[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫শিক্ষার্থীর মধ্যে লংঙি ম্রো বান্দরবান উপজেলা আলীকদমেরখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই কোচিং সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই বসতবাড়ি আগুনে ভষ্মিভুতদীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনী
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

দুইশ টাকা চুরির অভিযোগে নাতিকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, নানা আটক

৩৭

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামায় নানার পকেট থেকে দুইশ টাকা চুরির অপরাধে নাতিকে অমানবিকভাবে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে দ্রুত নির্যাতনের শিকার শিশু মোঃ তামজিদ (১৩) কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে লামা থানা এবং অভিযান চালিয়ে পাসন্ড নানা আব্দুল মালেক প্রকাশ মানিক মিয়াকে আটক করে লামা থানা পুলিশ।

এদিকে শিশু তামজিদের চিকিৎসা ও যাবতীয় দায়িত্ব নেয় লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী। রাতেই তাকে উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, শিশুটির বাবা আরেকটা বিয়ে করায় মা রুবিনা আক্তার তার অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে তামজিদকে নানার বাড়িতে রেখে চট্টগ্রাম গার্মেন্টসে কাজ করছিলেন। তামজিদ নানা বাড়িতে থাকত এবং লেখাপড়া করত। মঙ্গলবার ঘটনার দিন নানার পকেট থেকে ২০০ টাকা চুরির অভিযোগে নাতি তামজিদকে অমানবিকভাবে পিটিয়ে আহত করে নানা মানিক মিয়া।

এদিকে প্রকাশ্যে বেড়ধক পিটানোর সাথে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে এক পর্যায়ে নাতির গলা চেপে ধরে নানা। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। শেষ পর্যন্ত অমানবিকভাবে পেটাতে পেটাতে গাছের সাথে মাথা ঠেকে পেটানোর পর মারতে মারতে নানা নাতিকে বাড়িতে নিয়ে যায়। আর এ ঘটনা ভিডিও করছিল পার্শ্ববর্তী লোকজন।

এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়ার পর সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। আর এতে পুলিশ খবর পেয়েই অভিযুক্ত নানা মানিক মিয়াকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টায় আটক করে থানায় নিয়ে যায় লামা থানা পুলিশ।

এ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৫জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বান্দরবানের লামা উপজেলার লামা পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের পানির টাঙ্কি এলাকায়। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় এটি জনমনে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

পরে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নানাকে রাতেই আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে আহত নাতি তামজিদকে লামা থানা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, ঘটনাটি কেন ঘটেছে অভিযুক্তকারীকে তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই সাথে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।