[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫শিক্ষার্থীর মধ্যে লংঙি ম্রো বান্দরবান উপজেলা আলীকদমেরখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই কোচিং সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই বসতবাড়ি আগুনে ভষ্মিভুতদীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনী
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মনে হতো একটি খাঁচার মধ্যে বন্দি ছিলাম

চুক্তি বাস্তবায়নে প্রয়োজন ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ঐকান্তিক ইচ্ছা

৬৪

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

রাঙ্গামাটি ২০৫ পদাতিক ডিভিশনের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইফতেকুর রহমান, পিএসসি বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি করেন। তিনি উদার মন নিয়ে সকল সুযোগ-সুবিধা দিয়ে চুক্তি করলেন যাতে সবাই শান্তির ধারপ্রান্তে উপনীত হতে পারে। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাহাড়ে ফলপ্রসূ শান্তি এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারবো। এজন্য প্রয়োজন ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ঐকান্তিক ইচ্ছা। বুধবার (০২ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাঙ্গামাটি জোনের ব্যবস্থাপনায় ও রাঙ্গামাটি রিজিয়নের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি জোন কমান্ডার লে.কর্ণেল রফিকুল ইসলাম, পিএসসি, রাঙ্গামাটি বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার এ এস ফয়সাল, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবির (পিপিএম সেবা), জেলা ত্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিউল আযম, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মহসিন রোমান সহ সেনাবাহিনী, বিজিবি, নৌবাহিনী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা।

 

রিজিয়ন কমান্ডার আরও বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে সকলে নিয়ে একসাথে কাজ করবো। জনপ্রতিনিধি, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থা এবং দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনগণকে নিয়ে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো এটিই প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়  বিশ্বাস। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে প্রায় ২১ বছর ধরে পাহাড়ে ভ্রাতৃঘাতি যুদ্ধ হয়েছে, রক্তপাত হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ কখনোই দেশের উন্নয়ন করতে পারে না।

 

সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পার্বত্য চুক্তির আগে মনে হতো একটি খাঁচার মধ্যে বন্দি ছিলাম। দিনের বেলায়ও এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যেতে পারতাম না। সেনাবাহিনী, পুলিশসহ সাধারণ মানুষ নিয়মিত অপহরণ হতো। আতঙ্কে কোথাও যাওয়া যেত না। অনেক সরকার আসছে, গেছে কিন্তু তাদের স্বদিচ্ছা না থাকায় এ অঞ্চলে শান্তি আনতে পারেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদিচ্ছার কারণে এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির আগে এই অঞ্চল ছিল আতঙ্ক, অশান্তি, আর সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ভরপুর। পার্বত্য অঞ্চলের অশান্ত পরিবেশ থেকে যে শান্তির সূচনা হয়েছে তা একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভব হয়েছে।

এর আগে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন কাপ্তাই হ্রদের মধ্য টিলা হতে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত বিশেষ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলকে বিশেষ পুরষ্কার দেয়া হয়েছে।