[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে ৩৫ কাঠুরিয়া সহ পাহাড়ের সকল গণহত্যার বিচার দাবিরাঙ্গামাটির লংগদুতে ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যার বিচারের দাবীতে আলোচনাসভাবাঘাইছড়িতে জেন্ডার ভিত্তিক জনসচেতনতা কার্যক্রম সভা অনুষ্ঠিতরাঙ্গামাটি ফাউন্ডেশন এর কাপ্তাইয়ে অবহিতকরণ সভারাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের ১ সদস্য সহ ৯জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানারামগড়ে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা সামগ্রী ও অভিভাবকদের গরু বিতরণরামগড়ে সীমা হোটেলের মালিককে জরিমানাকাপ্তাই চিৎমরম মুসলিম পাড়ায় ঈদ এ মিলাদুন্নবী পালনদীঘিনালায় সেনাবাহিনীর কর্তৃক চিকিৎসাসেবা ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণখাগড়াছড়ির পানছড়িতে ভারতীয় অবৈধ পণ্য আটক
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮

১৯

॥ মোঃ মাসুদ রানা, রামগড় ॥
খাগড়াছড়ির রামগড়ে গরুর ঘাঁস খাওয়া নিয়ে ঝগড়ার মীমাংসার সালিস বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক জন নিহত ও সাত জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে রামগড় পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড তৈচালাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে।

এদিকে ঘটনায় নিহত ব্যক্তি আবুল কালাম আজাদ (৫৫)। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি ও তৈচালাপাড়ায় বসবাস করতেন। আহতরা হলেন শাহাদাত হোসেন, মোঃ শাহীন আলম, শেফায়েৎ উল্লাহ, নুরুল আলম আরিফ, আফসার, আমেনা বেগম, নুরুল আলম খোকন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, তৈচালাপাড়ার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন ও মর্তুজা আলমের সাথে বিরোধপূর্ণ জমিতে গরু ঘাঁস খাওয়া নিয়ে ঝগড়াঝাটি হয়। পরে এ বিষয় নিয়ে বৃহষ্পতিবার রাত ৮টার দিকে তৈচালাপাড়া ওয়ার্ড বিএনপির অফিসে দুই পক্ষের উপস্থিতি তে সামাজিক সালিস বৈঠক হয়। এতে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌরসভা কাউন্সিলর মোঃ রহিমুল্লাহ, সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌরসভা কাউন্সিলর রেজাউল করিম ফোরকান, সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন।

বৈঠকের শেষ পর্যায়ে সাবেক কাউন্সিলর রহিমুল্লাহর ছেলে নুরুল আলম আরিফের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে সাদ্দাম হোসেনের ভাই শেফায়েতের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা হাতাহাতি-মারামারিতে লিপ্ত হন। পরে ওই দুইপক্ষ তৈচালাপাড়া দোকানের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আবুল কালাম আজাদ, সাদ্দামের ভাই শাহীন, শাহাদাৎ, শেফায়েৎ, রহিম উল্লাহর ছেলে আরিফ, আফসার, স্ত্রী আমেনা বেগম ও স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম খোকন আহত হন। পরে আহতদের রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর আবুল কালাম, শাহাদাত সহ তিন জনকে জরুরি চিকিৎসার জন্য রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে আবুল কালাম মারা যান। চমেকে চিকিৎসাধীন শাহাদাতের পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। নিহত আবুল কালামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় এখনও কেউ মামলা দায়ের করেনি।