[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

থানচিতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুম চাষীদের বিশেষ ত্রাণ বিতরণ

২৩

॥ চিংথোয়াই অং মার্মা,থানচি ॥

নেটওয়ার্ক বিহীন বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তবর্তী ঘেঁষা বান্দরবানে থানচিতে দুর্গম এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের মধ্যে বেশির ভাগ জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। জুম চাষিরা বছরের এই সময়ে মধ্যে খাদ্যের অভাবে সম্মুখীনে হতে হয়। চলতি বছরে ওই এলাকায় খাদ্য ঘাটতির দেখা দিলে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের কয়েকটি পাড়ায় জুম চাষীদের খাদ্যাভাব দূর করতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুম চাষীদের বিশেষ ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

গত বছরে জুমের ফলন বন্যার কারণে ক্ষতির সম্মুখীনে পর্যাপ্ত ধানের ফলন পাননি। চলতি বর্ষা মৌসুমে জুমের ধান পাকঁতে না পাকঁতে খাদ্যাভাব দেখা দিলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুম চাষীদের বিশেষ ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ওখানকার ওই এলাকায় ৯৫ শতাংশ মানুষের জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। একদিকে বর্ষা মৌসুমে নৌ পথে যোগাযোগ খারাপ অবস্থা থাকায় দুর্গম এলাকায় কিছু সময়ের জন্য প্রতি বছর খাদ্যাভাব দেখা দেয়। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ ত্রাণ বিতরণ কালে ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার মাংচং ম্রো, ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার বিদ্রজয় ত্রিপুরা ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিজিবি’র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় শতাধিক পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল ও লবনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

রেমাক্রী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাংচং ম্রো ও বিদ্রজয় ত্রিপুরা জানান, মায়ানমার সীমান্তবর্তী ঘেঁষা সাঙ্গু রিজার্ভের দুর্গম এলাকায় গ্রামগুলোতে খাদ্য ঘাটতির দেখা দিলে শতাধিক পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চাল, ডাল, তেল, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সহযোগিতার প্রদান করা হয়েছে। ওই এলাকায় মানুষের খাদ্য ঘাটতির পূরণের কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। খাদ্য ঘাটতির সময়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ওই এলাকায় বাসিন্দারা উপজেলা প্রশাসন, দাতাসংস্থাসহ জনপ্রতিনিধিদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাঁরা।
রেমাক্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা (রনি) বলেন, আমার ইউনিয়নের দুর্গম ৬ ও ৯ নং ওয়ার্ডের কিছু পাড়ায় খাদ্যের ঘাটতির দেখা দিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আশাকরি এই বিশেষ ত্রাণ মধ্যদিয়ে ধান পাকার সময়ের মধ্যে খাদ্য অভাব দূর হয়ে যাবে।

থানচি নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বলেন, দুর্গম সীমান্তের গ্রামগুলো নেটওয়ার্কের আওতায় না থাকার কারণে সব ক্ষেত্রে যোগাযোগের সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো বলেন, ওখানকার কয়েকটি পাড়ার বাসিন্দাদের খাদ্য ঘাটতির দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে চাল, ডাল, তেল ও লবনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। জুমের ধান না পাওয়ার পর্যন্ত এই বিশেষ ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।