[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

এবার গাছকে বিদ্যুতের খুঁটি বানিয়েছে মহালছড়িতে

৪২

॥ মিলটন চাকমা, মহালছড়ি ॥

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার দুর্পুজ্যানালা গ্রামে জীবন্ত দাঁড়িয়ে থাকা গাছকে বৈদ্যুতিক খুঁটি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে মহালছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগ। তাতে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মহালছড়ি উপজেলার দুর্পুজ্যানালার পুরো গ্রামে বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের নিজস্ব খুঁটি ১টিও ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ জলজ্যান্ত কাঠাল গাছ আর সেগুন গাছের সাথে একেবারে খোলা তার দিয়েই লাইন টেনেছেন। তাতে যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। বড় ধরণের ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয়রা।

দুর্পুজ্যানালা গ্রামের ভুক্তভোগী রীতিময় চাকমা জানান, এই গ্রামে ৮০ পরিবারের মধ্যে ৫০ পরিবার বিদ্যুৎ পাচ্ছেন তবে, একদিকে মাত্রাতিরিক্ত লো ভোল্টেজ আর একদিকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। কয়েকদিন আগে কালবৈশাখী ঝড়ে তার ছিঁড়ে গিয়ে মাটিতে পড়ে গেলে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান স্থানীয় কয়েকজন পথচারী। গ্রামের অন্যান্য ভুক্তভোগীরাও একই অভিযোগ করে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ আছেই তারমধ্যে মাত্রাতিরিক্ত লো ভোল্টেজের কারণে টেলিভিশনও দেখা যায়না। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য টান্তু মনি তালুকদার বলেন, দীর্ঘদিন যাবত থেকে এ গ্রামে বিদ্যুতের লাইনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। বিদ্যুৎ অফিসে এ সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করলে সমাধান করা হচ্ছে, হবে করে কালক্ষেপন করছেন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সুফল পাওয়া যায়নি। বিষয়টি দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা প্রকাশ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ইরাতোষ চাকমা গ্রামবাসীর ঝুঁকিপূর্ণ কথা স্বীকার করে গ্রামবাসীদের উপড় দোষ চাপিয়ে বলেন, গ্রামবাসীরা বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার সময় যদি খুঁটি এবং কভারের তার দাবী করলে হয়তো এ সমস্যা হতোনা। এ সমস্যার সমাধান করতে অনেকগুলো খুঁটি ও কভারের তার দরকার। হঠাৎ করে এত সরঞ্জাম পাবো কোথায়? উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এসব সরঞ্জাম সংগ্রহ করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। মহালছড়িতে দায়িত্ব নিয়েছি বেশীদিন হয়নি। তবে তিনি বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

উল্লেখ্য যে, এধরেন আরো একটি ঘটনা ঘটেছে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নে। গত ১১ জুলাই পাহাড়ের সময় এ একটি সংবাদ প্রকাশ হলে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানায়।