মহালছড়িতে স্থগিত কেন্দ্রে ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে মাইসছড়ি ইউনিয়নের ভাগ্য
॥ মিল্টন চাকমা, মহালছড়ি ॥
খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে স্থগিত কেন্দ্রে ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে মাইসছড়ি ইউনিয়নে প্রতিদ্ব›িদ্ধ দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাগ্য। গেল ২৮ নভেম্বর ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মহালছড়ি উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩ টি ইউনিয়নের বিজয়ী ঘোষণা করা হলেও বিশৃংখলা সৃষ্টি হওয়ায় মাইসছড়ি ইউনিয়নের মাইসছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটি স্থগিত করা হয়। ফলে ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। একইভাবে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদেও বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। মাইসছড়ি ইউনিয়নে ৯ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে দেখা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে সাজাই মারমা ৩ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি নৌকা প্রতীকে গিয়াস উদ্দিন লিডার পেয়েছেন- ২ হাজার ১২২ ভোট। এখন যেই হোক জয়ী হতে ওই কেন্দ্রের ভোটারদের নিজের পক্ষে আনতে হবে। তবে, সম্প্রদায় ভিত্তিক ভোটার সংখ্যায় দেখা যায়, ওই কেন্দ্রে শতকরা ৯৯% বাঙালি আর স্থগিত হওয়া ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা হল, ১ হাজার ৩০৫ জন।
সরকার দলের মনোনীত প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন লিডার বলেন, স্থগিত হওয়া কেন্দ্রটি আমার নিজের এলাকার এবং সবাই আমাকে ও নৌকা প্রতীককে ভালোবাসে তাই আমি জয়ের জন্য আমি শতভাগ আশাবাদি।
স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাজাই মারমা বলেন, ওই কেন্দ্রে বাঙািল ভোটার বেশী হলেও আমার জন্য কোন সমস্যা নেই। বিগত সময়ে সব সম্প্রদায়কে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ করেছিলাম। তাই বাঙালি ও পাহাড়ি সবাই আমাকে বেশী ভালোবাসে। ঘোষিত ফলাফলে এখনো এগিয়ে আছি এমনকি নির্বাচন হলে ওই কেন্দ্রেও আমি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জয়ী হবো।
মহালছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুসমিকা চাকমা বলেন, ঘোষিত ফলাফলে দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধানের তুলনায় স্থগিত ভোট কেন্দ্রের ভোট বেশী। এ কারণে চুড়ান্ত ফল ঘোষণা করা যায়নি। স্থগিত কেন্দ্রে কবে ভোট গ্রহন হবে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ কবে ঘোষণা করা হবে সেটা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্তের উপড় নির্ভর করবে। নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর স্থগিত ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।