[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ইয়াবাসহ ৩যুবক আটকদীঘিনালায় কৃষকদের মাঝে আমন ধান বীজ ও সার বিতরণবান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে আবারো স্থলমাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবকের পা বিচ্ছিন্নরাঙ্গামাটিতে চোখ রাঙাচ্ছে ম্যালেরিয়া, ৫ মাসে আক্রান্ত ৬৭৬ জনবাঘাইছড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিলেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারী আটকবাল্যবিবাহ আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও সচেতনতার অভাব: খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকদীঘিনালায় মাদকদ্রব্য বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে ৭বিজিবি’র সভারামগড় কৃষি অফিসের বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণযুবককে অপহরণ করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী লামায় ৩ সন্ত্রাসী আটক
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

চিপসের প্যাকেটে ফ্রি বেলুন

বান্দরবানের লামায় প্রান গেল ২ বছরের শিশু আরাফাতের

৯৬

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
চিপসের প্যাকেটে থাকা ফ্রি বেলুন ফোলাতে গিয়ে গলায় আটকে মোঃ আরফাত নামে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৬টায় শিশুটিকে তার স্বজনরা লামা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত শিশু মোঃ আরফাত (২) লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বটতলী গ্রামের মোঃ ইসমাইল ও আছমা বেগমের ছেলে।

লামা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ রায়হান জান্নাত জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও আমরা ইসিজি করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। শ্বাসনালীতে বেুলন আটকে যাওয়ায় শ্বাসবন্ধ হয়ে শিশুটি মারা যায় বলে ধারনা করা হচ্ছে।

শিশুটির মা আছমা বেগম বলেন, বাড়ির পাশে দোকান আছে। বিকেল ৪টায় দিকে খেলার ছলে শিশুটি দোকানে গেলে তাকে চিপসের প্যাকেট কিনে দিই। চিপসের প্যাকেটে বেলুন ছিল। সেই বেলুন ফোলাতে গেলে গলায় আটকে যায়। বেলুন আটকে যখন বাচ্চা কষ্ট পাচ্ছিল, তখন অনেক চেষ্টা করে বেলুন বের করতে পারিনাই। পরে পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করি। পানি খাওয়ানোর পরে তার শ্বাস আরো বন্ধ হয়ে যায়। লামা হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার বলেন সে মারা গেছে। বটতলী গ্রামটি লামা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এদিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হয় লামা থানা পুলিশ। থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শিশুটিকে প্রাথমিকভাবে সুরতহাল করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নিয়ে যেতে শিশুটির বাবা-মা অনুরোধ করেছে। এই বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দিবে। গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। সে বিষয়ে পুলিশ সিদ্ধান্ত দিবে।