মানিকছড়িতে তামাক চাষীদের বিকল্প জীবিকায়নের লক্ষে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ
মোঃ ইসমাইল হোসেন,মানিকছড়ি ॥
দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়নে হালদা নদীর উজান মানিকছড়িতে হালদা পাড়ের তামাক চাষীদের বিকল্প জীবিকায়নে সরকারের গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে পল্লী কর্ম-সহায়তা ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় কাজ করছে ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ( আইডিএফ)।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ হল রুমে অনুষ্টিত হয় দিনব্যাপি তামাক চাষীর বিকল্প জীবিকায়নে প্রশিক্ষণ। পিকেএসএফ এর উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ সজীব হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ।
কৃষি নির্ভর ও উর্বর জনপদে তামাক চাষ বিকল্প চাষাবাদে নিয়মিত প্রশিক্ষণ, উপকরণ বিতরণ ও চাষীদের উদ্বুদ্ধকরণে চলছে নানা পরিকল্পনা। মানিকছড়ির উপজেলার যোগ্যাছোলা, গোরখানা, তুলাবিল,ছদুরখীল এলাকার অর্ধশতাধিক চাষীদের নিয়ে দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণে কৃষকদের নানা বিষয়ে পরামর্শ/ প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল ইসলাম মজুমদার, মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস। অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম ও উপজেলা দুপ্রক ও প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান।
শুরুতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ হালদা নদীর গুরুত্বারোপ করে বলেন, হালদা দক্ষিণ এশিয়া তথা বাংলাদেশের মহা মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। বর্তমান সরকার হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। অচিরেই হালদা নদী বিশ্ব স্বীকৃতি লাভ করবে। মানুষের অপূরণীয় ক্ষতিরোধে সরকার এ অঞ্চলে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। আর এখানকার কৃষকরা এখনো যারা তামাক চাষে অভ্যস্থ তাদেরকে বিকল্প জীবিকায়নে পল্লী কর্ম-সহায়তা ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় কাজ করছে আইডিএফ। তাই তামাক চাষ বাদ দিয়ে বিকল্প চাষাবাদের দিকে অগ্রসর হওয়ারও আহবান জানান তিনি। এদিকে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে জোরদাবী জানিয়েছেন।