[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
কাপ্তাই বাংলা কলোনি মসজিদের মুয়াজ্জিনের ইন্তেকালআর পিছিয়ে থাকতে চাই না, দেশের মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হতে চাই; পার্বত্য উপদেষ্টালামায় লোকালয়ে উদ্ধার লজ্জাবতী বানর, মাতামুহুরী রিজার্ভে অবমুক্তরাঙ্গামাটির রাজস্থলী-বাঙ্গালহালিয়া সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো যেন মরণফাঁদআলীকদমে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন ও অর্থ প্রদানরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে ওয়ারেন্ট ভুক্ত ১ আসামী গ্রেফতারজুলাই শহীদদের স্মরণে রাজস্থলীতে বিএনপির মৌন মিছিললংগদুতে নবাগত ইউএনও জাহাঙ্গীর হোসাইনকে সংবর্ধনাজুলাই আহত যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিলো কাপ্তাই জামায়াতে ইসলামীবাঘাইছড়ির সাজেকে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়িতে এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৪

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনায় খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ। ধর্ষীতা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহনন করার চেষ্টা করলে পড়ে বিষয়টি সবার সামনে আসে। পরে বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে এ ঘটনায় জড়িত ৪জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

থানা সুত্র জানায়, বুধবার (১৬জুলাই) রাতে শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে রাত ৩টার দিকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরমান হোসেন (৩২), সদস্য ইমন হোসেন (২৫) ও এনায়েত হোসেন (৩৫) এবং শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন (৩২)। মামলার বাকি দুই আসামি হলেন একটি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুনির ইসলাম (২৯) ও ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহেল ইসলাম (২৩)। তাঁরা পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।

তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের কর্মী নয় বলে দাবি করেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার। এ ছয়জন আমাদের কোনো কর্মী বা নেতা নয়। অপরাধী যে দলের হোক না কেন, এর বিচার হওয়া উচিত। আমি এবং আমাদের জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু ও সঠিক বিচার চাই।

এদিকে মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) গত ২৭ জুন রথযাত্রা মেলায় অংশ নেওয়ার পর রাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় থেকে যান। সেখানেই গভীর রাতে ছয়জন যুবক জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে তার আত্মীয়কে বেঁধে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, সামাজিক লজ্জা ও ভয়ভীতির কারণে মেয়েটি প্রথমে কিছু প্রকাশ করেনি। কিন্তু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গত ১২ জুলাই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের জিজ্ঞাসায় স্কুল শিক্ষার্থী ঘটনাটি পরিবারকে জানায়। ভুক্তভোগী কিশোরী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাকে গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ সুপার মোঃ আরোফিন জুয়েল জানান, মামলা হওয়ার পরপরই আমরা ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি দুই জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী কিশোরী এখন হাসপাতালে আছেন, আজ (বৃহস্পতিবার) তার জবানবন্দি নেওয়া হবে।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার (১৭জুলাই) সকালে খাগড়াছড়ির শাপলা চত্বরে এবং ভাইবোন বাজারে ধর্ষণকারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা। এসময় বিভিন্ন আদিবাসী ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।