[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পাটের মোড়ক ব্যবহার না করায় জরিমানারাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের শিক্ষা উপবৃত্তি রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়ালঅপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও ধর্ষকের শাস্তি দাবিতে বান্দরবানে প্রতিবাদ সমাবেশবান্দরবানের লামায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ৫ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরুপারভেজ হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ছাত্রদলের মানববন্ধনখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ৭বিজিবি’র বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানবান্দরবানের লামায় বাগান দখলের অভিযোগে সাতকানিয়ার শওকত হাজতেখাগড়াছড়ির রামগড়ে রংতুলি’র ঈদ, নববর্ষ ও বৈসাবি’র পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানখাগড়াছড়ির রামগড়ে দেশীয় অস্ত্র এলজি ও কার্তুজ উদ্ধারখাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫শিক্ষার্থীর মধ্যে লংঙি ম্রো বান্দরবান উপজেলা আলীকদমের
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

আলীকদমে চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার আসামী ১০ বছর পর র‌্যাব হাতে আটক

৪২

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

আলীকদম উপজেলার শিলবুনিয়া এলাকার ২০১২ সালে এক ১৬ বছরের কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে চট্টগ্রাম নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং পরবর্তীতে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ও টেকনাফে অজ্ঞাত বাড়িতে নিয়ে ৪/৫ জন দুস্কৃতিকারী কর্তৃক পালাক্রমে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামী সাদেক হোসেন মুন্না কে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে র‌্যাব-৭। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে বান্দরবান জেলার আলীকদম থানায় ১১জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।

র‌্যাব-৭ বর্ণিত আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর অপহরণ এবং গণধর্ষণ মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। অবশেষে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ০৯ আগস্ট ২০২২ইং রাত ২টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন মৌলভীরকুম বাজার এলাকা হতে বর্ণিত অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার পরোয়ানাভুক্ত ১নং এবং প্রধান আসামী সাদেক হোসেন মুন্না (৩২) কে আটক করতে সক্ষম হয়। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামী বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট আলীকদম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা যায়, ভুক্তভোগী ভিকটিম ১৬ বছর বয়সের বান্দরবান জেলার আলীকদম থানার শিলবুনিয়া এলাকায় তার নানীর বাড়িতে থাকতেন। আসামী সাদেক হোসেন মুন্না প্রায়ই ভিকটিমের এলাকায় আসা যাওয়া করত এবং ভিকটিমের পরিচিত ছিল। গত ১৪ মার্চ ২০১২ইং বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে সাদেক হোসেন ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে এবং বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে অসৎ উদ্দেশ্যে আলীকদম হতে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম নেয়ার পর সাদেক হোসেন ভিকটিমকে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গত ১৫ ও ১৬ মার্চ ২০১২ইং দুই দিন ভিকটিমের ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে সাদেক হোসেন ভিকটিমকে প্রথমে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এবং পরবর্তীতে টেকনাফ থানার একটি অজ্ঞাত বাড়িতে কয়েককদিন আটকে রেখে উপর্যুপরী ধর্ষণ করে।

২১ মার্চ ২০১২ইং সাদেক হোসেন ভিকটিমকে কতিপয় দুস্কৃতিকারীর নিকট রেখে সেখান হতে চলে আসে। সাদেক হোসেন চলে আসার পর ৪/৫ জন দুস্কৃতিকারী ভিকটিমকে ২২ হতে ২৫ মার্চ ২০১২ইং পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম কৌশলে একজন দুস্কৃতিকারীর মোবাইল হতে তার এক মামাকে সমস্ত ঘটনা অবহিত করে। ভিকটিমের মামা ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আসামীরা বিপদ বুঝতে পেরে গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিমকে টেকনাফ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে টেকনাফ থানার পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে বান্দরবান জেলার আলীকদম থানায় সাদেক হোসেন মুন্না কে প্রধান আসামী উল্লেখ করে মোট ১১জনকে আসামী করে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।