[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস, মিলাদ ও পুরস্কার বিতরণপানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালিতকাপ্তাইয়ে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও ভিক্টিম সাপোর্ট বিষয়ক সভারাজস্থলীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপনথানচিতে বংয়ক হেডম্যান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনচন্দ্রঘোনায় ধ্রব সংস্কৃতি পরিষদের বিজয়ীদের মাঝে সনদ বিতরণহুন্ডা আর গুন্ডা ভাড়া করে নির্বাচন ঠান্ডা করার চিন্তা বাদ দেন: অ্যাড. মোখতারমাইনীমুখ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি- হাসেম, সম্পাদক- আলাউদ্দিনকাপ্তাই-এ ২২৭জন কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরণ১৭২ কোটি টাকায় লামায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের কাজ শুরু
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মাটিরাঙ্গায় মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৩.৫১% দাখিলে ৯৮.৬৫%, জিপিএ -৫ পেয়েছে ৪৬ জন

৯৩

॥ আবুল হাসেম,মাটিরাঙ্গা ॥

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৩০ ডিসেম্বর পূর্বনির্ধারিত সময়ানুযায়ী সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

তাছাড়া এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন নেওয়া শুরু হবে ৫ জানুয়ারি থেকে।

মাটিরাঙ্গায় উপজেলা মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট ১৭৫৯ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪৬৮ জন কৃতকার্য হয়। এদের মধ্য থেকে জিপিএ -৫ প্রাপ্ত পরিক্ষার্থী সংখ্যা ৪২ জন। শতকরা পাশের হার ৮৩.৫১% এবং দাখিল পর্যায়ে ১৪৯ পরিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪৭ জন পরিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়,জিপিএ- ৫ পায় ৪ জন। শতকরা মোট পাশের হার ৯৮.৬৫%।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২২১জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৯২ জন। জিপিএ – ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ জন। শতকরা পাশের হার ৮৬.৮৮%।

তবলছড়ি কদমতলী উচ্চ বিদ্যালয় ৩৬৪ জন পরিক্ষার্থী মধ্যে পাশ করেছে ৩০৯ জিপিএ- ৫ প্রাপ্ত ৩ জন। শতকরা পাশের হার ৮৪.৮৯%।

গোমতী বিকে উচ্চ বিদ্যালয় মোট পরিক্ষার্থী ২৬৬ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৭৬জন। জিপিএ -৫ পেয়েছে ৫জন। শতকরা পাশের হার ৬৬.১৬%।

শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয় মোট পরিক্ষার্থী ১৫৩ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১২৮জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৫জন। এছাড়াও শতকরা পাশের হার ৮৩.৬৬%।

আমতলী উচ্চ বিদ্যালয় মোট পরিক্ষার্থী ৮৯ জন।তম্মধ্যে পাশ করেছে ৬৬ জন। জিপিএ- ৫ শূণ্য। শতকরা পাশের হার ৭৪.১৫%।

তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয় মোট শিক্ষার্থী ২৩১জনর মধ্যে পাশ করেছে ২১৬জন। এছাড়াও জিপিএ- ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২জন। শতকরা পাশের হার ৯৩.৫১%।

মাটিরাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মোট শিক্ষার্থী ৯৭জনের মধ্যে পাশ করেছে ৮৪ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ১ জন। শতকরা পাশের হার ৮৬.৫৯%।

খেদাছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মোট শিক্ষার্থী ১৪০জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ১২৬জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ২ জন। শতকরা পাশের হার ৯০%।

মাটিরাঙ্গা মিউনিসিপ্যাল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মোট শিক্ষার্থী ১২৯জনে পাশ করেছে ১১৫জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন এছাড়া ও শতকরা পাশের হার ৮৯.১৪%।

আলুটিলা বটতলী উচ্চ বিদ্যালয় মোট শিক্ষার্থী ৬৯জনের মধ্যে পাশ করেছে ৫৮জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জনে। এ প্রতিষ্ঠানে শতকরা পাশের হার ৮৪.০৫%।

দাখিল পরিক্ষায়,মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা মোট শিক্ষার্থী ৪৫ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৪৩জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। এছাড়াও এ প্রতিষ্ঠানে শতকরা পাশের হার ৯৫.৫৫%।

তবলছড়ি ইসলমিয়া আলিম মাদরাসা মোট শিক্ষার্থী ৪১জনের মধ্যে শতভাগ পাশ। জিপিএ-৫ শূণ্য।
তাইন্দং মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসা মোট শিক্ষার্থী ৪৬ জনের মধ্যে শতভাগ পাশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন।

খেদাছড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা মোট শিক্ষার্থী ১৮ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৭জন। জিপিএ-৫ শূণ্য। শতকরা পাশের হার ৯৪.৪৪%।

ফলাফল পর্যালোচনা করে শতকরা হিসেবে এসএসসি’র ফলাফলের চেয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বেশ ভাল ফলাফল করেছে। মাটিরাঙ্গা উপজেলায় দাখিল পরিক্ষায় শতকরা ৯৮.৬৫% শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। এছাড়া ও এবাবের মাধ্যমিক ও সমমানের পরিক্ষায় মাটিরাঙ্গা উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬ জন শিক্ষার্থী।
তাছাড়া ভাল ফলাফলের চেয়ে মানসম্পন্ন লেখাপড়া অতি দরকার বলে মনে করেন সচেতন মহল। শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফল করার পাশাপাশি তাদের নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ জরুরি বলে মনে করেন অনেকে।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর মোঃ মোহতাছিম বিল্লাহ্ বলেন,করোনা মহামারি শেষে অল্প সময়ের প্রস্তুুতি তে শিক্ষার্থীরা বেশ ভাল ফলাফল করেছে। আশা করি এ ফলাফল তাদের ভবিষ্যত উচ্চ শিক্ষা লাভে সহায়ক হবে বলে মনো করেন তিনি।

প্রসঙ্গত,করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় ৯ মাস পর ১৪ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এর মাধ্যমে দেড় বছর পর প্রথম কোনো পাবলিক পরীক্ষায় বসে শিক্ষার্থীরা।