[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

নারী নির্যাতনকারী ও ধর্ষকদের শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে

১০৮

দেশে নারী ধর্ষণ, নির্যাতন, হত্যা, শ্লিলতাহানীর ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি হতেই চলেছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়, বখাটে, প্রতিহিংসা পরায়ণ এবং নানান ছদ্মবেশে এসব ঘটনা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে বসেছে। ফেসবুক পরিচয়েও নানান প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের চরম ক্ষতি করে চলেছে। কঠোর আইন প্রয়োগ, অপরাজনীতি, শাসকশ্রেণীর নমনীয়তার কারনে দেশে এসব ঘটনা এখন চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। নারী সমাজ এই হীন কর্মকান্ডের ঘটনায় নিরাপত্তা ও বিচার দাবিতে এখন সোচ্চার। সারা দেশের জেলা উপজেলাতেও প্রতিবাদে প্রতিবাদে নারী সমাজ একণ পিছু নেই। তাদের এ অসহায়ত্বের সামনে সকলের একসাথে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

দেখা যাচ্ছে দেশে জঘন্য এ কর্মাকন্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা না নেয়াতে প্রতিদিন তাদের দেখা অন্যেরাও হীন ঘটনা জন্ম দিতে সাহস পেয়ে যাচ্ছে। নারী ধর্ষণ ঘটনার সাম্প্রতিক চিত্রগুলো যেভাবে প্রকাশিত হয়ে আসছে এবং ঘটনাগুলো ঘটছে তাতে সরকারের নমনীয়তা রয়েছে বলেও প্রশ্ন উঠে এসেছে। বিচারহীনতা, বিলম্বের অভিযোগে দেশব্যপী নারী সমাজ ধিক্কার জানাচ্ছে। আজকে নারী সমাজের যে অবস্থান সরকারের শাসন ব্যবস্থায় বিশ্ব দরবারে মাথা নত হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে নারীর উপর নির্যাতন শুধু অবক্ষয় ডেকে আনবেনা দেশ ও জাতী ঘোর অন্ধকারেই নিমজ্জিত হবে। নারী নির্যাতন ধর্ষণ ঘটনায় তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম পিছিয়ে নেই। সম্প্রতি রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে সংঘঠিত ঘটনাগুলো সংকিত করে তুলে নারী সমাজকে। নারী ধর্ষণ ঘটনায় স্থানীয় বিচার শালিশের নামে নারীকে ভোগ্য পন্যের বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। নারী ধর্ষণ ঘটনায় কোথাও কোথাও বিচারের নামে সরকার দলের নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ তাদেরই উচিৎ এ হীন কাজে জড়িতদের তাৎক্ষনিক আইন আদালতের কাছে সোপর্দ করা। কিন্তু তারা তা না করেই নিজেরা বিচার শালিশ বসিয়ে ঘটনা ধামা চাপা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। যারা এসব ঘটিয়েছেন তারা কোন আইনে শালিশের মাধ্যমে নারী ধর্ষণ, নির্যাতন ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাচ্ছেন বা দিয়েছেন তাদের কেন বিচার হবেনা।

বিশ্বে অন্যান্য দেশের কোথাও কোথাও নারী ধর্ষণ হচ্ছে বলে যে বক্তব্য প্রদান করা হচ্ছে। আজকের সভ্য সমাজকে এ হীন বক্তব্যের অজুহাতে নারী সমাজকে মানাতে সমর্থন যোগাচ্ছে মতই হচ্ছে। যাঁরাই এ বক্তব্য প্রদান করছে তাঁর বা তাঁদের শাসন ব্যবস্থার অবনতির কারণেই যে নারী নির্যাতন হচ্ছে তা কেন শিকার করা হচ্ছে না। নারীর উপর এ অত্যাচার নির্যাতন ঘটনার বিচার করেই তাঁদের বলতে হবে নারী নির্যাতনের ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন দেশে কি বিচার হয় বলার বিষয় নয় কিন্তু আমাদের দেশে নারীর উপর অত্যাচারীদের বিচার দ্রুত হয়, শাস্তি হয়। তাই ধর্ষকদের, নারী নির্যাতনকারীদের বিচার দ্রুত করুন এবং শাস্তি নিশ্চিত করুন।