চুক্তি হয়েছে সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য দু’পক্ষের মধ্যে সমন্বয় থাকলে চুক্তি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ নিতীশ চাকমা বলেন, শান্তি চুক্তির কারণে রাঙ্গামাটিতে মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে, বিশ^বিদ্যালয় হয়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর শান্তিচুক্তির পরে বর্তমানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজসেবা, যুব উন্নয়ন বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা: আশরাফুল ইসলাম বলেন, শান্তি চুক্তির পরে এ এলাকার জনগণ অনেক সুফল ভোগ করছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য এ চুক্তি বিশেষ অবদান রাখছে বলে তিনি সন্তব্য করেন। তিনি সবাইকে পার্বত্য অঞ্চলের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করার জন্য আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্যবাসীর কথা চিন্তা করে পাহাড়ে স্থায়ী সমাধানের লক্ষে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এই মহান চুক্তির ধারাগুলো তিনি আন্তরিকতার সাথে বাস্তবায়ন করছেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে এবং তা বাস্তবায়ন করছেন। সরকারের চুক্তি ও উন্নয়নে অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।