[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বেদখলে সীমানা এলাকা

রাঙ্গামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সরকারি বাসভবন ঝুঁকিতে

৫৪

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

রাঙ্গামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সরকারি বাসভবন ধীরে ধীরে ঝুঁকিতে পড়ছে। মামলা থাকার পরও স্থানীয় কিছু মানুষ বাসভবনের পিছনে সীমানা এলাকা বেদখল করলে এ ঝুঁকিপূর্ন পরিস্থিতে পড়েছে বলে বিভাগের সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে।

রাঙ্গামাটি গণপূর্ত বিভাগের সংশ্লিষ্ট সুত্র অভিযোগ করলে সম্প্রতি বাসভবন এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, অনেকটা পাহাড়ী এলাকা এবং হ্রদের বেশ কিছু দুরত্বে সরকারি অন্যান্য স্থাপনার পাশাপাশি নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসভবনও রয়েছে। কিন্তু বাসভবনের পিছনে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি বাসভবনের সীমানা ঘেঁষে হ্রদের জায়গা দখল করে বাসাবাড়ি করেছে। দেখা যায় এসব বাসাবাড়ি করাতে নির্বাহী প্রকৌশলীর সরকারি বাসভবনটির সীমানা ধারক দেওয়াল সহ অন্যান্য প্রতিরোধক ব্যবস্থাগুলো ঝুঁকিতে থাকায় মাটি ধসে গিয়ে ধীরে ধীরে বাসভবনটি জুঁকিতে পড়ছে। ইতিমধ্যে বেদখল করে সেখানে বাসাবাড়ির করায় মালিকদের নিষেধ করা হলেও তারা কোন কর্ণপাত করছেনা। বেদখলকারীরা তাদের ইচ্ছেমতো হ্রদের জায়গা দখল করে বাসাবাড়ি করছেই। নির্বাহী প্রকৌশলীও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জানিয়েছে।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীও জানিয়েছেন, সরকারি এ বাসভবন এলাকার পিছনে কিছু ব্যক্তি সীমানা ঘেঁষে ও হ্রদের পাড় দখল করে বেশ কিছু বাসাবাড়ি করেছে। এসব বিষয়ে প্রশানিকভাবে সংশ্লিষ্ট উচ্চ পদস্তদের জানানো হয়েছে। তিনি জানান, আইনী প্রক্রিয়ায়ও বেদখলকারীদের নিষেধ করা হয়েছে। সরকারি এ সম্পদ রক্ষায় বেদখলকারীদের বিষয়ে সম্প্রতি স্থানীয় থানায় লিখিতভাবে জানানোও হয়েছে। হ্রদের পাড় ঘেঁষে জায়গা বেদখল করার কারনে বাসভবনটি ধীরে ধীরে ঝুঁকিতেও পড়ছে। এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে বড়ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হবে।

এদিকে বাংলাদেশ নদী কমিশন তাদের বিধি নিষেধে দেশের নদী, নালা, খাল, বিল, ঝিরি জর্ণাগুলো পাবলিক সম্পত্তি বলে উল্লেখ করেছেন। এসব সম্পত্তি বেদখলও করা যাবে না। এছাড়া বিধিনিষেধ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক এসব সম্পত্তি বন্দোবস্ত বা লিজ দেওয়া যাবে না। ইতোপূর্বে যদি দিয়েও থাকে তাহলে লিজ বা বন্দোবস্ত উভয়ই বাতিল করে এসব পাবলিক সম্পত্তি উন্মুক্ত রাখতে হবে।

দেখা যায়, রাঙ্গামাটি শহরের বেস কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের পিছনে হ্রদের পাড় ঘেঁষে যে যার মতো করে বেদখল করেই চলেছে। সরকারি খাস জমির কোথাও কোথাও রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়ে কিছু দখলবাজ জায়গা দখল করে অন্যের নিকট বিক্রয়ও করছে। অথচ এসব পাবলিক সম্পত্তির জায়গা বিক্রয়, বন্দোবস্ত বা লিজ দেওয়া নিয়ে কঠোর বিধি নিষেধ রয়েছে। তাই সব দিকের ঝুঁকি এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।