[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ডিজিটাল যুগে বিদ্যুতের আশায় ৪ হাজার মানুষ

এখনো বিদ্যুতের আলো পৌছেনি রাজস্থলীর কয়েকটি গ্রামে!

৩৪

॥ মোঃ আজগর আলী খাঁন,রাজস্থলী॥

রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে এখানো বিদ্যুতের আলো পৌছায়নি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও ডিজিটাল বাংলাদেশে এখানো বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত ঐ গ্রামগুলো প্রায় চার হাজার মানুষ। ফলে স্থানীয়রা বিভিন্ন দফতরে আবেদন নিবেদন করেও এর কোন সুফল ভোগ করতে পারছে না। বাংলাদেশ সরকার দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কবে পৌছাবে তাদের গ্রামে বিদ্যুতের আলো এমন প্রশ্নে ঘুরপাক খাচ্ছে গ্রামবাসীর কাছে।

স্থানীয়রা জানান, রাজস্থলী উপজেলার ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের গাইন্দ্যা পাড়া, খংসখই পাড়া, লংগদু পাড়া, মব্বই পাড়া,তুরগু পাড়া,গামারি বাগান, পৌয়তু পূর্নবাসন গ্রামগুলোতে এখানো বিদ্যুৎ পৌছায়নি। গ্রামগুলোর পাশে রয়েছে একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাইমারি স্কুল। এছাড়াও রয়েছে, পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালিত টেকসই সামাজিক পাড়া কেন্দ্র, বৌদ্ধ মন্দির এতিম ছাত্রাবাস। বিদ্যুৎ না থাকায় ডিজিটাল যুগে স্কুলগুলোতেও ব্যাহত হচ্ছে আধুনিক শিক্ষা কার্যক্রম।

গাইন্দ্যা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, এই গ্রামের বাসিন্দাদের আধুনিক সুযোগ সুবিধার জন্য বিদ্যুতের কোন বিকল্প নেই। বিদ্যুতের জন্য ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনাসহ সবকিছুর জন্য সমস্যা পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। তিনি আরো বলেন, আমাদের এলাকার জনসাধারণের মোবাইল চার্জ দিতে হলেও পাশ্বর্বতী ইসলামপুর বাজার অথবা বাঙালহালিয়া বাজারে যেতে হয়। এছাড়াও সোলারের সাহায্যে বর্তমানে কিছু এলাকায় টেলিভিশন দেখানো হচ্ছে।

গাইন্দ্যা গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ও রাজস্থলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হলাগ্য মারমা বলেন,উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমার মাধ্যমে ‘সমস্যা সমাধানের লক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণ উন্নয়ন প্রকল্প, রাঙ্গামাটি বরাবরে আবেদন করা হয়েছিলো। ওই প্রকল্পের অধীন থাকা চন্দ্রঘোনা আবাসিক সহকারি প্রকৌশলী আশফাকুর রহমান মুজিব সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন। কিন্তু এখনো কোন সুফল পাওয়া যায়নি।’

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী মুজিববর্ষ উদযাপনের মধ্যে দিয়ে সমগ্র বাংলাদেশে তথা গ্রামের আনাচে কানাচে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। এ আশায় প্রহর গুনছেন ঐ দুর্গম পার্বত্য এলাকার প্রায় ৪ হাজার মানুষ । তাই এলাকাবাসী আশা করছেন, রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এর মাধ্যমে তাদের এলাকায় অতিদ্রুত বিদ্যুৎ সেবা পৌছে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।

এ বিষয়ে চন্দ্রঘোনা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী আসফাকুর রহমান মুজিবের সঙ্গে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষের ভেতরে (পরবর্তী বাজেটে) ওই সব এলাকায় বিদুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে আশ^াস দেন তিনি।