[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণকাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বিশ্ব তামাক দিবস উদযাপনরাঙ্গামাটির রাজস্থলীস্থ কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার নিরাপত্তায় দেওয়াল নির্মানের দাবিকাপ্তাইয়ে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ সম্পন্ন ও পুরস্কার বিতরণবরকলে গৃহহীন পরিবারের পাশে আইমাছড়া ইউপি চেয়ারম্যানবান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা, নিম্নাঞ্চলের মানুষের জনজীবন দুর্ভোগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির জব্দ গরু ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা সংঘর্ষে আহত ৪বান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসে গুরুতর আহত ১
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানে সেনা রিজিয়নে বিভিন্ন উপজেলার সকল ধর্মীয় প্রধানদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৪৯

॥ আকাশ মারমা মংসিং,বান্দরবান ॥

বান্দরবান সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে ৭টি উপজেলা সকল ধর্মীয় প্রধানদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে অডিটেরিয়ামে বান্দরবান সেনা রিজিয়নের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জিয়াউল হক এনডিসি, এএফডব্লিওসি, পিএসসি।

এসময় বান্দরবান পার্বত্য জেলার শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি স্থানীয় জনগণের মধ্যে আরও অধিক আস্থা অর্জন ও সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বান্দরবান রিজিয়নের আওতাধীন সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রধান ব্যক্তিদের নিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বান্দরবান কর্নেল বিজিবি সেক্টর কমান্ডার শফিউল আজম পারভেজ, জেলা জোনের লে: কর্নেল মোহাম্মদ মঈনুল হক,এস ইউপি, পিএসসি,৫ইবি, রুমা জোনের লে: কর্নেল হাসান শাহারিয়ার ইকবাল, পিএসসি, ডিজিএফআই ডেট কমান্ডার লে: কর্নেল নাদির হোসেন চৌধুরী এএফডব্লিউসি, পিএসসি, লে: কর্নেল মুকিম উদ্দিন পিএসসি, কমান্ডার এএসইউ, বান্দারবান ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল লে: কর্নেল সিরাজুল ইসলাম উকিল, বান্দরবান প্রতি উপজেলায় মুসলিম, বৌদ্ধ , হিন্দু ,খ্রীষ্টান ধর্মের ইমাম, বৌদ্ধ ভিক্ষু,ধর্মীয় গুরু এবং ফাদার সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক স্টাফ রিপোর্টার বৃন্দ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ৭টি উপজেলায় হতে আগত প্রত্যেক ধর্মের একজন করে ধর্মীয় প্রধান তাদের ধর্মীয় জ্ঞানের আলোকে মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ৭টি উপজেলা জোন কমান্ডার, সেক্টর কমান্ডার এবং বান্দরবানের রিজিয়নের অন্তর্গত সকল জোন কমান্ডার।

এ সময় বান্দরবানের জোন কমান্ডার লে: কর্নেল মইনুল হক এসইউপি, পিএসসি বলেন, সকল ধর্মীয় জাতিগোষ্ঠী মিলেমিশে কাজ করে বান্দরবান জেলায় সম্প্রীতির এক অনন্য নিদর্শন স্থাপন করেছে। পার্বত্য এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্তমানে অপারেশন উত্তরণ এর আলোকে বেসামরিক প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি ধর্মীয় জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, দুর্যোগ মোকাবেলা, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সহায়তা এবং সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের নিমিত্তে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এর ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। তিনি ধর্মীয় গুরুদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের অবদান অপরিসীম তাই বান্দরবান জেলায় শান্তি সম্প্রীতি এবং উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে একত্রিত ভাবে কাজ করা এবং সেনাবাহিনীকে তাদের নিজ অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জিয়াউল হক এনডিসি ,এএফডব্লিউসি,পিএসসি, তার বক্তব্যে বলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি স্থানীয় জনগণের মধ্যে অধিক আস্থা অর্জন ও সম্পর্ক উন্নয়নই আজকের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। তিনি বক্তব্যের শুরুতেই বান্দরবানের প্রশাসনের অবদান এর কথা বলতে গিয়ে বলেন, জনগণের শান্তি শৃংখলা নিরাপত্তা রক্ষার্থে আমাদের সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থা বান্দরবান রিজিয়ন এর প্রতিটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে টহল পরিচালনা,অপারেশন এবং চেকপােষ্ট স্থাপন করেছে যার ফলে মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শুধু নিরাপত্তা নয় পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের ন্যায্যতা, সমতা,সহাবস্থান এবং সম্প্রীতির উন্নয়নসহ সকলের সমঅধিকার নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম।

ধর্মীয় গুরু দের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা যে যার অবস্থান থেকে সমাজকে আলোর পথ দেখাচ্ছেন। যার ফলে সকল ধর্মের মানুষজন নৈতিকতার শিক্ষা পাচ্ছে, ভালো মন্দের মধ্যে তফাৎ করতে শিখছে। আমরা জানি কেউই ধর্মের ঊর্ধ্বে নয় এবং সকল ধর্মই শান্তির কথা বলে, সম্প্রীতির কথা বলে। কোন ধর্মেই হিংসার শিক্ষা দেয় না। সুতরাং বান্দরবানে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার এবং সকল ধর্মীয় গুরুদের অবদান রয়েছে বলেও তিনি জানান।

পরিশেষে তিনি বলেন,সকলকে ধর্ম-বর্ণ ও জাতি গোষ্ঠীর মানুষ এই অঞ্চলের উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস দমনে একযোগে কাজ করতে আহ্বান জানান ও সকলের সুখ সমৃদ্ধি এবং উত্তর উত্তর সকলের মঙ্গল কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন উপজেলার হতে আগত ধর্মীয় গুরু ও অতিথিবৃন্দদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন প্রধান অতিথি।