পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-১৬

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ১৬ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব এই পাহাড়ী দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু মন দিয়া পড়িবেন, ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…

মা’জননীগো করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালো মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পাল্লায় পড়িয়াছে। দেশে মানুষ সৃষ্ট আচমকা অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা ঘটনায় মনে হইতেছে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। মাদক ইয়াবার মতন ধর্ষন ঘটনারও বিন্দু টলারেন্স ঘোষণা করেন। এইসব বধ্ করিতে আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার করেন।

পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো এই পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, দখলপত্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিয়াই যাইতেছে। এইবার রাজস্থলীর অংসইঅংকে পরপারে পাঠাইয়াছে। পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগ, বিয়োগ গুণই হইতেছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী দূর্বৃত্তগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা আমস্বত্ত। অসহায়রা সৃষ্টিকর্তারে রাইত দিন জবিতে জবিতে জানপরান এই আছে এই নাই অবস্থা। দূর্বৃত্তরা পাহাড়কে যেইভাবে পিষ্ট করিতেছে দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে একটু সময় দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের কারন কি চিহ্নিত করেন।

মা’ জননীগো অবশেষে ক্যাসিনোর সম্রাটও ধরা খাইয়াছে। এই সম্রাটের আকামের হ¹লইতো পস্ট হইতেছে। এই দাদুতো নাকি বহুত আকামের অধিকারীও। জিসান নাকি দূবাইতে আটক হইয়াছে, জিকে শামীমতো জামিনে আসিলেই দেখিয়া লইবে বলিয়া গর্জন ছাড়িতেছে। ব্যটারা আকামও করে হুমকীও দেয়, দেশের দাদু-দিদিরা যেন এক আজবের দেশে বাস করিতেছে। জুয়া খেলায় ভিন দেশের এক্সপার্টরা কোথায়। শুনিলাম ভিন দেশের এক্সপার্টদের নাকি পলাইতে সুযোগ করিয়া দিয়াছে। আমামীলীগ কি এইসব আকামকারীদের বটবৃক্ষ কি না দেশের বিজ্ঞ-অজ্ঞরা প্রশ্ন ছুঁড়িতেছে। আপনি পুরিস্কারে পুরিস্কারে ভূষিত হইতেছেন আর আপনার দলের মহান মহান নেতারা বিদেশের কাছে দেশের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করিতে তিরস্কারের পূঁজি যোগাইতেছে, আজব কান্ড। মা’গো দেশে নাকি প্রতি শতে ২৫জন গরীব সকাল বিকালের ভাতের অভাবে ভোগে অথচ আপনার নেতা, এমপিরা কোটি কোটি টাকা লইয়া জুয়াড় আসরে বসে। দেশের মান ইজ্জত লইয়া টানাটানি, শাসন ব্যবস্থায় তর্জ্জনীই প্রদর্শন করিতেছে, নেতৃত্বের ভাবমূর্তি নষ্ট করিতেছে। মা’রে মিশন সঠিক না হইলে ভিশন বাস্তাবায়ন করা সম্ভব নহে, আকামের এইসবের কোন দাড়ি নয়, কমা নয়, এক্কেবারে ফুলস্টপ করিতে কড়া ওয়ার্ডার করেন। নিজে কাইজ কাম চালাইয় যান।

মা’গো আবরার হত্যা লইয়া গোটা দেশের শিক্ষার্থীরা ফুঁসিতেছে। আবরার হত্যা ঘটনায় গোটা দেশের ছাত্র সমাজতো বিক্ষোভে নামিয়াছে। ঢুঁস করিয়া সড়ক-মহাসড়ক নিজেগোর দখলে রাখিলেতো খবর হইয়া যাইবে। আপনার সফর চুক্তি লইয়া মত প্রকাশ থাকিতেই পারে তাই বলিয়া ছাত্রলীগের এই বিভৎস। ছাত্রলীগ মইধ্য রাইতে বুয়েটে কি কি পড়ালেখা করিতেছে এখন আপনিও বুঝিতেছেন। তয় অশুদ্ধ সবগুলাইনরে শুদ্ধ করিতে অভিযান চালাইয়া যান। যুবলীগ, ছাত্রলীগ দেশের মানুষকে যেইভাবে তিতা বানাইতেছে পরে লক্ষ কোটি টন মিঠা ঢালিলেও দেশ বিদেশের দাদু-দিদিগোরে মিস্ট বানাইতে পারিবেন বলিয়া মনে হইতেছে না। আপনার উপদেষ্টা ইমাম দাদুতো কহিলেন হাজারের অধিক অনুপ্রবেশ হইয়াছে। মনে হইতেছে তাইনেরও এত্তদিন পর ঘুম ভাঙ্গিয়াছে। যাউ¹া, তাইনের কথায় মনে হইতেছে দরজা জানালা খোলা রাখিয়া আপনার দল চলিতেছে। মা’গো পিছনের দরজা দিয়া যাহারা প্রবেশ করিবে তাঁহারা হয় চুরি করিবে, নয় ছুড়ি মারিবে উদ্দেশ্য ঐ একটাই। এই পোড়াকপাইল্লার পরামর্শখানা মাথায় রাখিবেন, পারিলে মিলাইয়াও লইবেন।

মা’গো রোহিঙ্গ্যাগোরে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট প্রদান ঘটনার ঐ প্রশাসনে অজ্ঞ, বোবা, অন্ধ, অথর্বদের বিয়োগ করেন। এই ঘটনার চুনোপূঁটি হইতে রাঘব বোয়াল ধরিয়া লং টার্ম কারাগারে ভরিয়া দেন। নির্বাচন কমিশনের ল্যাপটপ চুরি দেশের দাদু-দিগিগোরে কি ভুতে কিলাইয়াছে এইসব বিশ^াস করিবে। লেপ-তোষক, বালিশ, পর্দা, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ইনজেকশন লইয়া লক্ষ কোটি টাকার লোপাট তামাশাসহ কেন্দ্রীয় ঔষধাগারেও কেলেংকারীর পরের বার্তা কি জাতির কাছে তুলিয়া ধরেন। পিঁয়াজ লইয়া এজেন্টদার, মজুদদারদের কাইজ কামে মনে হইতেছে দেশের অসহায় দাদু-দিদিগোরে কুচি কুচি করিয়া কাটিতেছে। তার মইধ্যে আপনার মন্ত্রী টিপু দাদু পিঁয়াজের কেজি ৬০ সমর্থন করিতেছে এই হইলো গিয়া কাঁটা ঘা’এ লবন দেওনের মতন কাইজ কাম। এমনিতে দেশের দাদু-দিদিরা, বন্যা, ডেঙ্গু, মাদক, ধর্ষণ, রাজনৈতিক অত্যাচারে মরিতেছে। মা’রে ক্যাবিনেটের অযোগ্যদের পরিবর্তনে খবর কি, কিছু নতুনদের সুযোগ করিয়া দেন, বিষয়টি আবারো ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’জননীগো ইয়াবায় শাস্তি ঘোষনা হইলেও ক্রেতা-বিক্রেতা ও আসক্তরা ফুরফুরে মেজাজে। আমাগো রাঙ্গামাটিতে থানার পাশে বেলাইল্লা ও তার পোলা জুইল্লা ইয়াবা ব্যবসা করিলেও পুলিশ খুঁজিয়া পায় না। সম্প্রতি আমাগো ডিবি পুলিশ ইয়াবাসহ জুইল্লাকে ধরিলেও ক’দিন জেল খাটনের পরে আবারও একই চরিত্রে। জুইল্লার সহিত নাকি সাবেক এক সেনা কর্তার ওটবস আছিল। জুইল্লা অর্থের বিনিময়ে উল্টো পুলিশের ভিতরে সোর্স ব্যবহার করিতেছে। ব্যাটারে ভালো করিয়া খেদানি দিলেই হ¹ল আকামসহ ফরফর করিয়া গড ফাদারগোর নাম বাহির হইবে। রাজনৈতিক হাই হ্যালোতে পুলিশও নাকি তলে তলে আঁখের রস গিলিতেছে। ইয়াবায় জড়িতদের ধরিলেও পরে ওজনে কমিতেছে, তাইজ্জব কাইজ কাম। ষড়যন্ত্রে জড়িতরা চাঁটের মতন লাগিয়া রহিয়াছে। দেশের অসহায় দাদু দিদিদের ভরসা আর কি রইলো। আমাগো কাদের দাদু বিতর্কিতের যে তালিকার কথা কহিলেন দল ও দেশের স্বার্থে তাঁগো নাম গ্রাম ক্লিয়ার করিবেন। মা’রে ১/১১’র দরকার নাই তয় ১ থেকে ১২ পর্যন্ত আকামকারীদের উপর স্ট্রীম রোলার চালাইয়া যান। ৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন করিতে হইলে সবদিকে কড়া শাসন করিতে হইবে। এই পাহাড়ী দাদুর পরামর্শখানা ভাবিয়া দেখিবেন।

আমাগো চট্টগ্রাম মহানগরীর আকামের আরো বহুত বড় ভাই নাকি কেউ স্ব-গোপনে আর কেউ আত্ম গোপনে। মারমা দাদু কহিলেন মাদক ইয়াবা কারবারী আজমের অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদের তথ্য সিআইডি’র হাতে। আমাগো ভুমিমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সায়েম নাকি আনোয়ারার অঘোষিত রাজা বনিয়াছে। পৈত্রিক জমির খামাড় বাড়ির জন্য সরকারি ২০ লক্ষ টাকায় কালভার্ট নির্মান করিয়াছে, মনে হইতেছে মুধর ক্যান্টিনও বানাইবে। সায়েম কি আলাদিনের চেরাগ পাইয়াছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ লইয়া ভানুমতির খেল বন্ধ করিতে আইন প্রয়োগ করেন। ফ্লাইওভারের চল্লিশ হাজার ইয়াবা কান্ডের কি সমাচার নগরবাসী জানিতে চাহে। পুলিশের নিকট ৫লক্ষ টাকার চাঁন্দা চাহিয়া কথিত অন লাইন সাংবাদিকের আকাম যেন চোরের উপর বাটপারি। এই হলুদ সাংবাদিকরাই দেশের সৎ সাংবাদিক সমাজকে ডুবাইতেছে। নগরীতে ভেজিটেবলের ইছামাছ চাঁদাবাজ টিনু, বড়ভাই, গ্যাংক পার্টির ছোট ভাইরাও দেশের শাসন ব্যবস্থার কর্তাগোরে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করিয়া আকামের যেন শেষ নাই, আজব ব্যাপার। মা’গো দুইচার টারে ধরিয়া ট্যাংক ভাঙ্গিয়া বাসা বাড়িতে পৌঁছাইয়া দিতে আদেশ দেন। রিয়াজ উদ্দিন বাজারের কারখানা কিভাবে মেইড ইন থাইল্যান্ড হইলো খাদ্য অধিদপ্তরের কর্তাগোরে তালাস করিতে ওয়ার্ডার করেন। মিথ্যা তথ্য দিয়া থাই দুই জাহাজের অনুপ্রবেশের হেতু কি গুরিন্দা বাহিনী দিয়া বার্তা লইবেন। এই অধমের পরামর্শ খানা ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’গো দেশে নারী ধর্ষন ঘটনাতো থামানোই যাইতেছে না। মনে হইতেছে পাল্লা দিয়াই চলিতেছে। আইজ দেশের এক কোনায় হইলে কাইল আরেক কোনায়। ধর্ষন ঘটনায় ইমাম, মোয়াজ্জেম, সাধু, কবিরাজ, পুলিশও জড়িত হইতেছে। দেশের পুলিশের মান একবার আগাইলে দেখি পাঁচবার পিছনে নামে। দেশের কুটি কুটি দাদু-দিদিরাতো ছিঃছিঃ করিতেছে। বহুত সাধু নামধারীও এখন জানোয়ারে পরিনত হইয়াছে। এইভাবে চলিতে থাকিলে বিশে^র দরবারেও বাংলাদেশের মান ধরিয়া রাখা মুশকিল হইয়া পড়িবে। অই অধমের পরামর্শখানা ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’গো নের্তৃত্ব চলিতেছে ভোগ বিলাশে। দখল দারিত্ব আর ভোগ বিলাশের বড় ভাই, গ্যাংক ভাই বাড়িয়াছে। বহুতে লুটপাটের মত্তে গাড়ি-বাড়ির মালিক হইয়াছে। দেশের প্রত্যেক জেলা উপজেলাতেও একই অবস্থা। আমাগো আউলা ঝাউলা আলী দাদুতো কহিলেন বহুত স্থানে স্বাধীনতা বিরোধীর শিঁকর বাকর ঢুকিয়াছে। মা’রে যারা নেতৃত্বে রহিয়াছে তাদের ভালো করিয়া টাইট দেন। সংগঠনে গোটা দেশের কমিটির ফর্দ তল্লাসী করেন, দেখিবেন হ¹লই পরিস্কার হইয়া যাইবে। বেতালে বেতালে আমলাগোর কাইজ কামওতো ভালো মনে হইতেছেনা। এই বেকুবের সন্দেহখানা ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জইন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, ভালো থাকিবেন, সব দিকে নিজের খেয়াল রাখিবেন।

ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ১৩ অক্টোবর-২০১৯খ্রীঃ