থানচিতে ছোট মদক রুংসোহ্লা পাড়া অগ্নিকান্ডে রেহাই পেল ৩৭টি ঘর
॥ থানচি উপজেলা প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানে থানচি উপজেলায় দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ছোট মদক রুংসোহ্লা পাড়ার ১টি বসত বাড়ি-ঘর আগুনে পুড়ে ছাই। পাড়াবাসীরা একযোগে আগুন নিভানো কাজে লিপ্ত হওয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা পেল গ্রামের ৩৭টি বাড়ি-ঘর। বুধবার (১৬ ফ্রেব্রুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এদিকে পাড়াবাসীরা জানান, আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৩টা দিকে হঠাৎ করে সজরাং ত্রিপুরা (৪২) বসত ঘরে আগুন দেখতে পান। তাৎক্ষনিকভাবে বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঘরে লোকজন ও পাড়াবাসী লোকজনে সহযোগীতায় আগুন নিভানো সম্ভব হয়। ততক্ষনে একটি বসতঘর মালামালসহ সবকিছুই আগুনে পুড়ে ছাই, একটু জন্য রেহাই পেল ৩৭টি বাড়ি-ঘর।
তাঁরা আরো জানান, অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওযার এই অসহায় পরিবারের বছরের মজুদ করা খাদ্য, মজুদ ধান, সোনা, অর্থ নগদ টাকার, সোলার, টিভি ও আসবাবপত্রসহ সবকিছু অগ্নিকান্ডে পুড়িয়ে গেছে। এতে আনুমানিক প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
এব্যাপারে থানচি ৩৭০নং মধু মৌজা হেডম্যান শিমন ত্রিপুরা বলেন, থানচির রেমাক্রী ছোট মদক রুংসোহ্লা পাড়াতে ১টি বসত ঘরে অগ্নিকান্ডে খবর পেয়েছি। পাড়ারটি অবস্থান যোগাযোগে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আগুন নিভানোর কাজে সহযোগীতা পাননি। বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঘরে লোকজন ও পাড়াবাসীরা তাৎক্ষনিকভাবে আগুন নিভানো সম্ভব হয়। বড় ধরনে অগ্নিকান্ড ঘটনা থেকে রেহাই পেল।
থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা বলেন, আমার ইউনিয়নের রুংসোহ্লা পাড়ার একটি বসতঘরে অগ্নিকান্ড ঘটেছে। খবরটি পাড়াবাসী পাহাড় চুড়ায় উঠে মুঠো ফোনে আমাকে জানিয়েছে। দুর্গম হওয়ায় আগুন নিভানো সহযোগীতায় করার সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো বলেন, এই অগ্নিকান্ডে পাড়াবাসী একযোগে তাৎক্ষনিকভাবে আগুন নিভানো কাজে লিপ্ত হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বড় ধরনে অগ্নিকান্ড ঘটনা না হলেও ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ বেশি ছিল। রেমাক্রী ইউপি পরিষদ থেকে সহযোগীতা প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।