[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মহালছড়িতে মুবাছড়ি বন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসবে

৮৭

॥ মিল্টন চাকমা, মহালছড়ি ॥

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মুবাছড়ি বন বিহারে বুদ্ধের সময় প্রধান উপাসিকা বিশাখা কৃর্তক প্রবর্তিত রীতি অনুযায়ী কঠিন চিবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার (২৯ ও ৩০ অক্টোবর) দুই দিনব্যাপী এ কঠিন চিবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালের পর্বে পঞ্চশীল গ্রহন, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, বুদ্ধ মূর্তি দানসহ নানাবিধ দানানুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সংঘ প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি বন বিহার আবাসিক ভিক্ষু সংঘ প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। সকালের পর্বে প্রধানধর্মদেশক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গামারি ঢালা বন বিহারাধ্যক্ষ বোধিপাল মহাস্থবির, মিলন পুর বন বিহারাধ্যক্ষ শ্রদ্ধাতিষ্য মহাস্থবির ও মুবাছড়ি বন বিহারের বিহারাধ্যক্ষ সুমনাতিষ্য মহাস্থবির উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধান উপাসক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। বিশেষ দায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য নিলোৎপল খীসা।

প্রধান উপাসক মংসুইপ্রু চৌধুরী ধর্মীয় আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, আমাদের প্রত্যেককে সহনশীল হতে হবে। অন্য সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সম্প্রীতির মাধ্যমে সহিংসতা রোধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশের সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে বলেছেন। তাই সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ একযোগে কাজ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান।

বিকালের পর্বে মূল অনুষ্ঠান বুদ্ধের প্রধান সেবিকা বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত রীতি অনুযায়ী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বুননকৃত ত্রি- চীবর ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্যে দান ও সকল জীবের হিতার্থে উপস্থিত সংঘের ধর্মীয় দেশনা প্রদান, সমবেত প্রার্থনা ও সন্ধ্যায় চুলা মনি চৈত্যকে পূজা করার উদ্দেশ্যে ফানুস উত্তোলন করা হবে।