[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় ইয়ুথ গ্রুপের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভারাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের নামে অপপ্রচারে সচেতন মহলের ক্ষোভকর্ণফুলী সরকারি ডিগ্রী কলেজে ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ছাত্রদলের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালনঅবশেষে বাঘাইছড়ির বাঘাইহাট বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে, ২২ জুন বসছে হাটমাটিরাঙ্গায় বিজিবি জব্দ করলো প্রায় ১৬লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়িরামগড়ে ঈদের ছুটিতেও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সেবা অব্যাহতকাপ্তাই-এ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ নৌকার মাঝি গ্রেপ্তাররামগড়ে দরিদ্রদের মাঝে একতা সমাজ সেবা সংগঠনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণবান্দরবানের কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ২৫ শিক্ষার্থীর সাফল্য
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মাশরুম চাষ করে স্বাবলম্বী এলএলবি সম্পন্ন কাপ্তাইয়ের অনিল মারমা

৫৭

॥ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥
মাশরুম চাষ করে স্বাবলম্বী রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা অনিল মারমা। শিক্ষায় এলএলবি সম্পন্ন করে বেকার বসে না থেকে শখের বসে পরীক্ষামুলক মাশরুম চাষ শুরু করে। শুরুতেই সফলতা পেয়েছে অনিল মারমা।

জানা গেছে, তিনি গত ৩বছর আগ থেকে কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়িস্থ নিজ বাড়িতে তিনি মাশরুম চাষ শুরু করেন। অনিল মারমা লেখাপড়া করলেও কোন চাকুরী নেই। সিদ্বান্ত নিলেন ঘরে বসে না থেকে অবসর সময়টি মাশরুম চাষের পরিকল্পনা করেন। এবং মাশরুম চাষ বিষয়ে ভাল আরো কিছু জানার জন্য মাগুরা জেলার ড্রীম মাশরুম সেন্টার ও ঢাকা সাভারে তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি নিজ বাসায় একটি শেড বানিয়ে মাশরুম চাষ করেন। এবং খড়ের সিলিন্ডার বানিয়ে তিনি চাষ কার্যক্র শুরু করে। একটি সেডে একহাজার মাশরুম চাষের খড়ের সিলিন্ডার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। তিনি জানান, গত ৪মাসে খড়ের সিলিন্ডার হতে মাশরুম উৎপাদন করে প্রায় ৩শ’কেজি। তিনি প্রতি কেজি মাশরুম ৩৫০টাকা করে বিক্রয় করছেন। এযাবৎ মাশরুম চাষে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১লাখ টাকা। কিন্ত তিনি ইতিমধ্যে আয় করেছে ২/৩লাখ টাকা। কোন কোন সময় তার চাষে ৫/৬জন শ্রমিক কাজ করে তারও লাভবান হচ্ছে। স্থানীয় ৩০জন বেকার যুবক-যুবতীদের মাশরুম চাষে প্রশিক্ষন দিচ্ছে। আগামিতে মাশরুম চাষটি আরো বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা আছে বলে জানান। এ কাজে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করেছে বলে জানান।

এদিকে অনিল মারমা কেবল মাশরুম চাষে সীমাবদ্ধ থাকেননি বরং মাশরুম চাষের পাশাপাশি তিনি ৩য় প্রজন্মের ধানের মাদার উৎপাদন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি মাশরুম চাষে ব্যাপক সফলতার মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করবেন বলে আশা করছেন।

কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ইমরান আহামেদ জানান, বর্তমানে দেশে বিদেশে মাশরুম চাষ দিনদিন অনেক জনপ্রিয় হচ্ছে। অনিল মারমার মতো যদি অন্যরাও এই মাশরুম চাষে কাজ শুরু করে, তবে অনেকেই এতে স্বাবলম্বী হতে পারবে। কেননা মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং অন্যান্য কিছুর তুলনায় মাশরুমের কদরটা অনেক বেশি। এছাড়া অনিল মারমাকে মাশরুম চাষে কৃষি বিভাগ সহযোগীতা করে যাচ্ছে। অনিল মারমার মাশরুম চাষের আরো সফলতা কামনা করেছে।