[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণকাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বিশ্ব তামাক দিবস উদযাপনরাঙ্গামাটির রাজস্থলীস্থ কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার নিরাপত্তায় দেওয়াল নির্মানের দাবিকাপ্তাইয়ে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ সম্পন্ন ও পুরস্কার বিতরণবরকলে গৃহহীন পরিবারের পাশে আইমাছড়া ইউপি চেয়ারম্যানবান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা, নিম্নাঞ্চলের মানুষের জনজীবন দুর্ভোগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির জব্দ গরু ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা সংঘর্ষে আহত ৪বান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসে গুরুতর আহত ১
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ডাক্তার হেডক্লার্ক একে অপরের দোষ দিচ্ছেন

রাঙ্গামাটি বরকল স্বাস্থ্য বিভাগের মেকানিক অমিত দেব বর্মণ কোথায় ?

৩৭২

॥ নিরত বরন চাকমা,বরকল ॥

রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এর জুনিয়র মেকানিক অমিত দেব বর্মণ হাসপাতালে উপস্থিত না থেকেও নিয়মিত বেতন ভোগ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও অমিত হাসপাতালে একবার গিয়ে বেতনও নেন সেইসাথে হাজিরা খাতায় একসাথে পরের মাসে স্বাক্ষর করে চলে আসেন। অফিস ফাঁকি দিয়ে তিনি রাঙ্গামাটিতেই পরিবার পরিজন নিয়ে দিব্যি আরামে আছেন বলে জানা যায়।

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে জুনিয়র মেকানিক পদে কর্মরত অমিত দেব বর্মণ বেশির ভাগ সময় দায়িত্ব পালন না করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। তিনি রাঙ্গামাটিতে সদরে পরিবার পরিজন নিয়ে দিব্যি আরামে আছেন। মাস শেষে ঘরে বসেই বেতনও তুলে নেন। তার কাজ হলো হাসপাতালের বৈদ্যুতিক সমস্যা, মেকানিক্যাল সমস্যা সমাধান করা। কিন্ত এসব বিষয়গুলো তো তার ধরাছোঁয়ার বাইরে কর্মস্থলে উপস্থিতও থাকেন না এমনকি উপস্থিতি খাতায় তার স্বাক্ষরও শূন্য থেকে যায়। সে ৩ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, কোনো এক সময় রাঙ্গামাটি থেকে বরকলে আসা হলে উপস্থিতি খাতায় এক মাসের স্বাক্ষর একদিনে পূরণ করেন এমনই তথ্য দিয়েছেন। আরোও দেখা গেছে, বরকলে লোডশেডিং হলে হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং রোগীদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তখন হাসপাতালে কোনো আলোর ব্যবস্থা থাকে না, পানির ব্যবস্থাও থাকে না। নানান ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাতে হয় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের। শুধু তাই নয় রোগীদের এ ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। আর এ সমস্যাগুলো কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে গুরুত্ব দেয়া হয় না।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্তব্যরত এক চিকিৎসক বলেন, অমিত দেব বর্মণ হাসপাতালে জুনিয়র মেকানিক হিসেবে দায়িত্বে থাকলেও কর্মরত নেই। বেশিরভাগ সময় রাঙ্গামাটিতে থাকেন। বরকলে ঠিকমতো বিদুৎ না থাকায় অনেক সময় হাসপাতালে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। জরুরি কোনো রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজন পড়লে হাসপাতালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না থাকায় শ্বাসকষ্ট রোগী এবং ডেলিভারি রোগীদের জন্য ঝুঁকি হয়। জুনিয়র মেকানিক অমিত দেব বর্মণের অবহেলার কারণে এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অসচেতনতার কারণে হাসপাতালের বেহাল অবস্থা।

স্বাস্থ্য বিভাগের আরও এক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ সাইমন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বরকল স্বাস্থ্য বিভাগে অমিত দেব বর্মণ নামে জুনিয়র মেকানিক আছেন তা তিনি জানেন না। আর কোনো সময় দেখা হয়েছে কি না তাও তার সন্দেহ রয়েছে। তিনি আরও যুক্ত করে বলেন, হাসপাতালে পানি এবং বিদ্যুতের সমস্যার কারণে চিকিৎসক এবং রোগীদের ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। তবে হাসপাতালে বিদ্যুৎ চলে গেলে বাইরের লোক কাজে লাগিয়ে জেনারেটর চালু রাখা হয়।

প্রধান করণিক (হেডক্লার্ক) জ্যোতিব রায় ত্রিপুরা সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, গতকাল বরকল থেকে ঘুরে গেছেন। তাছাড়া জুনিয়র মেকানিক অমিতকে দিয়ে সব কাজের সমস্যা সমাধান করানো হয়। তাকে রাতদিন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেন টিএইচ ও (স্বাস্থ্য কর্মকর্তা)। সেখানে সবকিছুর হুকুমের মালিক টি এইচ ও। সে যেভাবে হুকুম করে সেভাবেই তাদের চলতে হয়।

জুনিয়র মেকানিক অমিত দেব বর্মণের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কোনো প্রকার কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে প্রথমে একবার কল রিসিভ করেছেন। ওইসময় সে অমিত দেব বর্মণ কি না পরিচয় জানতে চাইলে প্রথমে স্বীকার করেন। পরে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে ভূল নম্বর বলে লাইন কেটে দেয়। পরবর্তী তাকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও কোনো কল রিসিভ করেননি।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মংক্যছিং সাগর জানান, অমিত বাবু তো বরবাবুর(হেডক্লার্ক) সাথে অফিশিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাছাড়া অফিসেও স্টাফ সংকট। অমিত দেব বর্মণ দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত জানতে চাইলে কোনো কিছুই তিনি জানেন না বলে উল্লেখ করেন।