সরই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাংবাদিক সম্মেলন
এক ভোট পেলেও আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী আছি ও থাকবো !
॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
প্রাণনাশের হুমকি, মিথ্যাচার-গুজব ছড়িয়ে ভোটারদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো, হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন, কর্মী-সমর্থকদের জিম্মির চেষ্টার প্রতিবাদ এবং ভোটের দিন ব্যালট পেপার ভোট কেন্দ্রে পৌঁছানোর দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আবু হানিফ। মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) বিকালে লামা প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সাংবাদিক সম্মেলনে লামা উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু হানিফ বলেন, নির্বাচন কমিশন দেশের জনগণকে নিশ্চিত করে বলেছেন ইউপি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও দলীয় প্রভাবমুক্ত ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আমি নির্বাচন কমিশনের এই আশ্বাসের উপর বিশ্বাস করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার পর থেকে আমার ও আমার সমর্থকদের উপর আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী নিজে ও তার কর্মী বাহিনী দিয়ে একের পর এক হুমকী এবং ভয়-ভীতি প্রদান করে যাচ্ছে। আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহ রিটার্নিং অফিসারের নিকট লিখিত ভাবে বিষয় গুলো জানিয়ে আসছি। আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর মদদে তার কর্মী ও সমর্থকেরা আমার নির্বাচনী পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে। আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে নির্বাচনের দিন যে কোন ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফলাফল তার অনূকুলে নিবে। জনগনের উপর তার কোন আস্থা ও বিশ্বাস নাই।
সরই ইউনিয়ন লোহাগাড়া উপজেলার সংলগ্ন। নির্বাচনের দিন পার্শ্ববর্তী লোহাগাড়া উপজেলা হইতে ভাড়াাটিয়া লোকজন এনে ২,৪,৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের কেন্দ্র সমূহে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার জন্য আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী নীল নকশা চূড়ান্ত করেছে বলে তার সমর্থিত কর্মী ও সমর্থকরা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে। বহিরাগত লোকজন এনে আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী সরই ইউনিয়নে জনসভা, শোডাউন ও উঠান বৈঠক করে যাচ্ছে। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্র দখল করার জন্য বহিরাগত স্বশস্ত্র ক্যাডারদের সরই বিভিন্ন কেন্দ্রে সমাগম করবে বলে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর লোকজন বলাবলি করছে। আমি সুস্থ ভোট গ্রহণের স্বার্থে সরই ইউনিয়নে নির্বাচনের দিন বিচারিক ক্ষমতাসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও দক্ষ পুলিশ বাহিনী নিয়োগ করার আবেদন জানাচ্ছি এবং এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যে আবেদন জমা দিয়েছি। বড় দুঃখের বিষয় হচ্ছে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আমার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য এবং আমাকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে আমার পরিবারের সদস্য এবং কর্মী সমর্থকদের নামে মামলায় জড়িয়ে হয়রাণীর হুমকি দিচ্ছে। ।
তিনি আরো বলেন, অত্র সরই ইউনিয়নের ২,৪,৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদান ও আমার নির্বাচনী এজেন্টদের মারধর করার পরিকল্পনা করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমার প্রতিদ্বন্ধী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণায় ও উঠান বৈঠকে প্রকাশ্য ভোটারদের জানিয়েছে ভোট কেন্দ্রে আগত সকল ভোটারদেরকে চেয়ারম্যান পদের ব্যালট পেপারে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সীল মারতে হবে। ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে চেয়ারম্যান পদের ব্যালট পেপার নিয়ে গমন করে সীল মারা যাবে না। আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ভোটের আগের দিন রাতে যে কোন সময় সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে নিয়ে ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সীল মারবেন বলে জানতে পারি। অত্র ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে লামা ও বান্দরবান থেকে আগত সরকারদলীয় নেতারা উপস্থিত থেকে ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সীল মারা নিশ্চিৎ করবেন বলে জনসাধারণকে জানিয়েছেন বলে ভোটাররা আমাকে বলেছেন। আমি ভোটের দিন সকল বহিরাগত লোকজনকে অপসারণের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি। আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ও তার লোকজন বলে বেড়াচ্ছে, আমি তাকে সমর্থন দিচ্ছি। যা চরম একটি মিথ্যা কথা। এক ভোট পেলেও আমি নির্বাচনী মাঠে আছি ও থাকবো। নির্বাচনের পূর্বের দিন রাতে কোন প্রার্থীর কর্মী, সমর্থক এবং লোকজন যাতে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে নির্বাচন কমিশন এবং আইন-শৃংখলা বাহিনীকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। জনগণের ভোট জনগণকে প্রদানের সুযোগ দিন। পেশি শক্তি প্রদর্শনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আবেদন করেন স্বতন্ত্র এই প্রার্থী।