[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের গণশুনানিতে আশীষ কুমার বড়ুয়া

যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছায়নি সেখানে সুষম উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে

৯৬

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড দীর্ঘ ৪০ দশকেরও অধিক সময় ধরে সুনামের সাথেই উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। কৃষি, সড়ক যোগাযোগ, শিক্ষা, সমাজ কল্যাণ ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সোমবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে রাঙ্গামাটিস্থ প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বোর্ড এর ভাইস চেয়ারম্যান আশীষ কুমার বড়ুয়া এসব কথা বলেন।

গণশুনানিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য পরিকল্পনা সরকারের উপ-সচিব ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী ও সদস্য বাস্তবায়ন জনাব মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ এবং জনাব চাঁন কুমার তনচংগ্যা, রনজন বড়ুয়া, প্রধান শিক্ষক ,হাজাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়, সুবলং বরকল, এম-শ্রী ইন্দ্রবংশ ভিক্খু, সহকারী পরিচালক সুজাতা অনাথালয় আশ্রম, মানিকছড়ি, খাগড়াছড়ি, আশুতোষ তনচংগ্যা, প্রধান শিক্ষক, সাক্রাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কাপ্তাই, জনাব তপন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বহুমুখী সমবায় সমিতি কাউখালী, জনাব ললিত সি চাকমা, সা: সম্পাদক দুপ্রক, রাঙ্গামাটি, জনাব অংপ্রু মার্মা, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউখালী উপজেলা, জনাব মংছেনলাইন রাখাই, উপ পরিচালক, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জনাব তুষিত চাকমা, নির্বাহী প্রকৗশলী (চঃদাঃ) রাঙ্গামাটি, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা জনাব কল্যানময় চাকমা, জনাব এয়াছিনুল হক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, এসএসএস সিএইচটি প্রকল্প, জনাব মোঃ মতিউর রহমান, জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক, এসএসএস-সিএইচটি, খাগড়ছড়ি, গবেষণা কর্মকর্তা জনাব কাইংওয়াই ম্রো, জনাব মোঃ কারুজ্জামান, সহকারী পরিচালক, মিশ্র ফল চাষ প্রকল্প, বাজেট ও অডিট অফিসার জনাব মোঃ নুরুজ্জামান, মিজ্ ত্রয়া সরকার সহকারী প্রকৗশলী, রাঙ্গামাটি, মোঃ খোরশেদ আলম, সহকারী প্রকৗশলী, মিজ ডজী ত্রিপুরা তথ্য কর্মকর্তা, জনাব সাগর পাল, সহকারী পরিচালক (চঃদাঃ)সহ বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে গণশুনানিতে রাঙ্গামাটি ও খাগড়ছড়ি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলার দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকা হতে আগত সেবা প্রত্যাশী সমাজের জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। এসময় বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান করোনাকালিন গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করার জন্য উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নিয়ে বিস্তারিত অবহিত করেন। অতঃপর একে একে উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ হতে বোর্ডের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ প্রদানের জন্য সভায় উন্মুক্ত আলোচনা আহবান করা হয়।

বিভিন্ন বক্তার বক্তব্য ও পরামর্শ গ্রহণ শেষে ভাইস চেয়ারম্যান সেবা প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে আশ^াস দিয়ে তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কৃষি, সড়ক যোগাযোগ, শিক্ষা, সমাজ কল্যাণ ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের নীতিমালা ও নির্দেশনা মোতাবেক পার্বত্যাঞ্চল যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছায়নি সেখানে সুষম উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সেবা প্রত্যাশী জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ বলেছেন, এধরনের গণশুনানি আয়োজন করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দুর্গম ও জনসাধারণের চাহিদার ভিত্তিতে রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্ট ইত্যাদি নির্মাণ করেছে। বোর্ডের উন্নয়নমূলক প্রতিটি কাজের গুণগত সঠিক মান দৃশ্যমান হওয়ায় জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রতি জনমানুষের চাহিদা ও প্রত্যাশা বেশি মর্মে মতামত তুলে ধরেন।
এছাড়া অংশগ্রহণকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নিকট রাস্তা, ব্রীজ, কালভাটর্, সমিতির অফিস, অনাথালয়ের ছাত্রাবাস ভবন, কৃষি কাজে সেচের জন্য বাঁধ নির্মাণ, সোলার বিদ্যুৎ সরবরাহসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য আবেদন জানান। সদস্য পরিকল্পনা ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী ও সদস্য বাস্তবায়ন জনাব মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ও পরামর্শের জবাব দেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড তিন পার্বত্য জেলায় আগামী ৫-১০ বছরে যেখানে জাতীয় গ্রীড হতে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছানো সম্ভব নয় সেখানে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শুরু করে পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে ৪০ হাজার পরিবারকে এবং ২৫০০ কমিউনিটি সেন্টারকে বিনামূল্যে সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেম দেয়া হবে মর্মে জানানো হয়।