[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানে শাক্যমিত্র বৌদ্ধ ম্রো অনাথ আশ্রমে দিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব পালন

১০৫

॥ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি ॥

বান্দরবানের পর্যটন স্পট প্রান্তিকলেক শাক্যমিত্র বৌদ্ধ বিহারে শান্তমিত্র বৌদ্ধ ম্রো অনাথ আশ্রম ও বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের ৪র্থ তম দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ অক্টোবর) সকালে দিনব্যাপী পঞ্চশীল প্রার্থনাসহ ধর্মীয় আচার পালনের মধ্য দিয়ে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব পালন করা হয়।

সকাল থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, দায়ক দায়িকাদের পদচারণায় মুখর হতে থাকে বুদ্ধ বিহার প্রঙ্গন। অনুষ্ঠানে পবিত্র মঙ্গলাচরণ পাঠ করা হয়। এতে শত শত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী শিশুসহ নানা বয়সের পূণ্যার্থীরা অংশ নেন। পরে পঞ্চশীলের মাধ্যমে মঙ্গলাচরনের পর চীবর উৎসর্গ করা হয়। বিহারে সমবেত প্রার্থনায় অংশ নিয়ে জেলার বুদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ চীবর দান করেন।

উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতায় বিহারে অবস্থারত ভিক্ষু ও আগত ভিক্ষুদের জন্য নিজের বোন চীবর ও বাজার থেকে ক্রয় করার চীবর পূণ্য লাভের দান করেন ভক্তরা।

ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভভদন্ত শুদ্ধানন্দ মহাথেরো এম এ, অধ্যক্ষ বড়হাতিয়া বোধিনিকেতন বিহার সভাপতিত্বের ও ভদন্ত শান্তমিত্র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৪নং সুয়ালক ইউনিয়ের হেডম্যান মংথোয়াইচিং মারমা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাবু প্রজ্ঞা সার বড়ুয়া পাপন বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি বাবু দুর্লভ বড়ুয়া, শিবলী ফাউন্ডেশনের সভাপতি বাবু নয়ন বড়ুয়া সিইও মিনহাজ গ্রুপ লিমিটেড চট্টগ্রাম।

বৌদ্ধ ধর্ম শাস্ত্র মতে, চীবর দানে চেয়ে পৃথিবীর সবক দানের চেয়ে ১৬ গুনের বেশি পূণ্য লাভ করা যায়। তাই কঠিন চীবর দানকে দানোত্তম বা দানশ্রেষ্ঠ বলা হয়। ধর্মসভা ও পঞ্চশীল গ্রহণের পর চীবর দানের মাধ্যমে ‘মুক্তির অহিংসা বাণী ছড়িয়ে যাক মানুষে মানুষে এবং সামনের দিনগুলোতে শান্তি ফিরে আসুক ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের’ এমন প্রার্থনার মধ্যদিয়ে চীবর দানের সমাপ্তি ঘটে।

শাক্যমিত্র বৌদ্ধ বিহারে শান্তমিত্র বৌদ্ধ ম্রো অনাথ আশ্রম ও বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের ভদন্ত শাক্যমিত্র জানান, যারা পূণ্যলাভের আশায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালা কঠিন চীবর দানোৎসব স্বত:স্ফূতভাবে পালন করতে স্ব ইচ্ছায় দান ও সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে প্রতি পূণ্যারাশি দান করছি। তিনি দু:খের সহিত বলেন, এই ধর্মীয় বিহারটি দূরে হওয়াতেই পাইনি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বরাদ্দ ও অর্থ সহযোগিতা। তবুও ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসারে সকলেই সহযোগিতায় অনুষ্ঠান শেষ করতে পেরেছি।