[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পৌরকর আত্মসাতের অভিযোগ

রাঙ্গামাটি পৌরসভার সাবেক মেয়রসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দূদকের মামলা

৯০

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

রাঙ্গামাটিতে পৌরকরের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভূট্টো সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দূদক)। গত বৃহস্পতিবার সকালে রাঙ্গামাটি জেলার ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ সাইফুল এলাহি’র আদালতে এই মামলা দায়ের করেন জেলার সমন্বিত কার্যালয়ের দূর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ আবুল বাশার। এই মামলার আরও তিনজন আসামী হলেন, রাঙ্গামাটি পৌরসভার সাবেক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সাকুর মিয়া, তিনি বর্তমানে রাউজান পৌরসভায় হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। রাঙ্গামাটি পৌরসভার কর আদায়কারী নির্মল কান্তি দাশ ও হিসাব সহকারী মোঃ নুরুল আমিন।

আদালতে দাখিল করা এই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্টরা রাঙ্গামাটি পৌরসভায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি পৌরসভার ভ্যাট ও আয়কর বাবদ মোট ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ৮৪৭ টাকা ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলনপূর্বক টাকা চালানের মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান না করে আত্মসাত করে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

দূদকের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ভ্যাট ও আয়কর বাবদ উপরোল্লেখিত টাকা উত্তোলনের পর উক্ত টাকার মধ্য থেকে ৫টি চালানের মাধ্যমে মোট ৭.৩৮.৭৪১ টাকা সরকারী কোষাগারে নির্দিষ্ট কোডে জমা দেওয়ার জন্য চালানগুলোতে পৃষ্ঠাংকনকারী কর্মকর্তা হিসেবে তৎকালীন মেয়র মোঃ সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর তারিখ বিহীন স্বাক্ষর গ্রহণ করা হলেও আসামী হিসাররক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ সাকুর মিয়া উক্ত টাকা জমা প্রদান না করে তা আত্মসাত করেন। দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর গত ১৬/০৭/২০১৭ তারিখে উক্ত ৫টি চালানে মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর স্বাক্ষর কেটে দিয়ে তদস্থলে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সাকুর মিয়া নিজে স্বাক্ষর করে উক্ত পরিমাণ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে আত্মসাত করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এই বিষয়ে দুদক প্রধান কার্যালয় ঢাকার স্মারক নং০০.০১.৮৪০০.৬২৬.০১.১০৭.১৮/রাঙ্গামাটি/১৩৮৭৪/১ তারিখ: ১৪/০৭/২০২০ ইং মোতাবেক অনুমোদন রয়েছে। এব্যাপারে অন্যান্য অনুসন্ধান ও মামলা তদন্ত কার্যক্রমে আরো কারো সম্পৃক্ততা পেলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে উক্ত মামলার এজাহারে।

এই মামলার বাদী জিএম আহসানুল কবীর কর্তৃক টাইপকৃত এজাহার গত ১২ তারিখ বিকেলে প্রাপ্ত হয়ে দুদক সমন্বিত কার্যালয় রাঙ্গামাটির মামলা নং-০২ তারিখ ১২/০৮/২০২০ইং ধারা দন্ডবিধি ৪০৯/১০৯তৎসহ ১৯৪৭ সালের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এই মামলা রুজু করেন সহকারী পরিচালক মোঃ আবুল বাশার।

ই-পিসি/আর