[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ভূমি জালিয়াতি চক্রের শাস্তি নিশ্চিত করুন

৪২

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর নানান সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ভুমি সমস্যা। ভুমি নিয়ে মানুষে মানুষে এবং সমাজে চরম অস্থিরতাও। তিন পার্বত্য জেলায় ভুমি সমস্যা নিয়ে বসবাস করছেন মানুষ। কোন কোন সময় ভুমি নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এবং হামলা মামলা খূনো খুনির মধ্যেও জড়িয়ে পড়ছেন মানুষ। এসবের পিছনে সামাজিক সহাবস্থানের মধ্যে বসবাসের আস্থার সংকট, কোথাও কোথাও ভুমি নিয়ে জালিয়াতির আশ্রয়, রাজনৈতিক অপশক্তি সহ তিন সার্কেল চীফ কার্যালয় এবং প্রশাসনের সুদক্ষ দেখভালের কারনেই এসব সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিজ্ঞদের মতামত। যার করানে ভুমি নিয়ে এসব সার্কেল কার্যালয় এবং প্রশাসনে তৈরী হয়েছে জালিয়াতি চক্রের একটি অংশ। ভুমি জালিয়াতির এসব চক্র নানান অপকর্মের মধ্যে সামাজিক সহাবস্থান সংকট, মানুষে মানুষে বিরোধ লাগিয়ে দিয়ে নিজেরাই লুটে নিচ্ছে মনুষের অর্থ।

জানা গেছে বান্দরবানের লামা উপজেলায় ভুমি জালিয়াতি চক্রের কারনে সেখানে আনেকেই ভুমিহীন হয়ে পড়ছে। এমনই একটি অভিযোগ উপজেলার সরই ইউনিয়নের মোমেনা বেগম (৮৫) এর। লাঠিতে ভর করে জীবন চলে মোমেনার। কিন্তু স্বামীর রেখে যাওয়া ৪ একর ৫০ শতক জায়গায় চোখ পড়ে ভুমি জালিয়াতি চক্রের। নূয়েপড়া মোমেনার ছেলে মেয়রা তাঁদের পিতার রেখে যাওয়া ভুমির খোঁজ খবর নিতে গেলে দেখতে পান বাবার নামে ২০ শতক জায়গা বাকি সাড়ে ৪ শতক অন্যের নামে তার মানে ভুমি জালিয়াতি চক্রের মাধ্যমে অন্যের নামে হয়ে গেছে। শুধু তাই নয় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থাকা এসব ভুমি জালিয়াতচক্রটি সেখানের আরো অনেকেরই জায়গা হাতিয়ে নিয়েছে। মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে একের জায়াগা অন্যের নামে করা হয়েছে। এসব ঘটনা নিয়ে ভুক্তোভুগী অনেকেই এখন বাড়িঘর ছাড়া হবার উক্রম। অসহায়রা এখন আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছে। ভুমি জালিয়াতচক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। সম্প্রতি সেখানে শতাধিক নারী-পুরুষ মিলিত হয়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করে। এসব অন্যায়ের বিচার চেয়ে ভুমি জালিয়াতে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে।

ঠিক এভাবেই তিন পার্বত্য জেলার সদর সহ বিভিন্ন উপজেলায় ভুমি জালিয়াত চক্র তলে তলে নানান অপকর্মগুলো চালিয়ে মোটা অংকের টাকা লুটে নিচ্ছে। প্রশাসনের এবং সার্কেল চীফদের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রধানদের সুদৃষ্টি রাখা দরকার বলে ভুক্তোভুগী জানিয়েছেন। কেননা এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের অজান্তে ভুমি জালিয়াতচক্রগুলো যেনতেন করে মানুষ ঠকাচ্ছে সেই সাথে ভুমি নিয়ে মানুষে মানুষে বিরোধও সৃষ্টি করে চলেছে। ভুমিবিরোধ নিয়ে তিন পার্বত্য জেলার অনেক স্থানে মারামারি, হামলা মামলা ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। মানুষের কল্যাণে সুন্দর সহাবস্থানের জন্য সমাজে এবং প্রশাসনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এসব ভূমি জালিয়াতি চক্রের শাস্তি নিশ্চিত করুন।