[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

চিপসের প্যাকেটে ফ্রি বেলুন

বান্দরবানের লামায় প্রান গেল ২ বছরের শিশু আরাফাতের

৯৬

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
চিপসের প্যাকেটে থাকা ফ্রি বেলুন ফোলাতে গিয়ে গলায় আটকে মোঃ আরফাত নামে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৬টায় শিশুটিকে তার স্বজনরা লামা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত শিশু মোঃ আরফাত (২) লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বটতলী গ্রামের মোঃ ইসমাইল ও আছমা বেগমের ছেলে।

লামা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ রায়হান জান্নাত জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও আমরা ইসিজি করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। শ্বাসনালীতে বেুলন আটকে যাওয়ায় শ্বাসবন্ধ হয়ে শিশুটি মারা যায় বলে ধারনা করা হচ্ছে।

শিশুটির মা আছমা বেগম বলেন, বাড়ির পাশে দোকান আছে। বিকেল ৪টায় দিকে খেলার ছলে শিশুটি দোকানে গেলে তাকে চিপসের প্যাকেট কিনে দিই। চিপসের প্যাকেটে বেলুন ছিল। সেই বেলুন ফোলাতে গেলে গলায় আটকে যায়। বেলুন আটকে যখন বাচ্চা কষ্ট পাচ্ছিল, তখন অনেক চেষ্টা করে বেলুন বের করতে পারিনাই। পরে পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করি। পানি খাওয়ানোর পরে তার শ্বাস আরো বন্ধ হয়ে যায়। লামা হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার বলেন সে মারা গেছে। বটতলী গ্রামটি লামা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এদিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হয় লামা থানা পুলিশ। থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শিশুটিকে প্রাথমিকভাবে সুরতহাল করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নিয়ে যেতে শিশুটির বাবা-মা অনুরোধ করেছে। এই বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দিবে। গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। সে বিষয়ে পুলিশ সিদ্ধান্ত দিবে।