[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ঈদুল আযহায় পাহাড় কাঁপাবে লতাপাতায় বেড়ে ওঠা “কালাচান”

৫৩

॥ মোঃ আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা ॥
পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় দেখা মিলছে বিশাল আকৃতির “কালাপাহাড়” নামক ষাড়। ১১ফুট দৈর্ঘের ৫ফুট উচ্চতার সাড়ে ১৭ মণ ওজনের এ গরুটিকে আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রি করা হবে। গরুর মালিক এর দাম হাঁকাছেন ৫ লাখ টাকা। স্থানীয়দের মতে পাহাড়ের মাটিতে সবুজ ঘাস লতাপাতা খেয়ে বেড়ে উঠা এটিই অন্যতম বড় গরু হিসেবে বিবেচিত।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভারত সীমান্তঘেঁষা মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়নের দক্ষিণ আচালং এলাকায় নিতান্তই শখের বশে ৩ বছর ধরে পরম যত্নে ‘কালাচানকে’ লালন-পালন করছেন জামাল হোসেন বশির। তার খামারে দেশি সহ বিভিন্ন জাতের আরো ১২ টা গরু রয়েছে। বশির একজন সফল উদ্যেক্তা খামার ছাড়াও তার নিজস্ব ৪ একর জমিতে মাছ চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। ‘কালাচান’ বিশাল দেহের একটি ষাঁড় গরু। শুকনাছড়ি থেকে আনা ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করেন বশির। ভুট্টার গুড়া, আতব চাউল, বশিরের নিজের জমিতে উৎপাদিত কাঁচা ঘাস সহ দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয় তাকে। নিতান্তই শান্ত স্বভাবের প্রভুভক্ত ‘কালাচান’ কে নাম ধরে ডাক দিলেই যেন সাড়া দেয় সে। সিজনে কাঁঠাল পছন্দ তার, পেট খারাপ হবার ভয়ে অল্পতেই তুষ্ট হতে হয় তাকে।

শরীর কালো বর্ণের হওয়ায় নাম দেয়া হয়েছে ‘কালাচান’ মন্তব্য করে গরুর মালিক বশির বলেন, নিজের সন্তানের মতো তাকে লালন পালন করেছি। খাবার দিতে দেরি হলে সে অভিমান করতো। গরুটি ৫ লাখ টাকা হলে বিক্রি করবো তবে যিনি কিনবেন আমার নিজ খরছে তার বাড়িতে পৌঁছে দিব। গরুটি কোন হাটে তোলা হবে না, বাড়ি থেকেই বিক্রি করবেন বলে তিনি জানান। এদিকে, হৃষ্টপুষ্ট ও শান্ত স্বভাবের বিশাল আকৃতির এই গরুটি দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই ভিড় করছে মানুষ। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে এমন গরু দেখতে পেয়ে হতবাক অনেক দর্শনার্থী।

জামাল হোসেন বশির একজন সফল উদ্যোক্তা জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুমেন চাকমা বলেন, তার খামারের প্রতিটি গরুই সুষম খাদ্য ও সুন্দর পরিবেশে বড় হচ্ছে। তাছাড়া সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করেছেন গরুটিকে। গরুটির বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি। সুস্থ রাখার জন্য খাবার দাবার সহ নিয়মিত গোসল ও তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।