হাতি হত্যা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ
কাপ্তাইয়ে হাতি-মানুষের সংঘাত নিরসনে প্রচার-প্রচারণা
॥ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥
রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় দক্ষিণ বন বিভাগের আয়োজনে হাতি-মানুষের সংঘাত নিরসনে সচেতমূলক লিফলেট বিতরন করা হয়েছে। বুধবার (২৪নভেম্বর) বিকাল ৩টা হতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ এ সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা ও মাইকিং করে।
কাপ্তাই নতুন বাজার, লগগেইট, শিল্প এলাকা, তালপট্টি, জেটিঘাট, রামপাহাড়, শিলছড়িসহ বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ করেন। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুুনতাসির জাহান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ (ডিএফও), এসময় সহকারী বনসংরক্ষক গঙ্গা প্রসাদ চাকমা, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ (প্রকৌশলী), কাপ্তাই সিএমসি সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল, সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহাবুব আলম, কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা তানজিলুর রহমান, জেটি স্টেশন কর্মকর্তা প্রীতি চাকমা সহ কাপ্তাইয়ের বিট ও বনরক্ষীগন। এ সময় এলাকার হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব, সংঘাত নিরসনে আমাদের করণীয় প্রচার-প্রচারণা সকলে মিলে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। হাতি গ্রামে বা এলাকায় প্রবেশ করলে স্থানীয় বন বিভাগের লোকজনকে খবর দিন। হাতিদের উত্যক্ত না করে বিভিন্ন শব্দ করে বা পটকা ফুটিয়ে তারান। হাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা কেউ মারা গেলে সরকারের পক্ষ হতে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রয়েছে।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুুনতাসির জাহান জানান, হাতি দেখলে তার নিকটে গিয়ে কেউ কোন ছবি বা ভিডিও করবেন না। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষকন ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী হাতি হত্যা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া ৭বছর শাস্তি এবং ১০ লক্ষ টাকার জরিমানা বিধান রয়েছে।