শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় সরগরম গুইমারায়
॥ মাইন উদ্দিন বাবলু, গুইমারা ॥
নির্বাচনের আর মাত্র দুইদিন বাকি। আগামী বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) গুইমারার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে গুইমারার ৩টি ইউনিয়ন। মঙ্গলবার( ৯ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে গুইমারার সিন্দুকছড়ি,হাফছড়ি ও গুইমারা সদর ইউনিয়নের সব এলাকা। এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর মাথা ব্যথা দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী।
নিজের দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা ঘুম কেড়ে নিয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের। তবে ভেদাভেদ ভুলে উন্নয়নের আশায় দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য উপজেলা পর্যায়ের নেতারা বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ করে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন।
হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের হোন্ডা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আইয়ুব আলী(মেম্বার) নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, মংশে চৌধুরী এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, বহিরাগত লোক এনে নির্বাচনি এলাকায় ভীতি সৃষ্টি করছেন এছাড়াও, কেন্দ্র দখলের শঙ্কা আছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, গুইমারা সদর ইউনিয়নের দলীয় প্রার্থী নির্মল নারায়ণ ত্রিপুরা বলেন, জনগণ উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা প্রতীকে ভোট দিবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক নির্বাচনের মাধ্যমে নৌকা প্রতীকের জয় নিশ্চিত হবে।
সাধারন ভোটাররা জানান, আগামী ১১ নভেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আমাদের যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নিবো। কোনো প্রকার সহিংসতা না হয়ে ভোট কেন্দ্রে সুন্দর পরিবেশ থাকলে শতভাগ ভোটারদের উপস্থিতি থাকবে। অনেক ভোট কেন্দ্র দুরে এবং দূর্গম এলাকায় হওয়ায় সাধারণ ভোটাররা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
গতকাল (৭ নভেম্বর) গুইমারায় নির্বাচনী আইন শৃংঙ্খলা সভায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আগামী ১১ নভেম্বরের নির্বাচনে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, আনসার, বিডিপির পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি মোতায়ন করা হবে। যদি কোনো প্রার্থী বা কর্মী সহিংসতা সৃষ্টি করে সে যে দলেরই হোক সাথে সাথে আইনের আওতায় আনা হবে। সকল সাধারণ ভোটারদেরকে নির্বাচনে গিয়ে ভোট প্রদানের আহবান জানান।